মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ছড়াচ্ছে সংঘাত-সংঘর্ষ গুলি

চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগ দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছড়াচ্ছে সংঘাত-সংঘর্ষ গুলি

পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গতকাল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, আগুন দেওয়া হয় গাড়িতে —বাংলাদেশ প্রতিদিন

পৌরসভা নির্বাচনের আর মাত্র ৮ দিন। ভোট যতই ঘনিয়ে আসছে, সংঘাত-সংঘর্ষের শঙ্কা ততই বাড়ছে। ভোটারদের মধ্যেও বাড়ছে উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী কিংবা বিএনপির সঙ্গে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। গতকালও ঢাকা জেলার সাভার এবং জামালপুরের সরিষাবাড়িতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকটি পৌরসভায়। নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় কার্যালয় ও গাড়ি ভাঙচুরসহ মহাসড়ক অবরোধের ঘটনাও ঘটেছে। নিয়মিতই আচরণবিধি লঙ্ঘন, বহিষ্কারসহ জরিমানার ঘটনাও ঘটেছে। বিভাগীয় নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

সাভারে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর বাড়িতে গুলি, আহত ২৫ : সাভারে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. বদিউজ্জামান বদিরের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। গতকাল সন্ধ্যায় পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনী মহল্লায় বদির নিজ বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় সংবাদিকসহ বিএনপির ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালের দিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী বদিউজ্জামান তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ব্যাংক কলোনি এলাকায় প্রচারণা শুরু করেন। এরপর তিনি ব্যাংক কলোনি এলাকায় তার বাড়ির সামনে পৌঁছলে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী হাজী আবদুল গনির ছেলে ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান খান তুহিনের নেতৃত্বে সাভার পৌর ছাত্রলীগের একটি দল তাদের গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বদিউজ্জামান ও তার সমর্থকদের লক্ষ করে প্রায় ৭ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা দুইজন স্থানীয় সাংবাদিকসহ বিএনপির ২৫ নেতা-কর্মী আহত হন। এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জানার হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঢাকা জেলার রিটার্নিং অফিসার শাহ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশকে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীর ছেলে ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন হামলার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর প্রচারণার সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীর ওপর বিএনপি সমর্থকরা হামলা চালানোর প্রতিবাদে তারা এ হামলা চলায়। এ ছাড়াও এ ঘটনায় সাভার পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি আতাউর রহমানসহ কয়েকজন স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়ে বর্তমানে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে বলেও তিনি জানান। তবে এ বিষয়ে সাভার পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি আতাউর রহমান আতা বলেন, তিনি হাসপাতালে নয় আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী হাজী আবদুল গনির বাসায় রয়েছেন।

সরিষাবাড়িতে গুলি, আহত ৪ : নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে জামালপুরের সরিষাবাড়িতে বিএনপি দলীয় ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ওই ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন। গতকাল বেলা ১১টা দিকে বিএনপির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিন সেলিমের সমর্থকরা আরামনগর বাজারে ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণ করছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এতে বিএনপি প্রার্থী ফয়জুল কবির শাহীন তালুকদারের সমর্থকদের মধ্যে বাদানুবাদের জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ও বিএনপি কর্মী গাজীউর রহমান পাজিম শটগানের ছররা গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক ভিপি শহীদ ও শাহীন আহত হন।

রামগতিতে হামলায় কাউন্সিলর প্রার্থী আহতের অভিযোগ : লক্ষ্মীপুরের রামগতি  পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী প্রদীপ কুমার মজুমদার প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি এখন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎ?সাধীন। রবিবার রাতে রামগতি পৌরসভার কিল্লারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি প্রদীপ কুমারের। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদিন জানান, ‘কিল্লারপাড়ায় কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। এটি একটি সাজানো নাটক।’

চৌদ্দগ্রামে দুই সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ, ভাঙচুর-আগুন : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনে দুই মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সংঘর্ষে পুলিশের এসআই মো. হোসাইন, কনস্টেবল মনির হোসেনসহ উভয় প্রার্থীর অর্ধ শতাধিক সমর্থক আহত হয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যার দিকে চৌদ্দগ্রাম বাজারে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র মিজানুর রহমান ও দলের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমাম হোসেন পাটোয়ারীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি  ঘটনাস্থলে বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী ইমাম হোসেন পাটোয়ারীর সমর্থকরা চৌদ্দগ্রাম বাজারে মিছিল বের করে। এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মিজানুর রহমানের সমর্থনে গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে চৌদ্দগ্রাম বাজারে উভয়পক্ষ মুখোমুখি হয়। এক পর্যায়ে ফাঁকা গুলির শব্দে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এ সময় উপজেলা সদরের পুরাতন ইউপি ভবনের সামনে থাকা দুটি মাইক্রোবাস ও রাস্তায় থাকা একটিসহ ৩ মাইক্রোবাস ১২টি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় উভয়পক্ষে ফাঁকা গুলি ও শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ ছাড়াও বাজারের ব্যবসায়ী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তার হোসেন পাটোয়ারীর পাইকারি মুদি মালের দোকানসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ফুটপাটের দোকানসহ অর্ধ শতাধিক দোকানে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর  ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। আহতদের চৌদ্দগ্রাম ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পুরাতন ও নতুন দুটি সড়ককেই প্রায় ঘণ্টা খানেক যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে কয়েক শত যানবাহন আটকা পড়ে। কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা সদর থেকে অর্ধ শতাধিক পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

