সোমবার, ৯ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

মনোনয়ন নিয়ে গুলশান কার্যালয়ে মারামারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে গতকাল গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। দুপুর ১২টার দিকে ভালুকা থানার ৫টি ইউনিয়নের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কার্যালয়ের ভিতরে-বাইরে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় আধা ঘণ্টা এ অবস্থা চলে। অভিযোগ রয়েছে, মনোনয়নকে কেন্দ্র করে ১২টার দিকে ভালুকা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান মজুর ওপর হামলা চালায় একই উপজেলার সভাপতি ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চুসহ তার সমর্থকরা। পরে মজুকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে হামলার কথা অস্বীকার করেছেন ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু। গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ‘মজুর সঙ্গে উপজেলা বিএনপির এক নেতার আগে থেকেই দ্বন্দ্ব ছিল। এ নিয়েই গুলশান কার্যালয়ে কথা কাটাকাটি হয়। ওই সময় আমি গুলশান কার্যালয়ে ছিলাম। এর বাইরে আমি কিছু জানি না।’ প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক নেতা-কর্মী জানান, দুপুর ১২টার দিকে ভালুকা উপজেলার মনোনয়নবঞ্চিত কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর তালিকা ও তাদের ভোটার আইডিসহ বিভিন্ন প্রমাণাদি নিয়ে গুলশান কার্যালয়ে আসেন মজিবুর রহমান মজু। এ সময় কার্যালয়ের অফিস রুমে ইউপির ষষ্ঠ ধাপে প্রার্থীদের মনোনয়ন নিয়ে কাজ করছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ময়মনসিংহ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। অফিসে ছিলেন ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চুসহ তার ১০-১২ জন সমর্থক। মজু আসা মাত্রই তাকে বাচ্চুসহ তার সমর্থকরা উপর্যুপরি কিল-ঘুষি দিতে থাকে। এ সময় তাকে লাথিও মারা হয়। মজুকে গালাগাল করা হয়।

এমরান সালেহ প্রিন্স ফেরাতে গেলে তাকেও ধাক্কা মারে বাচ্চু সমর্থকরা। তাকেও গালাগাল করা হয়। এ সময় কার্যালয়ের মূল ফটক আটকে দেয় নিরাপত্তাকর্মীরা। বাইরে থেকেও গেটে লাথি মারে বাচ্চু সমর্থকরা। প্রায় আধা ঘণ্টা তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে গালাগাল করে চলে যায়। পরে মজুকে তার কয়েকজন সমর্থক তুলে নিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করে। জানা যায়, ভালুকা উপজেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু এক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আরেক গ্রুপে উপজেলার শিল্পবিষয়ক সম্পাদক মোরশেদ আলম চেয়ারম্যান নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মোরশেদ সমর্থক বলেই পরিচিত মজু। ওই ঘটনার পরপরই গুলশান কার্যালয়ে মোরশেদ সমর্থকরা এলে বাচ্চুসহ তার সমর্থকরা সরে পড়ে। বিষয়টি বিএনপির হাইকমান্ডকে জানানো হয়েছে। মজুকে লিখিত আকারে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা কিছু না। মনোনয়ন নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ছোটখাটো ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে মোরশেদ আলম বলেন, অন্যায়ভাবে মজিবুর রহমান মজুকে মারধর করেছে বাচ্চু ও তার সমর্থকরা। আমরা বিষয়টি দলের হাইকমান্ডকে জানিয়েছি। হাইকমান্ডই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। গতকাল দিনভর গুলশান কার্যালয়ে ষষ্ঠ ধাপে ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সন্ধ্যার দিকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়।

সর্বশেষ খবর