শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

দখল সংঘর্ষ গুলিতে নিহত ১১

গুলিবিদ্ধ অর্ধশত : আহত কয়েকশ, স্থগিত ৩৩ কেন্দ্র, বর্জন ২৯ ইউপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দখল সংঘর্ষ গুলিতে নিহত ১১

বগুড়ার শিবগঞ্জের দেবিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। মুন্সীগঞ্জের কোলাপাড়ায় স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গোপন বুথে জাল ভোট দিচ্ছেন এক পুলিশ সদস্য। কেরানীগঞ্জ হযরতপুর ইউনিয়নে মধুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংঘর্ষে নিহত শিশু শুভর স্বজনের আহাজারি —বাংলাদেশ প্রতিদিন

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপেও গতকাল ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, কেন্দ্র দখল-বর্জন ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছেন ১১ জন। ৬৩৯ ইউপির বেশ কয়েকটিতে বোমাবাজি, গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলে। অবশ্য অধিকাংশ ইউপিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়। নারীদের উপস্থিতিও ছিল উল্লেখ করার মতো। তবে ১১ জনের প্রাণহানি ম্লান করে দিয়েছে ভোটের উৎসব।

সহিংসতায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে তিনজন, ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক শিশু, জামালপুরে একজন, মাদারীপুরে একজন, মানিকগঞ্জে একজন, যশোরে তিনজন ও নাটোরে একজন নিহত হন। এর মধ্যে ভোটে নাশকতা সৃষ্টির জন্য বোমা তৈরি করতে গিয়ে যশোরে নিহত হন দুজন। নানা অনিয়মে ৩৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সহিংসতায় অর্ধশত গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন কয়েকশ। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা ২৯ ইউপিতে ভোট বর্জন করেছেন। শতাধিক গ্রেফতারের খবরও পাওয়া গেছে। প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণার পর থেকে গত দেড় মাসে এ পর্যন্ত ৩৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

নির্বাচন কমিশন দাবি করেছে, দ্বিতীয় ধাপে ভোট মোটামুটি সুষ্ঠু হয়েছে। তবে কয়েকটি ইউপিতে কিছু ঘটনা সামগ্রিক অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে। বিএনপি দাবি করেছে, প্রথমবারের মতো ভোট ডাকাতি হয়েছে। তৃতীয় ধাপ থেকে নির্বাচন বর্জনের হুমকিও দেয় দলটি। তবে ইউপি নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলা যাবে না বলে মন্তব্য করেছে আওয়ামী লীগ। দু-একটি স্থানে সংঘাত-সংঘর্ষ হয় দাবি করে দলটি বলেছে, একে বড় করে দেখা যাবে না। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে বেসরকারি সংস্থা ব্রতী বলেছে, অধিকাংশ কেন্দ্রে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রের বাইরে সরকার সমর্থকদের বিপুল উপস্থিতি থাকলেও বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ—

চট্টগ্রাম : সন্দ্বীপ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বিকাল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার বাউরিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন মোহাম্মদ ইব্রাহীম (৩৫), মো. জামাল (৩৪) ও সানাউল্লাহ (৪৫)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকাল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষে বাউরিয়া ইউনিয়নে কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ব্যাপক গুলিবিনিময়ে তিনজন নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। এদিকে কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই ও এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ এনে দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রামের তিন উপজেলার ৩০ ইউনিয়নের মধ্যে ২৮ ইউনিয়নে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আসলাম চৌধুরী। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাটের নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তিনি। কেরানীগঞ্জ : হযরতপুর ইউনিয়নের মধুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ক্যাডারদের হামলা ও গুলিতে শাহিদুল ইসলাম শুভ (১০) নামের এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এ ঘটনায় আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হয়েছেন। নিহত শুভ ওই এলাকার ঢালিকান্দি গ্রামের আলাল মোল্যার ছেলে। স্থানীয়রা জানান, সকাল পৌনে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আয়নালের ক্যাডার রানা মোল্যার নেতৃত্বে ২০-৩০ জন অস্ত্রধারী কেন্দ্রে হামলা চালায়। এ সময় তারা ১০-১৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে স্থানীয় আলাল মোল্লার ছেলেসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর অবস্থায় শিশু শুভকে স্থানীয় মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে শিশুটি মারা যায়। গোলাগুলির পর ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। জামালপুর : মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের উত্তর বালুরচর গ্রাম কেন্দ্রের সামনে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলাকালে রফিকুল ইসলাম নামে একজন নিহত হন। তবে পুলিশ দাবি করেছে, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়। এদিকে আদ্রা ইউনিয়নের আবদুল মান্নান উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে জোর করে ব্যালট পেপারে সিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষে বিএনপি প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এদিকে কেন্দ্র দখল, জোর করে ব্যালট পেপারে সিল দেওয়ার অভিযোগে মেলান্দহ উপজেলার নাংলা, মাহমুদপুর, আদ্রা ও ফুলকোচা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। যশোর : সদর উপজেলায় বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যাপক বোমাবাজি, গুলি আর জাল ভোটের মধ্য দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সহিংসতায় নিহত হন একজন ফেরিওয়ালা। আহত হন অন্তত ছয়জন। অনিয়মের কারণে সাতটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। আটক করা হয় তিন প্রিসাইডিং অফিসার ও দুই সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে। বেলা ১১টার দিকে চাঁচড়া ইউনিয়নের ভাতুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয়। এ সময় বোমার স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আবদুস সাত্তার বিষে (৬৫) নামের এক ফেরিওয়ালা। শহরের খোলাডাঙ্গার রেললাইনের পাশে তার বাড়ি। অন্যদিকে যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের আন্দোলপোতায় বোমার বিস্ফোরণে আহত পাঁচজনের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। ভোরে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। বুধবার রাতে আন্দোলপোতা হাজি মতিউর রহমান ডিগ্রি কলেজে বোমার বিস্ফোরণে পাঁচজন গুরুতর আহত হন।

