শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

সঞ্চালন লাইন ও বিতরণ সমস্যায় লোডশেডিং হচ্ছে

-------নসরুল হামিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সঞ্চালন লাইন ও বিতরণ সমস্যায় লোডশেডিং হচ্ছে

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, সঞ্চালন লাইন ও বিতরণ সমস্যায় এখনো লোডশেডিং হচ্ছে। দেশে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু এ পরিমাণ বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণের মতো সামর্থ্য তৈরি হয়নি। ফলে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ লাইন বন্ধ হওয়ায় এ সমস্যা হচ্ছে।

গতকাল রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনা নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি আরও বলেন, দেশব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে আরও তিন বছর লাগবে। রাজধানীতে নিরবচ্ছিন্ন ও ত্রুটিমুক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র ও বিতরণ লাইন মাটির নিচে নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে এ বছরই ধানমন্ডি এলাকায় এটি করা হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে পুরো ঢাকা শহরে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ক্যাবল আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে। এরপর চট্টগ্রাম ও সিলেটে একইভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। তিনি আরও বলেন, বিদ্যুতের সুবিধা বাড়াতে খরচ বাড়ছে, তাই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়াও চলছে। নসরুল হামিদ বলেন, জনবহুল এ দেশে ব্যবস্থাপনা বেশ কঠিন। শহর বড় হচ্ছে। গ্রামের মানুষ শহরমুখী। জমির দাম বাড়ছে। এদিকে বিদ্যুতের সেবা বাড়াতে হলে জমির প্রয়োজন, অথচ মানুষ জমি ছাড়বে না। এ বিষয়টি ব্যবস্থাপনার জন্য মাস্টারপ্ল্যান থাকতে হবে। সামনের দিনগুলোয় পরিবেশ এবং বিদ্যুতের সমন্বয় হবে বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে পরিবেশ, প্রাথমিক জ্বালানি ও বৈশ্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় রাখতে হবে। প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি সরানো হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, উদ্যোক্তা চাইলে বাঁশখালী থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প সরাতে সরকার সহায়তা করবে। তবে সরকার সেখানে হতাহতের ঘটনা তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেখানে ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে। তারা সেখানে জমি অধিগ্রহণ করেছে। তারা যদি হতাহতের ঘটনায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থান পরিবর্তন করে, তবে সরকার কোনো আপত্তি করবে না। তিনি জানান, স্থানীয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি করে দোষীদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে। কর্মশালায় বিদ্যুৎ সচিব ও ভারত বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম জানান, চলতি মাসেই রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ চুক্তি সই হবে। খুব শিগগিরই এ চুক্তির দিন-তারিখ ঠিক করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর