প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওশেনিয়া অঞ্চলের কার্সটেনস পিরামিড পর্বত শৃঙ্গ জয় করেছেন বাংলাদেশের পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজরীন। আর এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের সাতটি অঞ্চলের সর্বোচ্চ সাতটি শৃঙ্গ জয়ের অভিযান পূর্ণ করেছেন তিনি। ওয়াসফিয়ার ফেসবুক পেজের এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ অন সেভেন সামিটস ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৮ নভেম্বর সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে ওই শৃঙ্গে পৌঁছান ওয়াসফিয়া। ইন্দোনেশিয়ান বন্ধু জশুয়া নোয়া এ অভিযানে তার সঙ্গে ছিলেন। ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র করভি রাকসান্ড ফেসবুকে লিখেছেন, স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে শৃঙ্গে পৌঁছানোর খবর ওয়াসফিয়া তাদের জানান। অন্যদিকে ওয়াসফিয়ার ফেসবুক পেইজে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর উদযাপনের জন্য আমরা এই ক্যাম্পেইন শুরু করি, যা ’৭১-এর চেতনাকে আরও পরিপূর্ণ করার একটি প্রয়াস এবং তাদের জন্য উৎসর্গ করছি যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। নিজ ভূমিতে ফেরার জন্য আমি উদগ্রীব হয়ে আছি। একই সঙ্গে চার বছর ধরে সেভেন সামিটস জয়ের এই অভিযানে যাদের কাছে সহযোগিতা আর উৎসাহ পেয়েছেন, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ওয়াসফিয়া। পোস্টটিতে জানানো হয়, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ২০১৪ সালের এই বর্ষসেরা অভিযাত্রী-ওয়াসফিয়ার ফেসবুক পেইজেও এক পোস্টে জানানো হয়, ‘সেভেন সামিটস’ অভিযান পূর্ণ করার পথে দুর্গম ‘মেসনার’ রুট হয়ে ওশেনিয়া অঞ্চলের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কারস্তেনস পিরামিডে পৌঁছান তিনি। ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রভিন্সে কারস্তেনস পর্বতমালায় ৪ হাজার ৮৮৪ মিটার উঁচু এই শৃঙ্গ স্থানীয়ভাবে পুঞ্চাক জায়া নামেও পরিচিত। ২০১২ সালের ৯ জুন দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় ওঠেন ওয়াসফিয়া নাজরীন। এর আগের বছরই সাত শৃঙ্গ জয় করার ঘোষণা দেন তিনি। এরপর একে একে তিনি জয় করেন আফ্রিকার কিলিমানজারো, দক্ষিণ আমেরিকার আকোনকাগুয়া, অ্যান্টার্কটিকার ভিনসন ম্যাসিফ, ইউরোপের মাউন্ট এলব্রুস এবং উত্তর আমেরিকার ডেনালি চূড়া।