নাটোর : নাটোরে লালপুর উপজেলার নির্বাচনী সহিংসতায় বিপ্লব নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে আড়বাব ইউনিয়নের আড়বাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় বিএনপির চার কর্মী আহত হয়। এ সময় বিপ্লব, রেন্টু ও মিতা আহত হন। বিপ্লবের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মানিকগঞ্জ : জেলার হরিরামপুর ও দৌলতপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন জাল ভোট, কেন্দ্র দখলসহ নানা অনিয়মের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিপক্ষের আঘাতে নাসেমা বেগম নামে (৫০) এক নারী মারা যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে বিজয়ী ইউপি সদস্য তোতা প্রধানের সমর্থকরা প্রতিপক্ষ শিপনের বাড়িতে হামলা করেন। এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান নাসেমা বেগম। এতে আহত হন চারজন। এর আগে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ আট রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলির আঘাতে সৈয়দ হুমায়ন কবির সিরাজ নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। ভোলা : সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সাংবাদিকরা অবস্থান করার সময় হঠাৎ অসাবধানতাবশত পুলিশের গুলিতে এনটিভির ভোলার স্টাফ করেসপনডেন্ট গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গুলি বের করার সময় মিস ফায়ারিংয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। মাদারীপুর : মাদারীপুরে ভোট সহিংসতায় পুলিশের গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গত সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের দক্ষিণ বীরাঙ্গল গ্রামে সংঘর্ষে বাচ্চু মৃধার ছেলে সুজন মৃধা নিহত হন। বাচ্চু মৃধা বলেন, ‘আমার ছেলেকে এএসআই এনামুল গুলি করে হত্যা করেছেন।’ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন জানান, ‘সংঘর্ষের সময় কোন পক্ষের গুলিতে সুজন নিহত হয়েছেন আমরা তা জানি না।’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদারীপুরে ভোট গ্রহণের শুরুতেই ব্যাপক সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা, ব্যালট ছিনতাই, বাক্স ভাঙচুর, গোলাগুলি, বোমাবাজি, ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইল সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হাফিজুর রহমান জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা ভোলার নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে অলোয়া ইউনিয়নের ভারই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের মধ্য থেকে ১৮ জনকে আটক করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া : নবীনগরে সাতমোড়া ইউনিয়নের ছোট শিকানিকা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মেম্বার প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে ভোট দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হন।  নোয়াখালী : কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের পাঁচটি কেন্দ্রে জাল ও অনিয়মের অভিযোগে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।  কুমিল্লা : সংঘর্ষ, গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, বিএনপির এজেন্টদের বের করে কেন্দ্র দখলের মধ্য দিয়ে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার পাঁচ ও বরুড়া উপজেলার নয় ইউপির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বেলা আড়াইটায় কারচুপির অভিযোগ এনে সদর দক্ষিণ উপজেলার পাঁচ ইউপির বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জন করেছেন। কেন্দ্র দখলসহ সংঘর্ষের ঘটনায় জেলার বরুড়ার চিতড্ডা ইউপির মুকুন্দপুর ও ভঙ্গুয়া কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার। এ ছাড়া খোশবাস ইউপির আরিফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মীরা জাল ভোট মারার সময় আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও জাপার কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় গুলিবিনিময়ের ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচজন আহত হন। গাজীপুর : ব্যাপক অনিয়ম, জাল ভোট ও জোরপূর্বক সিল মারার মধ্য দিয়ে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সাত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। চাঁদপুর : সদরের ১২ ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত নির্বাচন বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ১১ চেয়ারম্যান প্রার্থী বয়কট করেছেন। এর মধ্যে বিএনপির ছয় প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন। এদিকে শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের লোধেরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার ছিনতাই করার সময় পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ১৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নয় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, কেন্দ্র দখল ও ব্যালট ছিনতাইয়ের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এসব ঘটনায় ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। কিশোরগঞ্জ : বাজিতপুরের কৈলাগ ইউনিয়নের পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে গরমিল পাওয়ায় প্রশাসন এ কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করে। মুন্সীগঞ্জ : ব্যালট পেপার ছিনতাই, কেন্দ্র দখলের চেষ্টা, ককটেল বিস্ফোরণ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের গুলিতে একজন ও ককটেল বিস্ফোরণে তিনজন আহত হয়েছেন। লালমনিরহাট : সানিয়াজান ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর