বুধবার, ৬ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অবস্থানের পক্ষে সৈয়দ আশরাফও

নিজস্ব প্রতিবেদক

শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অবস্থানের পক্ষে সৈয়দ আশরাফও

বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে গতকাল আওয়ামী লীগের সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম —বাংলাদেশ প্রতিদিন

আগামীতে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এই আশ্বাস দিয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, আসুন শান্তিপূর্ণ রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাই। আগামীতে দেশে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। ওই নির্বাচনে একটি জীবনও হত্যার প্রয়োজন হবে না।  

আমরা সেই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গতকাল বিকালে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি বিএনপির প্রতি এ আহ্বান জানান। গতকাল ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির দিনটিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে। এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ও ধানমন্ডিতে রাসেল স্কয়ারে একই সময়ে দুটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে সারা দেশে জেলা-উপজেলাতেও সমাবেশের আয়োজন করে শাসক দল। এদিকে দুটি সমাবেশের মাধ্যমে গতকাল রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউন করে আওয়ামী লীগ। ব্যান্ড ও গান পরিবেশনে পাশাপাশি বিভিন্ন স্লোগান লেখা ব্যানার ও পোস্টার নিয়ে কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। গুলিস্তানের নেতাদের বক্তৃতা চলাকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কিছু কর্মীকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে মঞ্চের সামনে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ৫ জানুয়ারি বিএনপি শুধু নির্বাচন বানচালের চেষ্টাই করেনি, তারা দেশকে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। জাতির পিতাকে হত্যার পর যেমন একটি অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, ঠিক সেই ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ঠেকিয়ে একটি অসাংবিধানিক সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে চেয়েছিল বিএনপি। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন করেছিলাম বলেই সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা পেয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপি নেত্রীর ইচ্ছা ছিল দেশকে সেনা শাসনের দিকে ঠেলে দেওয়া। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের কারণে সব চক্রান্ত ম্লান হয়ে যায়।

গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে গিয়ে বিএনপি নেত্রী হরতাল-অবরোধ দিয়ে মানুষ হত্যা করেছিলেন। ভেবে ছিলেন সরকারের পতন ঘটাবেন। কিন্তু জনগণ তার আহ্বানে সাড়া দেয়নি।

২০১৫ সালেও তিনি হরতাল ও অবরোধ দিয়েছিলেন। জনগণ মানেনি। দেশে আর কখনো হরতাল হবে না।

 

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, খালেদা জিয়া মনে রাখবেন, রাজনীতি করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, সংবিধান ও বঙ্গবন্ধুকে মেনে নিয়েই করতে হবে। সংঘাত ছেড়ে শান্তির পথে আসুন। আগের অবরোধ এখনো প্রত্যাহার করেননি। সে বিরোধ মিটিয়ে তারপর আসুন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, ২০১৯ সালে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে শেখ হাসিনার অধীনে আপনি নির্বাচনে আসবেন। খালেদা আন্দোলনেও পরাজিত হয়েছেন, নির্বাচনের মাঠেও পরাজিত হয়েছেন। কোনো মাঠেই তিনি আর ছাড় পাবেন না। শেখ ফজলুল করিম সেলিম বেগম খালেদা জিয়ার আলোচনায় বসার প্রস্তাবের বিষয়ে বলেন, ‘উনি আইন মানেন, আদালত মানেন না, সংসদ মানেন না। উনি একটা পারেন— পাকিস্তানের পরামর্শে বাংলাদেশকে ধ্বংসের চেষ্টা করা। ওনার সঙ্গে কিসের আলোচনা?।

সর্বশেষ খবর