বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

আসলামের অবৈধ সম্পদ তদন্তে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরীসহ চারজনের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে চারজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অপর তিনজন হলেন ব্যবসায়ী লুত্ফর রহমান বাদল, মুন স্টার গ্রুপের মালিক মো. মিজানুর রহমান ও রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের ছয় প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রূপালী ব্যাংকের ছয় প্রতিষ্ঠান নামে-বেনামে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

দুদক জানায়, আসলাম চৌধুরীর বিষয়ে দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিনকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য চারজনের বিষয় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন। আসলাম চৌধুরীর বিষয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, আসলাম চৌধুরীর মালিকানাধীন রাইজিং গ্রুপ, একাধিক সিএনজি স্টেশন, লবণ কারখানাসহ কোটি কোটি টাকার অবৈধ অর্জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এর আগে রবিবার রাতে আসলাম চৌধুরী ও তার সহযোগী আসাদুজ্জামান মিয়াকে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন (সোমবার) ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত সাত দিন মঞ্জুর করেন। আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির নেতা মেনদি এন সাফাদির সঙ্গে ভারতে বসে বাংলাদেশে বর্তমান সরকারকে উত্খাতের উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক করেছেন। তাদের দুজনের একসঙ্গে তোলা ছবিও রয়েছে। মেনদি সাফাদি ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট বলে কথিত আছে। মুন স্টার গ্রুপের মালিক মো. মিজানুর রহমান সম্পর্কে বলা হয়, রাজধানীর দিলকুশা এলাকায় বহুতল ভবনে কার পার্কিং নিয়ে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সর্বশেষ খবর