শনিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

মোদির সফরের চুক্তি ও সম্পর্ক পর্যালোচনায় ঢাকা-দিল্লি

কাল ভারত যাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে করা গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির বাস্তবায়ন ও বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সুসম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপগুলো পর্যালোচনা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ঢাকা-দিল্লির পররাষ্ট্র সচিবরা। এ উপলক্ষে আগামীকাল নয়াদিল্লি যাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। সোমবার আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসবেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জয়শঙ্করের সঙ্গে। দ্বিপক্ষীয় অন্য সব ইস্যুর পাশাপাশি আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেতে যাচ্ছে প্রস্তাবিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানো।

সফরসূচি অনুসারে, পররাষ্ট্র সচিব তিন দিনের সফরে আগামীকাল নয়াদিল্লি পৌঁছানোর পরদিন দিল্লির সাউথ ব্লকে সেখানকার পররাষ্ট্র সচিব জয়শঙ্কর সুব্রামানিয়ামের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন। পাশাপাশি তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দেভালের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এর আগে গত বছর জয়শঙ্কর দুই দফায় ঢাকা সফর করেছিলেন। কিন্তু ভারতে নতুন পররাষ্ট্র সচিব দায়িত্ব নেওয়ার পর একবারও দিল্লি যেতে পারেননি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব। সর্বশেষ দিল্লির সাবেক সচিব সুজাতা সিংয়ের সময়ে তিনি দিল্লি সফর করেছিলেন। এরপর দিল্লিতে পররাষ্ট্র সচিব ও ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনে এসেছে পরিবর্তন। অবশ্য জয়শঙ্কর ঢাকায় এসে প্রতিবারই শহীদুল হককে সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, এবার সেই আমন্ত্রণ রক্ষা হচ্ছে। জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বছরের জুনে বাংলাদেশ সফর করেন। সফরকালে প্রস্তাবিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির সমাধান, সীমান্ত চুক্তির অনুসমর্থন, ভারত থেকে ২০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার ঘোষণা, ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য মংলা ও ভেড়ামারায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা, গৌহাটিতে বাংলাদেশ ও সিলেটে ভারতীয় মিশন চালু, দুই বছরের মধ্যে বিদ্যুত্ সরবরাহ ৫০০ মেগাওয়াট থেকে ১১০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। এর মধ্যে একাধিক ইস্যুর নিষ্পত্তি হয়েছে। বাকিও আছে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন। এসব বিষয়ই পর‌্যালোচনা হবে এবারের বৈঠকে। পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেছেন, পানি বণ্টন-বাণিজ্যসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক দিক নিয়ে আলোচনা হবে। বিশেষ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকালে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেগুলোর বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে মূল্যায়ন করব। সূত্রমতে, আসন্ন বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরে তাগাদা দেওয়া হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে বলা হবে ভারতকে। পানি বণ্টন ছাড়াও বাণিজ্য ও কানেকটিভিটি ইস্যু প্রাধান্য পেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। ভারতের পক্ষ থেকে মংলা ও ভেড়ামারায় ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের অগ্রগতি জানতে চাওয়া হতে পারে। অবশ্য মংলা ও ভেড়ামাড়ায় প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

সর্বশেষ খবর