শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিএনপিতে ঠাঁই পাবেন তো সাবেক ছাত্রদল নেতারা?

মাহমুদ আজহার

বিএনপিতে ঠাঁই পাবেন তো সাবেক ছাত্রদল নেতারা?

বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে ফেরার অপেক্ষায় শতাধিক সাবেক ছাত্রনেতা। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার আগ মুহূর্তে উদ্বেগ-উত্কণ্ঠায় দিন কাটছে তাদের। বিএনপির আগের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন বেশ কয়েকজন নেতা। এবার পদোন্নতি চান তারা। তবে পদ হারানোর শঙ্কাও রয়েছে কারও কারও মধ্যে। বিএনপির সদ্য ঘোষিত আংশিক কমিটিতেও পদোন্নতি না দেওয়ার নজির ছিল। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের এক সময়ের ডাকসাইটে নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জায়গা দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। তারুণ্যনির্ভর কমিটিতে সাবেক ছাত্রনেতাদের আধিক্য থাকবে। ক্যাম্পাস কাঁপানো সেই ছাত্রনেতাদের নির্ভরযোগ্য পদে চান দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও। ছাত্রনেতাদের যোগ্যতা অনুযায়ী পদবিন্যাস করা হচ্ছে। দলীয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এরই মধ্যে অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, হাবিব-উন নবী খান সোহেলসহ কয়েকজন সাবেক ছাত্রনেতাকে সদ্য ঘোষিত বিএনপির আংশিক নির্বাহী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা দেওয়া হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, আন্তর্জাতিকসহ সম্পাদক পর্যায়েও দায়িত্ব পাবেন অনেক নেতা। দলের নির্বাহী কমিটি থেকে শুরু করে কেউ কেউ বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের শীর্ষ পদেও ঠাঁই পাবেন। মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ২৫টি উপকমিটিতেও প্রাধান্য থাকবে সাবেক ছাত্রনেতাদের। বিএনপির সিনিয়র এক নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, বিএনপির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে ছাত্রদল। তাই দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত। যদিও বিভিন্ন সময়ে সাবেক ছাত্রদলের গুটিকয়েক নেতার অনাকাঙ্ক্ষিত ভূমিকায় বেগম খালেদা জিয়াকে আহত করেছে। এখনো কিছু নেতার ওপর তিনি ক্ষুব্ধ। আশা করছি, ভবিষ্যতে আর ছাত্রনেতারা বিএনপির সঙ্গে কোনো বিশ্বাস ঘাতকতা করবে না। বিএনপির মূলনীতির ওপর আস্থা রেখেই খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তারা দলের নেতৃত্ব দেবেন। এতে দল ও দেশ উপকৃত হবে।  ছাত্রদল প্রতিষ্ঠার পর থেকে বর্তমান কমিটির আগ পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন কাজী আসাদুজ্জামান আসাদ, শামসুজ্জামান দুদু, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, আমানউল্লাহ আমান, সানাউল হক নীরু, নাজিম উদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, আবদুল মালেক, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মুনির হোসেন, আবু আশফাক, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাহাবুদ্দিন লাল্টু, এবিএম মোশাররফ হোসেন, মীর সরাফত আলী সপু, সাইফুল আলম নীরব, আবদুল খালেক, আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহীন, আজিজুল বারী হেলাল, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, রকিবুল ইসলাম বকুল, রবিউল ইসলাম লাবলু, শফিউল বারী বাবু, শামীমুর রহমান শামীম, গোলাম সারোয়ার, শামসুল আলম তোফা, মীর নেওয়াজ আলী, মামুন হাসান, হারুন অর রশীদ, রওনাকুল ইসলাম টিপু, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, সাইদ সোহরাব, আবদুস সাত্তার, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, ফরহাদ হোসেন আজাদ, আবদুল বারী ড্যানি, মনির হোসেন, মোরতাজুল করীম বাদরু, আ ক ম মোজাম্মেল হক, আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, মোস্তফা খান সফরী, এবিএম শামসুল হক (ভিপি শামসু), রুহুল আমিন বাবলু, হাবিবুর রশীদ হাবিব, বজলুল করীম চৌধুরী আবেদ, নূরুল ইসলাম নয়ন, হাসান মামুন, আবদুল মতিন, একরামুল হক বিপ্লব, আজহারুল ইসলাম মুকুল, সাইফুল ইসলাম পটু, আসাদুজ্জামান নেছার, মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, হায়দার আলী লেলিন, বেনজির আহমেদ টিটু, ড. শামসুজ্জামান মেহেদী, কাজী রফিক, রুহুল আমিন আকিল, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, এবিএম পারভেজ রেজা, এস এম জাঙ্গাঙ্গীর, রফিকুল আলম মজনু, ইয়াসিন আলী, ফখরুল ইসলাম রবিন, রেজাউর রহমান তপন, জাকির হোসেন সিদ্দিকী, গোলাম মাওলা শাহীন, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, ওমর ফারুক শাফিন, ওবায়দুল হক নাসির, শাম্মী আকতার, শেখ মোহাম্মদ শামীম, আবু বকর সিদ্দিক, এস এম জিলানী, আবদুল্লাহ আল মিঠু, দুলাল হোসেন, আহসান উদ্দিন খান শিপন, শেখ আবদুল আলিম খোকন, আবু সাঈদ, আনোয়ারুল হক রয়েল, মাহবুবুর রশীদ, সাইফুল ইসলাম, জাবেদ হাসান স্বাধীন, জাহাঙ্গীর হাসান, তরুণ দে, আসাদুজ্জামান পলাশ, রফিকুল ইসলাম রাসেল, একরামুল হক বিপ্লব, সাইদ ইকবাল টিটু, রফিকুল ইসলাম রফিক, মাহবুবুল হাসান পিংকু ভূঁইয়া, রফিক আহমেদ ডলার প্রমুখ। এক সময়ের ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব ও ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলও বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবেন। নব্বই দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা ডাকসাইটের ছাত্রদল নেত্রী শিরিন সুলতানা, হেলেন জেরিন খান, নিলোফার চৌধুরী মনি, রেহেনা আক্তার রানু, আসিফা আশরাফি পাপিয়া, নাজমুন নাহার বেবী, রাশেদা বেগম হীরা, সাইমুম বেগম, আফসানা মিতু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েন রুকসানা বেগম টুকটুকি, কলি প্রমুখও বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে ফিরবেন। ইতিমধ্যে ঘোষিত কমিটিতে দুজন নারীকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। নারী নেত্রীদের বেগম জিয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বাকি কমিটির উল্লেখযোগ্য অংশ থাকবে নারী প্রতিনিধি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসাইটে ছাত্রনেতাদের মধ্যে মতিউর রহমান মন্টু, বাহাউদ্দিন বাহার, রাজ্জাকুল ইসলাম রাজা, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, রবিউল আলম বুলেট, মিসফাক আহমেদ রাকী প্রমুখ ঠাঁই পেতে পারেন বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে। এর মধ্যে যুবদলের গুরুত্বপূর্ণ পদে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শহীদ উদ্দীন চৌধরী এ্যানী, সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, নুরুল ইসলাম নয়ন, রফিকুল আলম মজনু, এস এম জাহাঙ্গীর, মোরতাজুল করীম বাদরু, আ ক ম মোজাম্মেল হক, মামুন হাসান, ভিপি শামসু, মাহবুবুল হাসান পিংকু ভূইয়া প্রমুখ নেতার।

এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবক দলেন শীর্ষ পর্যায়ের পদে আসতে পারেন মীর সরাফত আলী সপু, শফিউল বারী বাবু, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ইয়াসিন আলী, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, আবু সাইদ, ফখরুল ইসলাম রবিন প্রমুখ নেতা।

সর্বশেষ খবর