শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কের শহর রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কের শহর রাজশাহী

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহীর পরিবেশ এত বেশি খারাপ ছিল না। কিন্তু পরপর তিন দিনে চারটি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। সে কারণে বিষয়টি সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে যারা শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মী বা মুক্তচিন্তার চর্চা করেন তাদের বড় নাড়া দিয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউল করিমকে যেভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হলো; ঘাড়ের সঙ্গে তার মাথাটা অল্প লেগে ছিল। এটি ভয়াবহ-বীভৎস হত্যাকাণ্ড। অধ্যাপক হত্যার পরদিনই নিজ চেম্বারে গুলিতে নিহত হলেন আওয়ামী লীগ নেতা টুকু। সব কিছু মিলিয়ে হঠাৎ করে পরিবেশটা সবার জন্য উত্কণ্ঠা ও আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা আরও বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের তত্পরতায় শিথিলতা, ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিউনিটি পুলিশের কার্যক্রম বন্ধ থাকা ও প্রগতিশীল দলগুলোর গাছাড়া ভাবসহ নানা কারণে আজকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন অবস্থা। পুলিশ প্রশাসনকে আমরা বার বার তত্পর হতে বলেছি। বিশেষ করে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহতভাবে চালাতে বলেছি। কোন কোন মেসে বা ছাত্রাবাসে কারা শিবিরের লোক আছে, কারা মৌলবাদী চিন্তাভাবনা করে, তাদের খুঁজে বের করতে বলেছি। আমরা বার বার বলার পরও তা করা হয়নি। খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিশেষ করে ডিবি পুলিশ এসব কাজ ছেড়ে নাগরিকদের নানাভাবে হয়রানি করতে বেশি আগ্রহ দেখা যায়। নিরীহ মানুষের কাছে ‘কিছু’ দিয়ে তা উদ্ধারের দাবি করে তার কাছ থেকে অর্থ আদায় করাসহ নানাভাবে মানুষকে হয়রানি করতে ব্যস্ত তারা। এ ছাড়া নানা রকমের নোংরা কাজও তারা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি জানান, বিষয়টি উপরে জানানো হয়েছে। রাজশাহীর সাবেক মেয়র বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসনকে আরও গতিশীল করার পাশাপাশি র‌্যাবের কার্যক্রম বাড়াতে হবে। র‌্যাব যে কাজগুলো করে, তাতে জনমনে স্বস্তি এনে দেয়। র‌্যাবকে নিয়ে সুশীল সমাজ বা সচেতনরা নানা কথা বলতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেশের জন্য র‌্যাব উপযোগী বলে আমি মনে করি। লিটন বলেন, রাজশাহীর বর্তমান পরিস্থিতিতে ১৪ দলকে সুসংগঠিত রাখতে কাজ হচ্ছে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজশাহীর প্রশাসনকে সক্রিয় করতে বলেছি। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদেরকেও বিষয়টি বলেছি।

গত বছর হরতাল অবরোধে নাশকতা প্রতিরোধে যে কমিটি করা হয়েছিল, সেই কমিটিকে নিয়ে বসা, তাদের কাজের মধ্যে রাখা দরকার বলে মন্তব্য করেন খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বলেন, কিন্তু তাদের তেমন উৎসাহিত করা হয়নি সাম্প্রতিক দিনগুলোতে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এ কমিটি গঠন করা হলেও পরবর্তীতে এটি নিয়ে তেমন নাড়াচাড়া হয়নি। তবে আমরা এখন এই কমিটিকে কার্যকর করব।

সর্বশেষ খবর