সোমবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

ছাত্রসমাজের সাবেক আহ্বায়ক খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছাত্রসমাজের সাবেক আহ্বায়ক খুন

মিজানুর রহমান হিমু

জাতীয় পার্টির অঙ্গসংগঠন জাতীয় ছাত্রসমাজের সাবেক আহ্বায়ক সৈয়দ মিজানুর রহমান হিমুকে (৩৫) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সকালে রাজধানীর রূপনগরের ইস্টার্ন হাউজিং বরইতলা তিন রাস্তার মোড় এলাকার একটি খালি প্লট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। হিমুর ভাই সৈয়দ আনিসুর রহমান চয়ন জানান, তাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার উত্তর রাঙ্গামালিয়া গ্রামে। হিমু তার প্রথম স্ত্রী লাবণ্য ও সন্তান মাহিকে (৮) নিয়ে ওয়ারীর লার মিনি স্ট্রিটের ২৬/এ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় থাকতেন। গত শনিবার সন্ধ্যার পর ওয়ারীর বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিলেন হিমু। গতকাল সকালে তার মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। চয়ন জানান, হিমুর দ্বিতীয় স্ত্রী মণি আমেরিকাপ্রবাসী। এদিকে হিমুর মামা হাবিবুর রহমান দাবি করেছেন, হিমুর দ্বিতীয়পক্ষের শ্বশুর আলতাফ হোসেন এই খুনের ঘটনায় জড়িত। তিনি বলেন, অনেক দিন ধরেই আলতাফ হোসেন হিমুকে খুন করার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এ কারণে গত ডিসেম্বরে হিমু ওয়ারী থানায় জিডিও করেন। এ ব্যাপারে রূপনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মতলুবর রহমান জানান, হিমুর মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জানা গেছে, হিমু ২০১৩ সালের শেষ পর্যন্ত জাতীয় ছাত্রসমাজের আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ছাত্রসমাজের কাউন্সিল হলে তিনি সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটের মাধ্যমে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত করার কথা থাকলেও দলীয় মতের ভিত্তিতে সভাপতি সিলেকশন করা হয়। এরপর অভিমান করে তিনি দীর্ঘদিন দলের বাইরে ছিলেন। এদিকে হিমুর হত্যাকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে জাতীয় পার্টি। গতকাল বিকালে কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু এ দাবি জানান। সমাবেশে পার্টির প্রেসািডয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, মিজানুর রহমান মিরু, শাহ-ই-আযম, সুলতান মাহমুদ, আবদুল হামিদ ভাসানী, মাহমুদা রহমান মুন্নি, সুজন দে প্রমুখ বক্তব্য দেন।

রাজমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা : তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার একটি সমিতির ঋণের টাকা দিতে না পারায় কামরুল ইসলাম (৪০) নামে এক রাজমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কামরুলের ভাগ্নে রানা জানান, কামরুল তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার মধ্য কুনিপাড়ায় কাজী ভবন এলাকার ২৩/১ সি বাসায় থাকতেন। তিনি ‘বন্ধুজন ইলেকট্রনিক্স সমিতি’ থেকে ১ লাখ টাকা ঋণ নেন। সে টাকা পরিশোধের পর আরও ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ঋণ নেন। কিন্তু ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় তাকে সমিতির লোকজন শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। ওই ঘটনার পর তিনি কামরাঙ্গীরচরে চলে যান। রানা আরও জানান, গত শুক্রবার রাতে সমিতির দফতর সম্পাদক এনায়েত, কালাম, সেলিম, শাহ আলমসহ পাঁচজন মাইক্রোযোগে কামরুলকে ধরে নিয়ে যান। পরে তাকে বেধড়ক মারধর করেন ও বিষ খাইয়ে ঢামেক হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তিনি মারা যান। কামরুলের স্ত্রী হাজেরা বলেন, ‘আমার স্বামীকে বিষ খাইয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’ তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার টিংরি গ্রামে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, নিহতের স্বজনরা অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

সর্বশেষ খবর