চান্দিনায় ককটেল বিস্ফোরণ : কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শাহ আলমগীর মোহাম্মদ খানের পক্ষে কেন্দ্রীয় বিএনপি  নেতাদের নিয়ে আয়োজিত সভাস্থলের পাশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির কার্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে। উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি খোরশেদ আলম জানান, দলীয় প্রার্থী শাহ  মোহাম্মদ আলমগীর খানের গণসংযোগে অংশ নিতে দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান এবং প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবেদিন ফারুক বিএনপির কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করছিলেন। এ সময় কার্যালয়ের পাশে একদল দুর্বৃত্ত কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় ওই সভাস্থলে আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে চান্দিনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সালাহউদ্দিন জানান, একটি বিকট আওয়াজ শুনে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। তবে সেখানে গিয়ে কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

মাধবদীতে উঠান বৈঠকে বোমা হামলার অভিযোগ : নরসিংদীর মাধবদী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর উঠান বৈঠকে বোমা হামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল দুপুরে মাধবদী বাজারের সোনালি টাওয়ারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক। তিনি বলেন, গত রবিবার রাতে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে পৌর এলাকার বিরামপুর কুয়েতি মসজিদ সংলগ্ন মাঠে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর উঠান বৈঠকে বিএনপির প্রার্থী হাজী মো. ইলিয়াসের সন্ত্রাসীরা পরপর ৩টি ককটেল নিক্ষেপ করে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে ককটেলগুলো বিস্ফোরিত না হওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, বিগত ৫ বছরে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। হঠাৎ করে এ ধরনের অভিযোগের অংশ। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন তিনি। ইলিয়াস বলেন, মাধবদী ফাঁড়ির পুলিশ সরাসরি নৌকার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

লালমনিরহাটে ‘পাগলা’ বাহিনীর ওপর হামলার অভিযোগ : লালমনিরহাট সদর পৌরসভার ব্যতিক্রমী নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছে জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলুর ‘পাগলা বাহিনী’। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাগলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। কোথাও কোনো উঠান বৈঠক হলেই পাগলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি চোখে পড়ছে। তাদের আকুতি ভরা ভোট প্রার্থনায় ব্যাপক সাড়া জাগানোতেই বাধ সাধে সরকারদলীয় কর্মীরা। গতকাল তাদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে সরকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এতে দুই পাগল আহত হয় বলে জানানো হয় বিএনপির পক্ষ থেকে।

গোপালপুরে আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা : নাটোরের  গোপালপুর  পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী রোকসানা মোর্তুজা লিলির কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে দলীয় অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। স্থানীয়রা জানান, গোপালপুর  পৌরসভায় সরকারদলীয় প্রার্থী লিলির সমর্থকরা ধানের শীষের কর্মী সমর্থকদের মারপিট করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল আলম আওয়ামী লীগ প্রার্থী-সমর্থক জাহারুল ইসলামকে আটক করে। তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে দুপুরের দিকে বিক্ষোভ শুরু করে লিলির সমর্থকরা। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদের অনুসারী নির্বাচনে ভালোভাবে কাজ না করার অভিযোগ এনে পৌরসভা আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। লালপুর থানার ওসি আবদুল হাই তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে নাটোর সদর পৌরসভায় বিএনপি প্রার্থী শেখ এমদাদুল হক মামুন প্রচারণায় বাধাদান, পোস্টার ছেঁড়াসহ প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন। তবে জলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল এই সংবাদ সম্মেলনকে চরম মিথ্যাচার বলে অভিহিত করেন।

গোবিন্দগঞ্জে বাস ভাঙচুর : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পৌর নির্বাচনের শো-ডাউন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুরের ঘটনায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে শো-ডাউন করার অভিযোগ আনা হয় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়। বরগুনায় সংসদ সদস্য রিমনকে শোকজ বরগুনায় বাদক দলসহ নৌকার মিছিল

বরগুনায় সংসদ সদস্যকে শোকজ :  বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী কর্মিসভা করার অভিযোগে তাকে শোকজ করেছে পাথরঘাটা পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার। সহকারী রিটার্নিং অফিসার শহিদুল ইসলাম শোকজের বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন, রবিবার সংসদ সদস্য বরাবরে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে। চার কার্যদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়াও রবিবার রাতে আচরণবিধি ভঙ্গ করে মিছিল করায় নৌকার প্রার্থীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নাচোলে একই অনুষ্ঠানে নির্বাচন কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী : চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীকে একই অনুষ্ঠানে দেখা গেছে। গত শনিবার নাচোল উপজেলা মাঠে চেয়ারম্যান ফুটবল টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ওই খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অসীম কুমার সরকার, আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী আবদুর রশিদ খান ঝালু, উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার সেজারুদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ২১ প্রার্থীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মেয়র প্রার্থীরা হলেন— আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন (দুই হাজার টাকা), বিএনপি প্রার্থী আজাদুল করিম প্রামানিক নিপু (এক হাজার টাকা), জাসদ প্রার্থী শাহাদৎ হোসেন সবুজ (এক হাজার টাকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ উল ইসলাম চঞ্চল ও দেবাশীষ সাহা প্রত্যেকের এক হাজার টাকা করে। এ ছাড়া সংরক্ষিত ৮ কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রত্যেককে এক হাজার টাকা ও আরও ৮ সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ২ মেয়র প্রার্থীর জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্ধারিত সময়ের আগে মাইকে প্রচারণা এবং দেয়ালে পোস্টার লাগানোর অভিযোগে এ জরিমানা আদায় করা হয়। তারা হলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী রফিকুল ইসলাম পিংকু ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী এ কে এম ফজলুল হক কাশেম। বরিশালের উজিরপুরে কাউন্সিলর প্রার্থী কাইয়ুম খান ও কাওসার ব্যাপারীকে কারণ দর্শাও নোটিস দিয়েছে রিটার্নিং অফিসার।

সর্বশেষ খবর