বৃহস্পতিবার, ৫ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

সিঙ্গাপুর ষড়যন্ত্রের তদন্ত শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিঙ্গাপুর ষড়যন্ত্রের তদন্ত শুরু

সিঙ্গাপুরে বসে ষড়যন্ত্রের অপরাধে বাংলাদেশে ফেরত পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। কীসের ভিত্তিতে তাদের সিঙ্গাপুরে আটক করা হয়েছিল, আসলেই তাদের ভয়াবহ পরিকল্পনা ছিল কিনা— তাও গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। একই সঙ্গে তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন সিঙ্গাপুর পুলিশের সঙ্গে। অন্যদিকে গ্রেফতার পাঁচ ব্যক্তিকে আদালতের নির্দেশে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছেন       মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার  টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার পাঁচজন সিঙ্গাপুরে নিজের সমমনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। আমরা যতদূর জানতে পেরেছি সিঙ্গাপুরেই তারা রেডিক্যালাইজড (মানসিকতার আমূল পরিবর্তন করেছে) হয়েছে। আমার জানা মতে, তাই শুধু বাংলাদেশের নাগরিকরা নয়, অন্যান্য দেশের নাগরিক এমনকি সিঙ্গাপুরের নাগরিকরাও  রেডিক্যালাইজড হচ্ছে। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরের নাগরিকরাও এর আগে এমন অভিযোগে  জেলে গেছে। সিঙ্গাপুরে একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র রয়েছে। এই কেন্দ্রটি এশিয়ার মধ্যে নামকরা। সেখানে তারা সন্ত্রাসবাদীদের পুনর্বাসন করে। তার মানে ওখানেও সন্ত্রাসবাদী আছে। গ্রেফতারকৃতরা ১৩ ধরনের পেশাজীবীদের টার্গেট করেছিল এ সম্পর্কিত কোনো তথ্য পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর থেকে আমাদের কিছু বলা হয়নি। আর আটক পাঁচ বাংলাদেশিকে এখন পর্যন্ত যতটুকু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাতে তারা কোনো টার্গেটের বিষয় জানাতে পারেনি। হয়তো ওই আটজনের মধ্যে কেউ এ বিষয়ে জানতে পারে। মনিরুল বলেন, গ্রেফতারকৃতরা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আধ্যাত্মিক গুরু জসিমউদ্দিন রহমানীর অনুসারী কিনা সে বিষয়ে বলার মতো পর্যাপ্ত তথ্য এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে তাদের কাছ থেকে রহমানীর  বেশ কিছু বইপুস্তক পাওয়া গেছে। তারাসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলো এই বই পাঠ হিসেবেই অনুসরণ করে। এর আগে সিঙ্গাপুর ফেরত ২৬ জন বাংলাদেশির সঙ্গে এই পাঁচজনের  কোনো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা একইভাবে সংগঠিত হচ্ছিল। গত মঙ্গলবার রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেফতার মিজানুর রহমান ওরফে গালিব হাসান (৩৮), রাহা মিয়া পাইলট (২৯), আলমগীর হোসেন (২৯), তানজীমুল ইসলাম (২৪) ও মাসুদ রানা ওরফে সল্লু খানকে (৩১) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মনসুর আলী রামপুরা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ড চান। পরে শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আলী মাসুদ শেখ প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সর্বশেষ খবর