রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

দৃশ্যমান হচ্ছে পদ্মা সেতু

দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে পদ্মা সেতুর কাজ। চলতি বছর দৃশ্যমান হচ্ছে স্বপ্নের এই সেতু। ইতিমধ্যে মূল সেতুর ৩০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শেষ হয়েছে ৪ নম্বর পাইলিংয়ের কাজ। আজ থেকে কাজ শুরু হচ্ছে পঞ্চম পাইলিংয়ের। মূল সেতুর কাজ ছড়িয়ে পড়েছে উভয় তীরে এবং পদ্মায়। মাওয়া ও জাজিরা এলাকায় করা হবে নদীশাসনের কাজ। মে পর্যন্ত এ কাজ চলবে পুরোদমে। একই সঙ্গে চলছে অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি, রেললাইন, গ্যাসলাইনসহ অন্যান্য কার্যক্রম। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মূল সেতুর ২০ শতাংশ, নদীশাসনের ১৫ শতাংশ, অ্যাপ্রোচ সড়কের ৬০ শতাংশসহ সব মিলিয়ে গড়ে সেতুটির ৩০ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

আশা করা হচ্ছে, তিন বছর পরই খুলে যাবে দেশের সর্ববৃহৎ এ সেতু। আর কথা অনুযায়ী কাজ হলে, এই সেতু নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করবে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষকে। একই সঙ্গে সমৃদ্ধ করবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। অর্থনীতিতে ঘটবে অবিশ্বাস্য বিপ্লব। মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর মূল নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরই দিন দিন পাল্টে যাচ্ছে চিত্র। দুর্নিবার গতিতে এগিয়ে চলেছে এই মহাকর্মযজ্ঞ।

এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেছেন, সার্বিকভাবে মূল পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৩০ শতাংশ। এ ছাড়া এরই মধ্যে সমাপ্ত হয়েছে ৪ নম্বর পাইলিংয়ের কাজ। আগামীকাল (আজ) থেকে ৫ নম্বর পাইলিংয়ের কাজ শুরু হবে। সেতুমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীকে চার লেনের দুটি সড়ক নির্মাণের কাজ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার পোস্তগোলা থেকে মাওয়া পর্যন্ত এ চার লেন সড়কের কাজ শুরু করা হবে। তিনি বলেন, এ সড়ক নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে না। আগেই এর জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেনাবাহিনী এ কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবে। এ ছাড়া পদ্মার অপর প্রান্তে ভাঙ্গা পর্যন্ত চার লেন সড়কের কাজও সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে।

পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের মধ্যেই শেষ হবে এ সেতুর নির্মাণকাজ। তিন বছরের মধ্যে খুলে দেওয়া হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বর্তমানে সেতুর মূল পাইলিং চলছে দ্রুতগতিতে। জার্মানির তৈরি হ্যামার দিয়ে মূল পাইল স্থাপন করা হচ্ছে। পাইলিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করা হবে সেতুর স্প্যান (পিলার)। পিলারের ওপর বসবে সেতুর স্লাব ও ট্রাস। পিলার তৈরি সমাপ্ত হলে এই স্লাব ও ট্রাস জুড়ে দেওয়া হবে সেতুর ওপর। তাই প্রথমেই তৈরি করা হচ্ছে ৪২টি পিলার। এ ছাড়া সেতুটিতে মোট ৪১টি স্প্যান (অংশ) থাকছে, যার প্রতিটির দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ওজন কমাতে এই সেতুর মূল অবকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে স্টিল দিয়ে।

সর্বশেষ খবর