ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’-এর সঙ্গে বিএনপি নেতার কানেকশনকে বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। তিনি বলেন, মোসাদ কানেকশন (ডেঞ্জারাস) বিপজ্জনক। আমেরিকাও মোসাদের কথা শুনলে ঘুম থেকে আঁতকে ওঠে। মোসাদ কানেকশনকে তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র বলেও উল্লেখ করেন। গতকাল ‘রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র ও বাংলাদেশের নিরাপত্তা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর একটি হোটেলে এ গোলটেবিলের আয়োজন করে রিজিওনাল অ্যান্টি টেরোরিস্ট রিসার্স ইনস্টিটিউট (রাত্রি)। সাবেক ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, এটা আমাদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আইএসআইয়ের পর মোসাদ, এটা বুঝতে হবে ষড়যন্ত্র কোথা থেকে হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাসী, গণতন্ত্রে যারা বিশ্বাসী তাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্য, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে রক্ষার জন্য কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র সঠিক সময়ে উদ্ঘাটন না করার কারণে বড় সমস্যা হয়। এ পর্যন্ত অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ১৭টি পরিকল্পনা ছিল, তা কার্যকর হয়নি। বিডিআর বিদ্রোহসহ অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। তবে অন্য ষড়যন্ত্রের চেয়ে মোসাদ কানেকশনটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বড় ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, এখনো ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের ট্রায়াল হচ্ছে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সালাউদ্দিন চৌধুরীকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলাতে পারব এই বিশ্বাস আমাদের ছিল না। নিজামীকে ঝুলাতে পারব সেই বিশ্বাসও আমাদের ছিল না। কিন্তু যিনি এটা করেছেন তাকে রক্ষা করতে হবে। সেই সঙ্গে আমাদের স্বাধীনতার মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখতে হবে। তিনি বলেন, বললে চলবে না যে, এটা (মোসাদ কানেকশন) রাজনৈতিক সমস্যা, এটা রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। সব রাজনৈতিক দলকে সংগঠিত করতে হবে। নারায়ণগঞ্জের ইস্যুটা ট্রায়াল গেম চলছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এটাকে প্রতিহত করতে হবে। আমার বিশ্বাস তারা কিছুই করতে পারবে না। যারা সংসদ পরিচালনা করেন তাদের একটা দায়িত্ব রয়েছে। উল্লেখ্য, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে মোসাদের সঙ্গে কানেকশনের কারণে গত ১৫ মে গ্রেফতার করা হয়।