মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

টনপ্রতি ১৮০ টাকা ট্রানজিট মাশুল চাইল বাংলাদেশ

দিল্লীতে নৌসচিব পর্যায়ের বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের ভূ খণ্ড ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের জন্য দেশটির কাছে প্রতি মেট্রিক টনে ১৮০ টাকা (এসকর্টসহ) ট্রানজিট মাশুল চাওয়া হয়েছে। দিলি­তে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী নৌ সচিব পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের প্রথম দিন গতকাল বাংলাদেশের পক্ষ  থেকে এ মাশুল দাবি করা হয়। গত রাত পৌনে ৮টায় (স্থানীয় সময়) দিলি­ থেকে টেলিফোনে নৌপরিবহন সচিব শফিক আলম মেহেদী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, বৈঠক চলছে। বিভিন্ন ইস্যুতে পৃথক গ্র“প করে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। ট্রানজিট মাশুল সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা এসকর্টসহ ১৮০ টাকা মাশুল দাবি করেছি। তারা সম্মত হলে এ ব্যাপারে যৌথ ঘোষণা আসবে। এ ছাড়া প্রথম দিনের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে যাত্রী ও পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল, ভারত কর্তৃক চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় অভ্যন্তরীণ নৌপথ খননে বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে ভুটানকে অন্তর্ভুক্তকরণসহ বেশ কিছু ইস্যুতে আলোচনা চলছে বলেও জানান নৌপরিবহন সচিব। গত জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে সই হয় সংশোধিত ‘ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড’ প্রটোকল। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের বিষয়েও একটি সমঝোতা স্মারক সই হয় ভারতের সঙ্গে। এ অবস্থায় দুই দেশের মধ্যে ট্রানজিট সুবিধায় পণ্য পরিবহনে ১৬ সেপ্টেম্বর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করে জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটি (জেটিসি)। ওই বৈঠকে ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দিতে এনবিআরের পক্ষ থেকে প্রতি মেট্রিক টনে ১৩০ টাকা মাশুল দাবি করা হয়। এর মধ্যে নথি প্রক্রিয়াকরণে ১০, ট্রান্সশিপমেন্ট বাবদ ২০ ও নিরাপত্তা বাবদ ১০০- এই মোট ১৩০ টাকা টনপ্রতি চার্জ আরোপের কথা বলা হয়। এ ছাড়া পণ্যের প্রহরা বাবদ (এসকর্ট) আরও ৫০ টাকা দাবি করে এনবিআর।

এর আগে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এ-সংক্রান্ত এক বৈঠকে আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার সড়কপথে পণ্য ট্রানজিটের জন্য মহাসড়ক বিভাগ পৃথকভাবে ৫২ টাকা (প্রতি টন পণ্যে) মাশুল দাবি করলেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তা উপস্থাপন করা হয়নি। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, চার দেশীয় মোটরযান (বিবিআইএন) চুক্তিতে স্থলপথের ইস্যু নিয়ে আলোচনা চলছে বলে সড়ক বিভাগের ওই প্রস্তাব বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

সর্বশেষ খবর