সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

এবার ইকুয়েডরে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ২৩৫

প্রতিদিন ডেস্ক

এবার ইকুয়েডরে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ২৩৫

মিয়ানমার, জাপানের পর এবার ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে। রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পে অন্তত ২৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ দফতরের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় (বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ৫৮মি.) এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পে দেশটির উত্তর-পশ্চিম অংশ পুরোটাই কেঁপে ওঠে। এই ভূমিকম্পের উত্পত্তিস্থল ছিল উপকূলীয় শহর মুইসেন থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৯ কিলোমিটার গভীরে। সমুদ্র তীরবর্তী গুয়াইয়াকুইল শহর এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। একটি উড়াল সেতু ভেঙে পড়েছে ইকুয়েডরের সবচেয়ে জনবহুল এই শহরে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রাজধানী কিউটোরও। ভেঙে পড়েছে প্রচুর ঘরবাড়ি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় দৈনিক এল টেলেগ্রাফো জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা ৫৮৮ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। দুর্গতদের জন্য খোলা হয়েছে পাঁচটি আশ্রয় কেন্দ্র। ভূমিকম্প আঘাত হানার পর ছয়টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের। রাজধানীর একটি বড় অংশ জুড়ে এখন বিদ্যুিবহীন অবস্থায় আছে। সন্ধ্যার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর দফায় দফায় মৃদু ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে সেখানে। বহু মানুষকে রাত কাটাতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হোর্হে গাস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জানমাল রক্ষায় জরুরি বিভাগ, পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। কলোম্বিয়াতেও এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সেখানে একটি ক্লিনিক থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরে ‘রিং অব ফায়ার’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠা ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় একুয়েডরের অবস্থান। বিশ্বের বড় ভূমিকম্পগুলোর একটি ঘটেছে এই ইকুয়েডরেই। ১৯০৬ সালের ১৩ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূকম্পন হয় এখানে। এদিকে ইকুয়েডোরে ভূমিকম্পের পর পার্শ্ববর্তী দেশ পেরুর উপকূলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এএফপি, বিবিসি।

সর্বশেষ খবর