রবিবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

টিআইবির প্রতিবেদন নীলনকশার অংশ

বিকেএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক

টিআইবির প্রতিবেদন পোশাকশিল্পের বিরুদ্ধে চলমান দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকে আরও বেশি প্ররোচিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিকেএমইএ সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান এমপি। পোশাকশিল্পের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিস্মিত ও হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি। গবেষণার তথ্য নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে দাবি করে বিকেএমইএ সভাপতি আরও বলেন, এই প্রতিবেদন পোশাকশিল্পের বিরুদ্ধে চলমান দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়নের কোনো অংশ কিনা, তাও ভেবে দেখার অবকাশ রয়েছে। গতকাল নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) পক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান। তার অভিযোগ— বিকেএমইএ ও বিজিএমইএ’র নেতাদেরর সঙ্গে এই গবেষণার প্রস্তুতিপর্বে, গবেষণা চলাকালে কিংবা গবেষণালব্দ ফলাফল পাওয়ার পরে বিষয়টি নিয়ে কোনো আলোচনা করা হয়নি। ফলে এটি টিআইবির কোনো ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রমের অংশ কিনা, সে বিষয় নিয়ে সন্দেহ না করে আর কোনো উপায় থাকছে না। গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে টিআইবির কার্যক্রম নিয়ে বিকেএমইএর কোনো অভিযোগ নেই উল্লেখ করে সংগঠনটি বলেছে, বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার টিআইবির বিভিন্ন অতীত গবেষণাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে ‘বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং ইমেজ’-কে ধ্বংস করার টিআইবির এই সহায়তামূলক প্রক্রিয়া (ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়) বিকেএমইএ কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারে না। তাই তাদের এই প্রতিবেদনকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। বিকেএমইএ বলেছে, পোশাকশিল্প খাতের বিরুদ্ধে চলমান দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকে রুখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়সহ পোশাক শিল্প খাত সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও দফতর-অধিদফতরের সহযোগিতা কামনা করেছে বিকেএমইএ। টিআইবির এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি গোচরে আনা এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও চায় বিকেএমইএ।

সর্বশেষ খবর