রবিবার, ১০ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিনয়ী টিউলিপ তোপের মুখে ব্রিটিশ স্পিকার

বিশেষ প্রতিনিধি

বিনয়ী টিউলিপ তোপের মুখে ব্রিটিশ স্পিকার

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের প্রতি রূঢ় আচরণ করে ব্রিটিশ মিডিয়ার তোপের মুখে পড়েছেন হাউস অব কমন্সের নারী ডেপুটি স্পিকার এলিনর লাইং।

শুক্রবার হাউস অব কমন্সে ইউনিভার্সেল ক্রেডিট ওয়েলফেয়ার রিফর্ম নিয়ে বিতর্ক চলাকালে সন্তানসম্ভবা ক্ষুধার্ত টিউলিপ কিছু খাওয়ার জন্য অধিবেশন থেকে বের হন। এ সময় স্পিকারের দায়িত্ব পালনরত ডেপুটি স্পিকার এলিনর লাইং রূঢ় ভাষায় সমালোচনা করেন টিউলিপের। খবর বাংলানিউজের। খাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলে টিউলিপকে তিরস্কার করে স্পিকার বলেন, কোনো সদস্য বক্তব্য রাখার পর অন্তত পরবর্তী দুই বক্তার বক্তব্য পর্যন্ত তাকে অধিবেশনে থাকতে হয়, এটি হাউসের নিয়ম। কিন্তু একজন সদস্য এটি মানেননি। কিছুক্ষণ পর টিউলিপ পুনরায় হাউসে ঢুকলে তাকে তিরস্কার করতে গিয়ে স্পিকার বলেন, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ছুঁতো ব্যবহার করে আপনি সব নারীকে ছোট করেছেন। এ সময় টিউলিপ কিছু বলতে চাইলে রূঢ় ভাষায় স্পিকার বলেন, ‘আমাকে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অজুহাত দেখাবেন না।’ সাত মাসের সন্তানসম্ভবা টিউলিপের প্রতি স্পিকারের এমন রূঢ় আচরণে হাউসে উপস্থিত অনেক এমপিই এ সময় বিরক্ত হন। একজন নারী স্পিকারের এ ধরনের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। কোনো কোনো এমপি বিষয়টি নিয়ে স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানানোর পরামর্শও দেন টিউলিপকে। টিউলিপ অবশ্য কোনো অভিযোগ না জানিয়ে উল্টো সৌজন্য বজায় রেখে খাবার খেতে যাওয়ার জন্য বিনয়ের সঙ্গে এলিনরের কাছে ক্ষমা চান। টিউলিপ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আমার প্রেগনেন্সির বিষয় আমি উল্লেখই করিনি স্পিকারের কাছে, শুধু বলেছি আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম। তিনি বলেন, ‘হাউস অব কমন্সের এমন নিয়ম আধুনিক সমাজে যে বেমানান এটিই বুঝলাম আজ। অনেক জরুরি মুহূর্ত আছে, যখন অনুমতি নেওয়ার সুযোগ থাকে না। এমন জরুরি ব্যাপারগুলো বুঝতে কমনসেন্সই যথেষ্ট।’ এদিকে, একজন সন্তানসম্ভবা এমপির প্রতি ডেপুটি স্পিকারের এমন আচরণে তীব্র সমালোচনামুখর হয়েছে ব্রিটিশ মূলধারার সংবাদ মাধ্যমগুলো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও সোচ্চার স্পিকারের এমন আচরণে। ডেপুটি স্পিকার এলিনর লাইং কনজারভেটিভ পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে হাউস অব কমন্সের ডেপুটি স্পিকার মনোনীত হন।

সর্বশেষ খবর