সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

তিন ট্যানারি মালিককে পুলিশে সোপর্দ

পাঁচ ঘণ্টা পর শর্তসাপেক্ষে মুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্ধারিত সময় কারখানা স্থানান্তর না করায় তিন ট্যানারি মালিককে পুলিশে সোপর্দ করলেন আদালত। গতকাল আদালতের তলবে হাজিরা দিতে এলে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পাঁচ ঘণ্টা পুলিশি হেফাজতে থেকে পরে আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা ও আজকের মধ্যে স্থানান্তরের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শর্তে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। ওই তিন ট্যানারি মালিক হলেন— পূবালী ট্যানারিজের মাহবুবুর রহমান, রুমি লেদার ইন্ডাস্ট্রিজের গিয়াস উদ্দিন আহমেদ পাঠান ও মেসার্স প্যারামাউন্ট ট্যানারিজের মো. আকবর হোসেন। গতকাল বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি শাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ট্যানারি স্থানান্তরে আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ না করায় ১০ মালিককে ২৩ মার্চ তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। গতকাল তিন মালিক সশরীরে হাজির হন। হাজিরা দিয়ে তারা স্থানান্তর না করার বিষয়ে আদালতের কাছে কোনো ব্যাখ্যা দেননি। ব্যাখ্যা না দেওয়ায় তাদের কোর্ট তত্ত্বাবধায়কের মাধ্যমে পুলিশে সোপর্দ করার আদেশ দেন হাইকোর্ট। পরে কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক তাদের কোর্ট পুলিশের কাছে রাখেন। তাদের আইনজীবী ফিদা এম কামাল তাদের পক্ষে আদালতে সময়ের আবেদন ও নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। আজ দুপুর ১টার মধ্যে ট্যানারি সরানোর বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে জমা দেবেন— এ শর্তে আদালতের নির্দেশে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয় বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। বাকিদের মধ্যে মেসার্স করিম লেদারের রেজাউল করিম আনসারী, জুলেট এন্টারপ্রাইজের মো. সায়েদুল হক মাস্টার ও সালাম ট্যানারির মো. আবদুস সালাম মারা গেছেন। এ ছাড়া মেসার্স মাহিন ট্যানারির আবদুল ওয়াদুদ মিয়া, মেসার্স নবীপুর ট্যানারির আবদুল ওয়াহাব ও মেসার্স এশিয়া ট্যানারির মো. মফিজ মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন হাইকোর্ট। রানা লেদার ইন্ডাস্ট্রিজের আরেফিন সামছুল আলামিন বিদেশে রয়েছেন। এ কারণে তাকে ৩ মে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর