রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

অসৌজন্যমূলক আচরণ পরিহার করা উচিত দলগুলোর

নিজস্ব প্রতিবেদক

অসৌজন্যমূলক আচরণ পরিহার করা উচিত দলগুলোর

আকবর আলি খান

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেছেন,  বাংলাদেশে বিভিন্ন সাংঘর্ষিক শক্তি কাজ করছে। তাই যে কোনো সময় সমস্যা তৈরি হতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর অভদ্র ও অসৌজন্যমূলক ভাষা ব্যবহার পরিহার করা উচিত। গতকাল রাজধানীর ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার সেন্টার ভবনে বাংলাদেশের বহুত্ববাদী সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নাগরিকের ও রাষ্ট্রের করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। দি হাঙ্গার প্রজেক্ট ও দি ডাইভারসিটি সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে এ গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আকবর আলি খান বলেন, বাংলাদেশে নানা ধরনের শক্তি ক্রিয়াশীল। এরা মারাত্মক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। এটা শুধু রাষ্ট্রে নয়, আমাদের সামাজিক পরিবেশেরও সংকট। এ সংকট থেকে বের হতে হলে সামাজিক পুঁজি গড়তে হবে। নইলে আমাদের সম্প্রীতি ও উন্নয়ন ব্যাহত হতে পারে। সামাজিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে একে অপরের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। তিনি বলেন, সমাজ বাস্তবতায় অনেক কঠিন সময় আমরা পার করছি। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ কঠিন সময়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সব দল-সংগঠনের মধ্যে সম্প্রীতি থাকতে হবে। ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, একটি সমাজে ভিন্ন পরিচয়ের মানুষ বসবাস করে। এ ভিন্নতাই আমাদের পরিচয় নির্ধারণ করে। এ ভিন্নতাকে কাজে লাগিয়ে আবার কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষ তৈরি করে। এ অবস্থায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এবং সামাজিক পুঁজি কাজে লাগিয়ে সম্প্রীতি সৃষ্টি করতে হবে। সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানানো ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম উদ্দেশ্য। কিন্তু পরবর্তীতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী তথা প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমস্বরে আওয়াজ তুলতে হবে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব এ ওয়াই বি সিদ্দিকী, ইয়াং গ্লোবাল লিডার ও বিশিষ্ট ব্যাংকার লুৎফে সিদ্দিকী, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ড. হামিদা হোসেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন উবিনীগের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রমুখ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সৈকত শুভ্র আইচ মনন।

সর্বশেষ খবর