শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
বিশ্লেষকদের অভিমত

মধ্যস্বত্ব্বভোগী কমাতে মনিটরিং নেই

দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমাতে বাজারে মনিটরিং নেই বলে মনে করেন অর্থনীতির পর্যবেক্ষক ও বাজার বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, দেশের কৃষকরা হাতে প্রকৃত    মুনাফা পায় না। তবে বর্তমানে বাজারমূল্য সহনীয়। পাইকারি বাজারে পণ্যমূল্য অনুযায়ী— খুচরা বাজারে দাম না হওয়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই বিশিষ্টজনরা। এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পাইকারি বাজারের চেয়ে খুচরা বাজারে দাম দ্বিগুণের বেশি হওয়া বা এই দাম মোকাবিলায় সাধারণ ভোক্তা বা ক্রেতাদের কিছু করার নেই। বাজারে ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ যতই থাকুক না কেন, মধ্যস্বত্ব্বভোগীদের দৌরাত্ম্য সবার আগে থামাতে হবে। রাজধানীতে আরও বেশ কিছু বাজার স্থাপন করতে হবে। কারওয়ান বাজারের ওপর চাপ কমাতে হবে। এর সঙ্গে কৃষির বিপণন ব্যবস্থায় সরকারকে নজর দিতে হবে। কিছু পাইকারি বাজার আছে যেখানে খুচরা বিক্রেতারা যেতে পারেন না। তবে কৃষির সমবায়ী বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হলে কারওয়ান বাজারের মতো পাইকারি বাজারের আধিপত্য কমবে, কৃষক ফসলের ন্যায্যমূল্য পাবে। মানুষও সহনীয় দামে ভোগ্যপণ্য কিনতে পারবেন। ক্রেতাদের অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী বেসরকারি সংগঠন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাইকারি ও খুচরা বাজারে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও নির্ধারণে সরকারের কোনো মনিটরিং নেই। সিটি করপোরেশনও বাজারে যায় না। তারা এক দিন বাজারে গেলে, সেই বাজারমূল্য এদিক-ওদিক করে সাত দিন চালিয়ে দেয় তাদের টানানো মূল্য তালিকায়। তবে বর্তমানে ভোগ্যপণ্যের বাজার মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আছে দাবি করে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য এখন নিম্ন পর্যায়ে চলে গেছে। আবার সরকারও চালের দাম কমাচ্ছে। ইতিমধ্যে ভোজ্যতেলে ৫ টাকা দাম কমানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর