শিরোনাম
বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিচারক অপসারণে দলীয় মতের বিপক্ষে ভোটে বাধা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিচারক অপসারণে দলীয় মতের বিপক্ষে ভোটে বাধা নেই

এ বি এম খায়রুল হক

অসদাচরণের জন্য উচ্চ আদালতের কোনো বিচারককে অপসারণের ক্ষেত্রে সংসদে দলীয় মতের বিপক্ষে ভোট দিতে কোনো সাংবিধানিক বাধা নেই বলে মনে করেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। তিনি বলছেন, এসব ক্ষেত্রে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের ‘ফ্লোর ক্রসিং’-এর বিধান প্রযোজ্য হবে না। গতকাল মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন পাওয়া বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বিচারক (তদন্ত) আইন, ২০১৬-এর খসড়ার বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আইন কমিশন ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

খায়রুল হক আরও বলেন, আইনটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এমনও নয় যে আগামীকালই আইনটি হয়ে যাচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক প্রধান বিচারপতি বলেন, মন্ত্রিসভা চাইলে প্রস্তাবিত আইনটি আগেও উত্থাপন করতে পারত। পরেও নিতে পারত। তবে এর ফলে হাইকোর্টের রায় কোনো সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। কারণ, এটি নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংসদীয় কমিটিতে যাবে কিংবা আরও আলাপ-আলোচনা হবে।

আগামী ৫ মে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণসংক্রান্ত সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ চ্যালেঞ্জ করে করা মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে গতকাল সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণসংক্রান্ত আইনটির খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয় মন্ত্রিসভায়। প্রস্তাবিত এ আইনটির বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য আইন কমিশন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এ বি এম খায়রুল হক বলেন, প্রস্তাবিত এ আইনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অনর্থক চাপ দেওয়া বা যে কোনো ধরনের হয়রানি এড়ানোর সর্বোচ্চ সুযোগ রাখা হয়েছে। প্রতিটি স্তরে যেন তারা আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যাপ্ত সুযোগ পান তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে বিচারক অপসারণের ক্ষেত্রে কোনো এমপি দলের বিপক্ষে ভোট দিলে ‘ফ্লোর ক্রসিং’ হবে কিনা— এক সাংবাদিক জানতে চাইলে বিচারপতি খায়রুল হক বলেন, ‘আমার তো মনে হয়, হবে না। আর্টিক্যাল ৭০ এ রকম কিছু বলেনি।’ আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করলে দুই বছরের জেল ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচারককে শাস্তি দেওয়া বা না দেওয়া সংসদের এখতিয়ার। কিন্তু অভিযোগকারীর শাস্তি হবে তখনই, যদি দেখা যায় যে, পুরোপুরি একটা মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগের ক্ষেত্রেও আদালতের সব প্রক্রিয়া পার হতে হবে বলে মত দেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইন কমিশনের সদস্য এম শাহ আলম।

সর্বশেষ খবর