শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

পতাকার মর্যাদা সমুন্নত রাখুন

বগুড়া সেনানিবাসে প্রধানমন্ত্রী

শিমুল মাহমুদ, বগুড়া থেকে ফিরে

পতাকার মর্যাদা সমুন্নত রাখুন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বগুড়া সেনানিবাসে ১২ ল্যান্সারকে ন্যাশনাল স্টান্ডাড প্রদান অনুষ্ঠানে কেক কাটেন - বাংলাদেশ প্রতিদিন

সেনাবাহিনীর সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ ও সাঁজোয়া কোরের পঞ্চম পুনর্মিলনীতে এবং ১২ ল্যান্সারের জাতীয় পতাকা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সকালে বগুড়ার মাঝিরা সেনানিবাসে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই পতাকা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল মুহাম্মদ ফরিদ হাবিব ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল আবু এসরার, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ বদিউজ্জামান প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান তাকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। বর্তমানে যশোর সেনানিবাসে অবস্থিত ১২ ল্যান্সার রেজিমেন্টের কর্মদক্ষতা ও দেশসেবার স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় পতাকা প্রদান করা হয়। এটি রাষ্ট্রের পক্ষ দেওয়া সর্বোচ্চ সম্মান ও স্বীকৃতি। এ সময় প্যারেডে নেতৃত্বে দেন ১২ ল্যান্সার রেজিমেন্টের ইউনিট প্রধান লে. কর্নেল খায়রুজ্জামান মোল্লা। জাতীয় পতাকা গ্রহণ করেন মেজর তানভীর আহমাদ। পতাকা প্রদান করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় পতাকা প্রাপ্তি সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটের জন্য বিরল সম্মানের বিষয়। অধ্যবসায়, কর্মদক্ষতা ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে এই বিরল রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অর্জন করতে হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, লাখো শহীদের আত্নত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা এবং তার মধ্য দিয়ে পেয়েছি আমাদের জাতীয় পতাকা। কাজেই এই পতাকার মর‌্যাদা যাতে কখনই ক্ষুণ্ন না হয়। পতাকার মর‌্যাদা যাতে সব সময় সমুন্নত থাকে এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি ১৯৭৪ সালের প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি ও ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়নের কথা উলে­খ করে বলেন, আমরা সেনাবহিনীর উন্নয়নে এবং আধুনিকায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তৃতায় সিলেটে ১৭ পদাতিক ডিভিশন স্থাপন, কক্সবাজারের রামুতে ১০ পদাতিক ডিভিশনের সদর দফতর এবং অধীনস্থ ব্রিগেড ও ইউনিট স্থাপন উলে­খ করে বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তা ও তদারকির জন্য আরও দুটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন ও একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন সমন্বয়ে নতুন একটি কম্পোজিট ব্রিগেড প্রতিষ্ঠা করেছি। সেনাবাহিনীকে আরও কার্যকর ও যুগোপযোগী করতে উন্নত প্রযুক্তির সমরাস্ত্র সংগ্রহ ও সরঞ্জামাদি কেনা হয়েছে। নৌ ও বিমান বাহিনীকেও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ১৯৯৬-২০০১ সরকারের মেয়াদে একটি পদাতিক ব্রিগেড, একটি সংমিশ্রিত ব্রিগেড, স্পেশাল ওয়ার্কস ওর্গানাইজেশন, একটি সাঁজোয়া ইউনিট, তিনটি পদাতিক ইউনিট, দুটি আর্টারি রেজিমেন্ট, একটি রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়ন, দুটি ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন এবং সাপোর্ট ও ট্রান্সপোর্ট ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা ও পূনর্গঠন করি। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের মান যুগোপযোগী করতে এনডিসি, পিপশট, এএসএমসি, এমআইএসটি এবং এসসিএস একাডেমির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়।

সর্বশেষ খবর