নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেছেন, ‘ধরে নেব যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তারা সবাই আমাদের সহযোগিতা করছেন। আমরাও তাদের জন্য সমস্ত দ্বার খুলে দেব।’ তিনি উল্লেখ করেন, মনোনয়নপত্র জমায় বাধা দেওয়ার ‘উড়ো খবরের’ ভিত্তিতে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। কাউকে ঘর থেকে এনেও নির্বাচন করানো যাবে না। গতকাল ইসি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের শতাধিক প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া এবং ভয়ভীতি দেখানোর’ অভিযোগ প্রসঙ্গে শাহনেওয়াজ বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তার পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়েও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রার্থীরা যাতে বাধার সম্মুখীন না হন, সে জন্য যা যা করা দরকার সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামীতে অনলাইনেও মনোনয়নপত্র নেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। আমরা যেখানে যুক্তিগ্রাহ্য অভিযোগ পেয়েছি সেখানে ব্যবস্থা নিয়েছি। যেমন ফেনীর ফুলগাজীতে ভোট বন্ধ করা হয়েছে, পরশুরামে মনোনয়ন জমার সময় একদিন বাড়ানো হয়েছে। এরপরও কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তা সুনির্দিষ্ট আকারে আসতে হবে। কোনো উড়ো খবরের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। ঘরে বসে থাকা কাউকে ভোটে আনা যাবে না।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভয় দেখানোর বিষয়ে যথার্থ অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। কেউ যদি ঘরে বসে থাকে, তাকে ঘর থেকে টেনে এনে তো নির্বাচন করাতে পারব না আমরা। কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আইনগতভাবে নির্বাচিত হতে বাধা না থাকলেও বেআইনি কার্যক্রমের বিষয়ে ইসি কঠোর থাকবে।’ ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৬২ প্রার্থী’ নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে শাহনেওয়াজ বলেন, ‘কোথাও অনিয়ম হলো কি না— আমরা সেটিই দেখব। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলো— এটা আমাদের দেখার বিষয় না। আইনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিধান রয়েছে। প্রত্যেক নির্বাচনেই আমরা শক্ত অবস্থানে থাকি।