টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ৩ নম্বর জামুরিয়া মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হেস্টিংসের বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ মামলা না নেওয়ায় এমপি সমর্থকরা এক ঘণ্টা ধরে ঘাটাইল থানা ঘেরাও করে রাখেন। এ সময় তারা সড়কও অবরোধ করেন।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে শত শত নারী-পুরুষ থানার গেটে অবস্থান নিয়ে মিছিল করে। তাদের অবস্থানের কারণে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ থাকে। জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় ৩ ফেব্রুয়ারি ঘাটাইলের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ খবরে এমপিবিরোধী লেবু গ্রুপের সমর্থকরা এমপি রানার সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হেস্টিংসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় হেস্টিংস ঘাটাইল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে অপারগতা জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই এলাকার লোকজন থানার মূল গেটে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন মামলা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। ঘাটাইল প্রতিনিধি জানান, এমপি রানার ৫১ জন সমর্থকের বিরুদ্ধে বাড়িঘর ভাঙচুর, বেআইনে জনতাবদ্ধে অনধিকার প্রবেশ, চুরি, ক্ষতিসাধন, হুমকি ও হুকুমদানের অভিযোগে ঘাটাইল থানায় ৩টি মামলা করেছেন শফিকুল ইসলাম (৩৮), মজিবর রহমান (৫৫), দেওয়ান নিজাম (৪০)। এই তিনজন হচ্ছেন লেবু গ্রুপের সমর্থক। এ মামলায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার্স ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন জানান, এমপি রানার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়াকে কেন্দ্র করে রানার লোকেরা লেবু সমর্থিত নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চালান। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অপরদিকে ৩ নম্বর জামুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (এমপি সমর্থিত) শহিদুল ইসলাম খান হেস্টিংস লেবু সমর্থিত ২২ জন নেতা-কর্মীর নামে বাড়ি ভাঙচুরের দায়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন ঘাটাইল থানায়। অভিযোগটি প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তদন্ত অফিসার (ওসি) মো. গোলাম হোসেন।
