মঙ্গলবার, ৩ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

ব্যবসা নয়, মানুষের কল্যাণ করতে এসেছি : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যবসা নয়, মানুষের কল্যাণ করতে এসেছি : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে আসিনি, মানুষের কল্যাণ করতে এসেছি। শ্রমিকের মূল্যই বর্তমান সরকারের কাছে সবচেয়ে বড়। কারণ শ্রমিকদের হাতেই দেশের অর্থনীতি সচল থাকে। তাদের কারণেই দেশ উন্নত হয়। ১ মে বিকালে মহান মে দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক গড়ে উঠুক এবং সুন্দরভাবে আমাদের কলকারখানাগুলো চলুক, দেশটা এগিয়ে যাক সেটাই আমরা চাই। তিনি বলেন, আমার কাছে দাবি-দাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ আমি নিজেই জানি, কী করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারখানা মালিকদের যেমন সব সময় চিন্তা করা উচিত, যে শ্রমিক তার কারখানায় কাজ করে সে যদি একটা সুন্দর পরিবেশ পায়, কাজ করতে পারে তাতে উত্পাদন ভালো হবে, উত্পাদন মানসম্মত হবে। আবার শ্রমিকরাও আনন্দের সঙ্গে কাজ করলে উত্পাদন বাড়লে মালিকরাই বেশি লাভবান হবেন। অন্যদিকে শ্রমিকরাও লাভবান হবেন, কাজ পাবেন। কাজেই উভয়ের একটা দায়িত্ব রয়েছে। এ দায়িত্ববোধটা সবার মধ্যে থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের শ্রমজীবী মানুষ এখন নিয়মিত বেতন-ভাতা, মজুরি পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, দেশ এখন সব দিক থেকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে বিদ্যমান উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ ও ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে এবং তা সম্ভব। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রিনিবাস বি রেড্ডি, শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সালাউদ্দিন কাশেম খান, জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর ‘লাভজনক নয়’ এ কথা বলে অনেক শিল্পকারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরের সরকারগুলোর আমলেও কারও কারও প্রেসক্রিপশনে এ দেশে শিল্পকারখানা বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু মাথা কেটে ফেলা কোনো সমাধান নয়। তিনি বলেন, অতীতে শ্রমিকদের কল্যাণে কোনোরকম উদ্যোগই ছিল না। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর প্রবাসের শ্রমিকদের কল্যাণে বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা মনে করি কারখানা খোলা রেখেই দেশের উন্নয়ন হবে। শেখ হাসিনা বলেন, দেশকে উন্নত করতে হলে নতুন নতুন শিল্পকারখানা চালু করতে হবে, শ্রমিকদের স্বার্থও দেখতে হবে। কারণ তাদের শ্রমেই তো দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকদের মূল্য আওয়ামী লীগের কাছে অনেক বেশি। সারা দেশে প্রায় একশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার সরকারি উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী যত্রতত্র শিল্পকারখানা গড়ে না তুলে এসব অঞ্চলে কারখানা গড়ে তোলার জন্য উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেন।

সর্বশেষ খবর