রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

ভোটের পক্ষে বিপক্ষে

নিজস্ব প্রতিবেদক

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে দাবি করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলেছে, এতগুলো (৫৫২৬টি) কেন্দ্রের মধ্যে ২-১টি স্থানে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এটি খুবই নগণ্য। যা শূন্য শতাংশের মধ্যেই আসে। গতকাল বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির  ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এসব কথা বলেন। হানিফ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে শুরু থেকেই একে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নিয়েছিল বিএনপি। নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী বাছাইয়ে, মনোনয়ন প্রদানে তাদের কোনো আগ্রহ নেই।

‘অর্থহীন’ ভোটে সাক্ষিগোপাল ইসি : গতকাল অনুষ্ঠিত তিন ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপি ঠেকাতে ‘কার্যকর’ পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আশ্বাসে আস্থা রাখতে পারছে না বিএনপি। এ ছাড়া ক্ষমতাসীন দলের জবরদস্তির এ নির্বাচনে কমিশনকে সাক্ষিগোপাল হিসেবে আখ্যায়িত করেছে দলটি। গতকাল বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে বৈঠক করে এসব কথা বলেন। তারা বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের জবরদস্তির এ নির্বাচনে সাক্ষিগোপাল নির্বাচন কমিশন। এ ধরনের অর্থহীন নির্বাচনে জনমতের কোনো প্রতিফলন নেই। স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল ভোট শেষে গতকাল বিকাল ৪টার পরে শেরেবাংলানগর কার্যালয়ে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

অনিয়ম-সহিংসতা হয়েছে, তবে কম : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ইউপি নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটে কিছু অনিয়ম-সহিংসতা বিচ্ছিন্নভাবে ঘটলেও তা আগের তুলনায় কম। বড় ধরনের জানমালের ক্ষতি ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় ইসির মিডিয়া সেন্টারে ভোট শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। এ ধাপে ৬১৪ ইউপির ভোট হয়েছে। ভোটের সময় অনিয়ম ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত হওয়ায় ২৪টি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করা হয়েছে। গত আড়াই মাসে ভোটকে কেন্দ্র করে ৪০ জনেরও বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। অনেক নির্বাচনী এলাকায় সংঘর্ষে আহত হয়েছে সহস্রাধিক। সহিংসতা ও অনিয়ম শূন্যের কোঠায় আনতে ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান সিইসি। ভোটকে কেন্দ্র করে কেন সহিংসতা হবে? প্রশ্ন রেখে সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন বলেন, রাজনৈতিক দলের কর্মীদের অসহিষ্ণুতার কারণে সহিংসতা ঘটছে। মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করলে ও সবার মত প্রকাশে সাহায্য করলে কোনো অঘটন ঘটবে না। আমরা সবার সহযোগিতা চাই।

 বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে সিইসি জানান, দলটির নিজস্ব অবস্থান থাকলেও কমিশন সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হয়েছে। মাঠপর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তারা উপযুক্ত কারণে কেন্দ্র বন্ধ করেছেন। তবে আগামীতে আরও শান্তিপূর্ণ ভোট করার সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

 

সর্বশেষ খবর