আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের অন্যতম সদস্য পিওটর সিজোফেন মাজুরেক বাংলাদেশেও সংসার পেতেছিলেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর হোটেল রিসিপশনিস্ট মেরিনার সঙ্গে ভাব জমিয়ে ফেলেন। বিপুল অর্থবিত্ত দেখে একপর্যায়ে পিওটরের ফাঁদে পা দেন মেরিনা। প্রথমে ওই হোটেলেই লিভ টুগেদার করলেও একপর্যায়ে মেরিনা গর্ভবতী হয়ে পড়লে পিওটর তাকে বিয়ে করেন। যদিও এ বিয়ের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি পিওটর কিংবা মেরিনা কেউই। গত সপ্তাহে পিওটর ও মেরিনা দম্পতি এক পুত্রসন্তান জন্ম দেয় বলে নিশ্চিত করেছে সূত্র। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পিওটর দাবি করেন, চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পরও আমি বাংলাদেশ ত্যাগ করিনি সন্তানের কথা ভেবে। আমার আরও দুই সদস্যকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দর পর্যন্ত গিয়েছিলাম। তারাও আমাকে বলেছিল তাদের সঙ্গে চলে যেতে। কিন্তু আমি যাইনি। বিয়ের পর আমি হোটেল ছেড়ে অন্যত্র বাসাভাড়া নিয়েছিলাম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, গুলশান-২ এর ১১৩ নম্বর সড়কের ১২ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে পিওটরকে। মেরিনার দাবি, তারা নোটারি পাবলিক করেছেন। তাদের উভয়ের স্বাক্ষর রয়েছে। মানবিক কারণে তাকে ওই সময় আটক করা হয়নি। তবে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সূত্র জানায়, পিওটরের সঙ্গে সম্পর্কের আগে অন্যত্র বিয়ে হয়েছিল মেরিনার। আগের স্বামীর ঘরে বেশি দিন সংসার করা না হলেও ওই ঘরে তাদের একটি সন্তান ছিল। পিওটর যেখানে এই অপকর্মের আখড়া গেড়েছেন সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য স্থানীয় নাগরিককে বিয়েও করেছিলেন।
