রবিবার, ২৯ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

এবারও জয়জয়কার আওয়ামী লীগের

নিজস্ব প্রতিবেদক

দখল-বর্জন আর গুলির মধ্য দিয়ে শেষ হলো পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এতে বিশাল জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গতকাল সারা দেশে ৭১৭টি ইউপিতে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ-বিএনপি ছাড়াও নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জাতীয় পার্টিসহ অন্য দলের প্রার্থীরা। বেসরকারিভাবে ৬৩৮টি ইউপির প্রাপ্ত ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ৩৯৩টি, বিএনপি ৬৬টি, জাতীয় পার্টি ৮টি, জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি একটি করে ইউপিতে বিজয়ী হয়েছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে ১৬৯টিতে। তবে স্বতন্ত্রদের মধ্যে আওয়ামী লীগ-বিএনপির বিদ্রোহীসহ জামায়াতের প্রার্থীরা রয়েছেন। এর আগে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ৪১টি ইউপিতে বিজয়ী হন। ৩৮টি ইউপির ফলাফল স্থগিত রয়েছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর— পঞ্চগড় : জেলার ৮টি ইউনিয়নের ৫টিতে বিএনপির প্রার্থী জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ২টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী একটিতে বিজয়ী হয়েছেন। ১নং ওমরখানা ইউনিয়নে নুরুজ্জামান (নৌকা), ২নং সাতমেরায় আতাউর রহমান (ধানের শীষ), ৩নং সদর জাহিদুল ইসলাম (ধানের শীষ), ৪নং কামাত কাজলদিঘীতে মোজাহার হোসেন (ধানের শীষ), ৫নং চাকলারহাটে ফরহাদ হোসেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, ৮নং ধাক্কামাড়ায় আওরঙ্গজেব (ধানের শীষ) ও ৯নং মাগুরায় বাবুল হোসেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং ১০ নম্বর গড়িনাবাড়ী ইউপিতে আলতামাস লেলিন (ধানের শীষ) বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।  ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ৯টি ইউনিয়নে ৮টিতে আওয়ামী লীগ ও ১টিতে বিএনপি বিজয়ী হয়েছেন। নারগুন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সেরেকুল ইসলাম, জগন্নাথপুর ইউনিয়নে বিজয়ী আওয়ামী লীগের আলাউদ্দীন, দেবীপুর ইউনিয়নে বিজয়ী আওয়ামী লীগের মোয়াজ্জেম হোসেন, গড়েয়ায় বিএনপির রেজওয়ানুল ইসলাম, সালন্দরে আওয়ামী লীগের মাহাবুব আলম, বালিয়ায় আওয়ামী লীগের নুর এ আলম ছিদ্দিকী, শুখানপুকুরীতে আওয়ামী লীগের আনিছুর রহমান, বেগুনবাড়ী বিজয়ী আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান বনি আমীন এবং আউলিয়াপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আতিকুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।  সিলেট : বালাগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বিজয়ীরা হচ্ছেন— পূর্ব গৌরীপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের হিমাংশু রঞ্জন দাশ, পশ্চিম গৌরীপুরে আমিরুল ইসলাম মধু, বোয়ালজুড়ে আনহার মিয়া, পূর্বপৈলনপুরে আবদুল মতিন, দেওয়ানবাজারে বিএনপির নাজমুল আলম নজু এবং সদরে আবদুল মুনিম বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। ওসমানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে বিজয়ীরা হচ্ছেন— উমরপুরে আওয়ামী লীগের গোলাম কিবরিয়া। সাদিপুরে বিএনপির আবদুর রব, তাজপুরে ইমরান রব্বানী, দয়ামীরে এসটিএম ফখর উদ্দিন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন পশ্চিম পৈলনপুরে আবদুল মতিন গেদাই, বুরুঙ্গায় খালেক