সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

অনুমোদন পেলেই তেজগাঁওয়ে মহাপরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনুমোদন পেলেই তেজগাঁওয়ে মহাপরিকল্পনা

তেজগাঁও শিল্প এলাকাকে শিল্প কাম বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় রূপান্তরের মহাপরিকল্পনা সংক্রান্ত নথিটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য শিগগিরই পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পেলেই এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। এই মহাপরিকল্পনাটি অনুমোদন পেলে তেজগাঁও এলাকায় কোনো স্থাপনা নির্মাণে মহাপরিকল্পনা অনুসরণ করতে হবে। গতকাল সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তেজগাঁও শিল্প এলাকাকে শিল্প কাম বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় রূপান্তরের মাস্টারপ্ল্যান পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃ মন্ত্রণালয় কমিটির সভায় এসব কথা জানানো হয়। সভা শেষে মন্ত্রী জানান, সভায় মহাপরিকল্পনার বিভিন্ন প্রস্তাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে গৃহীত সুপারিশমালা চূড়ান্ত করা হয়। এ সুপারিশমালা শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। তিনি যদি ডেকে পাঠান, ব্যাখ্যা চান বা কোনো নির্দেশনা দেন, তাহলে সে অনুযায়ী কাজ করব। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ বলেন, এখানে প্রতিটি ভবনের নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা থাকবে। এ এলাকায় কাজের জন্য আগত বা অতিথিদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য পৃথক পার্কিং ভবন নির্মাণ করা হবে। গণপূর্ত অধিদফতরের নিয়ন্ত্রিত প্লটগুলোতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে। এ এলাকায় কোনো ভারী ও শ্রমঘন শিল্প স্থাপনে অনুমতি দেওয়া হবে না। বেসরকারি প্লটে শিল্প, বাণিজ্যিক, হোটেল, হাসপাতাল ইত্যাদি স্থাপনা নির্মাণ করা হলে পয়ঃবর্জ্য, রাসায়নিক বর্জ্য ও বায়ুপরিশোধনের নিজস্ব ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ এলাকার মাস্টারপ্ল্যানের বিভিন্ন সুপারিশ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের বিষয়ে তেজগাঁও শিল্প মালিক কল্যাণ সমিতিকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এ সমিতি কোনো বিষয়ে ত্রুটি দেখলে তা রাজউককে জানাবে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, পুরো এলাকায় ট্রাফিক সিস্টেম, পার্কিংয়ের জন্য আলাদা ভবন থাকবে। সব ভবনের নিচে অবশ্যই পার্কিংয়ের ভালো ব্যবস্থা থাকতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সব বিষয়ে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা রাখতে হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমনিতে ওই এলাকায় ভারী কোনো শিল্প কেন্দ্র নেই। শ্রমঘন কোনো শিল্প সেখানে থাকবে না। কেমিক্যাল কারখানাগুলোকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। সব শিল্প-কারখানায় বাধ্যতামূলকভাবে ইটিপি করতে হবে। সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউক চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত সচিব এম বজলুল করীম চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান মুন্সী, নগর উন্নয়ন অধিদফতরের পরিচালক ফওজী বিন ফরিদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জ্যোতির্ময় দত্ত, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলামসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর