সোমবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

মুক্তি পাচ্ছেন ড. মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তি পাচ্ছেন ড. মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে দুদকের করা একটি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের আদেশ বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত। ফলে তার মুক্তিতে এখন আর কোনো বাধা নেই। গতকাল শর্তসাপেক্ষে সুপ্রিমকোর্ট তার জামিন বহাল রাখার আদেশ দিয়েছেন। ড. মোশাররফের আইনজীবীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। এ মামলায় প্রায় দুই বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। জানা যায়, বিচারিক আদালতে তিন মাস আগেই মামলার অভিযোগ গঠন হয় সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এর আগে ২০১৪ সালে বিচারিক আদালতে জামিন চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়ে হাইকোর্টে গেলে গত বছর আগস্টে শর্তসাপেক্ষে জামিনের আদেশ পান তিনি। কিন্তু ওই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক সুপ্রিমকোর্টে গেলে তাদের আপিলের আবেদন করতে বলেছিলেন সর্বোচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে জামিনের আদেশ স্থগিত হওয়ায় মোশাররফের মুক্তি মেলেনি। গতকাল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ দুদকের আপিলের আবেদনটি নিষ্পত্তি করেন। ড. মোশাররফের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুবউদ্দিন খোকন, সাবেক মন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরী। তার ছেলে মারুফ হোসেন জানান, জামিনের আদেশ বহাল রাখায় তার বাবার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। প্রসঙ্গত, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালে ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পাচারের অভিযোগে ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তিনি আগাম জামিন নিলেও আপিল বিভাগ তা বাতিল করে। এরপর ২০১৪ সালের ১২ মার্চ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দাবি, যে অর্থ পাচারের কথা বলা হয়েছে— তা অবৈধভাবে অর্জিত নয় কিংবা বিদেশে পাচারও করা হয়নি। গবেষণার জন্য তিনি যখন বিদেশে ছিলেন, তখন এ অর্থ উপার্জন করেছিলেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর