গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ডাচবাংলা ব্যাংকের বুথে টাকা ঢোকানোর সময় প্রায় দুই কোটি টাকা লুটের ঘটনায় মূল হোতাসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৯ লাখ টাকা। গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, বুথের টাকা লুটের জন্য দুই মাস আগে পরিকল্পনা করে তারা। লুটের ঘটনায় অংশ নেয় মোট ১৩ জন।
গতকাল টাকা লুটের ঘটনার মূল হোতা হাবীব ওরফে রুবেলসহ (৩২) ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন— শাহাদাত (২৪), ইসমাইল (২৮), শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ (৩৬), ফরিদ (৩৩), দেলোয়ার ওরফে দেলু (২৮), ইব্রাহীম (২৩), নজরুল ইসলাম ওরফে সবুজ (২৩), আলমগীর হোসেন ওরফে পাঞ্জু মোল্লা (৪৯) ও হাসান মীর (৩৪)। গ্রেফতারকৃতরা জানায়, লুটের পর তারা টাকা নিয়ে ময়মনসিংহ রোডের মাওনা ফুলবাড়িয়ার দিকে চলে যায়। সেখানে গিয়ে ট্রাঙ্ক থেকে টাকা তিন ভাগে ভাগ করে তিন দলে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় তারা। জানা যায়, ২ মার্চ রাতে কালিয়াকৈরের কোনাবাড়ী এলাকার ডাচবাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা ভরানোর সময় এক কোটি ৮৪ লাখ লাখ টাকা লুট হয়। ঘটনার পরপরই কালিয়াকৈর থানা পুলিশ মিন্টু ও ইমন নামে দুজনকে গ্রেফতার করে। তবে তাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করতে পারেনি। গতকাল র্যাব সদর দফতরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, এটিএম বুথের প্রায় দুই কোটি টাকা লুটের ঘটনার পর থেকেই র্যাবের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর একটি দল অভিযান শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের অভিযানিক দলটি জানতে পারে এটিএম বুথ লুটের মূল হোতা রুবেল টাকার ভাগের একটি অংশ আরেক সহযোগী ডাকাত শহীদকে দিতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে তারা নতুন অপারেশনে নামার জন্য বৈঠক করবে। এ তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা জয়দেবপুর ইটাহাটি জমির উদ্দিন মার্কেটের সামনে অবস্থান নেয়। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ভাড়া করা একটি টেম্পো থেকে ডাকাত সর্দার রুবেল, শাহাদাত ও ইসমাইলকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি পিস্তল, নগদ ৯ লাখ চার হাজার ৮৪৫ টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা টাকা লুটের ঘটনা স্বীকার করে। তাদের দেওয়া তথ্য মতে, গাজীপুরের শালনা বাজার থেকে ডাকাত শহীদকে গ্রেফতার করা হয়। ডাকাত শহীদের দেখানো মতো দুটি বড় ছোড়া উদ্ধার করা হয়।