সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাংলাদেশের জন্য অসাধারণ টুর্নামেন্ট

খালেদ মাসুদ পাইলটের কলাম

বাংলাদেশের জন্য অসাধারণ টুর্নামেন্ট

পাঠক, আমার লেখাটি যখন পড়বেন, চ্যাম্পিয়ন দলের নাম আপনারা পেয়ে যাবেন। অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ মহিলা টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে। আমি ক্যারিবীয় মহিলা দলকে অভিনন্দন জানাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ায়। যদিও আমরা মহিলাদের ক্রিকেটটা সেভাবে অনুসরণ করিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়ার ফাইনাল দেখার পর আমার মনে হয়েছে মহিলাদের ক্রিকেটেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। ক্যারিবীয়দের জয়জয়কার টুর্নামেন্টে। সব মিলিয়ে আমি বলব দারুণ একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয়েছে। সুপার টেনে হয় তো বাংলাদেশ একটি ম্যাচও জিততে পারেনি। তারপরও আমি বলব বাংলাদেশের জন্য খুব ভালো একটি টুর্নামেন্ট হয়েছে। দলগত ও ব্যক্তিগত সাফল্যে ভরপুর টুর্নামেন্টে আরেকটি দলের কথা না বললে নয়। আফগানিস্তান খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে। হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। টি-২০ বিশ্বকাপের সব ভালো লেগেছে আমার। শুধু একটি বিষয় ছাড়া। টুর্নামেন্ট চলাকালীন বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানিকে বাদ দেওয়াকে আমি অযৌক্তিক মনে করি। টুর্নামেন্টের মাঝপথে এটা না করলেও পারত আইসিসি। মনে রাখা উচিত, একটি দল পরিকল্পনা নিয়ে খেলতে আসে। বাংলাদেশও গিয়েছিল পরিকল্পনা নিয়ে। তাসকিন ও আরাফাতের নিষেধাজ্ঞায় বেশ জোর ধাক্কা খায়। যার প্রভাব পড়েছিল ম্যাচে। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছিল দুই ক্রিকেটারের নিষেধাজ্ঞা কতটা প্রভাব ফেলেছিল। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ছিল যাচ্ছেতাই। যদি মাশরাফিদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ পজিটিভ থাকত, তাহলে নিশ্চিত করেই বলতে পারি ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত। বাংলাদেশকে নিয়ে ভীষণ ভয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। ভারতের সঙ্গে জেতা ম্যাচ আমরা হেরেছি। এই দুটি ম্যাচ হেরেছি সামান্য কিছু ভুলে। ভবিষ্যতে যদি এই সামান্য ভুলগুলো শুধরে নিতে পারেন ক্রিকেটাররা, তাহলে আরও অনেক সাফল্য পাবে বাংলাদেশ। দলগত পারফরম্যান্সে আমি বাংলাদেশকে শতভাগ দেব না। কিন্তু ধর্মশালায় বাছাই পর্বে বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছেন মাশরাফিরা। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে আমি মুস্তাফিজুর রহমান ও তামিম ইকবালকে অভিনন্দন জানাই। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের পেসাররা বেশ ভালো করেছেন। তাসকিন নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিপক্ষ দলগুলোকে বেশ চাপে রাখতেন। সাকিব ভালো করেছেন। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও ভালো করেছেন। মুস্তাফিজ ইনজুরির জন্য মাত্র ৩টি ম্যাচ খেলেন। উইকেট নেন ৯টি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে তিনি নিজেকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়। প্রতিটি ম্যাচে দারুণ ধারাবাহিক মুস্তাফিজ প্রমাণ করেছেন তিনি এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা পেস বোলার। তামিম দারুণ ব্যাটিং করেছেন। সেঞ্চুরি করেন ওমানের বিপক্ষে। সব মিলিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ বাংলাদেশের জন্য দারুণ ছিল।

সর্বশেষ খবর