আহমদ লটই, উছমানপুরে ময়নুল আজাদ ফারুক এবং গোয়ালাবাজারে আতাউর রহমান মানিক (বিএনপির বিদ্রোহী) বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। মৌলভীবাজার : আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হলেন— মির্জাপুর আবু সুফিয়ান চৌধুরী, রাজঘাট বিজয় বুনার্জী, কালিঘাট প্রাণেশ গোয়ালা, আশিদ্রোন রনেন্দ্র প্রসাদ বর্ধন, শ্রীমঙ্গল সদর ভানু লাল রায়, সিন্দুরখান আবদুলাহ আল হেলাল এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা (স্বতন্ত্র) হলেন কালাপুর মজিবুর রহমান মুজুল, ভূনবীর চেরাগ আলী ও সাতগাঁও মিলন শীল। কমলগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন— রহিমপুরে ইফতেখার আহমেদ বদরুল, পতনউষারে মো. তওফিক আহমদ বাবু, মুন্সীবাজারে আবদুল মোতালিব তরফদার, শমশেরনগরে জুয়েল আহমদ, কমলগঞ্জে আবদুল হান্নান, আলীনগরে ফজলুল হক হক বাদশা, আদমপুর ইউনিয়নে বিএনপি মো. আবদাল হোসেন ও স্বতন্ত্ররা হলেন মাধবপুরে পুষ্প কুমার কানু, ইসলামপুরে আবদুল হান্নান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।  যশোর : কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহিনীতে আওয়ামী লীগের মো. আনিছুর রহমান, সাগরদাড়ীতে কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম, পাঁজিয়ায় মো. শফিকুল ইসলাম, সুফলাকাটিতে মো. আবদুস সামাদ, গৌরিঘোনায় এসএম হাবিবুর রহমান, সাতবাড়িয়ায় মো. সামছুদ্দীন দফাদার ও হাসানপুরে বিএনপির মো. জুলমাত আলী, কেশবপুরে মো. আলাউদ্দীন, মজিদপুর মো. আবু বকর এবং বিদ্যানন্দকাটি স্বতন্ত্র মো. আমজাদ হোসেন, মঙ্গলকোটে মো. মনোয়ার হোসেন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। বাঘাপাড়া উপজেলার দোহাকুলায় আওয়ামী লীগের ওয়াহিদুর রহমান, জহুরপুরে রেজাউল ইসলাম, ধলগ্রামে সুভাস নাথ, রায়পুরে মো. মুনজুর রশিদ স্বপন, বাসুয়াড়ীতে স্বতন্ত্র মো. আবু সাঈদ, জামদিয়া কামরুল ইসলাম (টুটুল), বন্দবিলা মো. সবদুল হোসেন খান (বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি) নারিকেলবাড়িয়ায় আবু তাহের আবুল সরদার, দরাজহাট মো. আয়ুব হোসেন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। অভয়নগর উপজেলায় প্রেমবাগে আওয়ামী লীগের মফিজ উদ্দিন, সুন্দলী বিকাশ রায়, চলিশিয়া মো. নাদির মোল্যা, পায়রায় বিষ্ণুপদ দত্ত, বাঘুটিয়া মো. বাবুল আক্তার, শুভরাড়ায় মো. আবদুর রাজ্জাক বিশ্বাস, সিদ্ধিপাশায় খান এ কামাল হাচান এবং শ্রীধরপুর স্বতন্ত্র মোহাম্মদ আলী মোল্যা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।  চুয়াডাঙ্গা : জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়ায় শেখ শফিকুল ইসলাম মুক্তার (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) ও সীমান্ত বিএনপির মইনুদ্দিন মইন এবং দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুরে আওয়ামী লীগ সোহরাব হোসেন, কার্পাসডাঙ্গায় খলিলুর রহমান ভুট্টো, কুড়ালগাছিতে ইছানুল হক ইনু (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) এবং দামুড়হুদায় সদরে শরিফুল আলম মিল্টন (জামায়াত) বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। ঝিনাইদহ : আওয়ামী লীগে বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন কুমড়াবাড়িয়া আশরাফুল ইসলাম, হলিধানী আবদুর রশীদ, গান্নার নাসির উদ্দিন মালিথা ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চাঁদপুর গোলাম মোস্তফা এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) মধুহাটি ফারুক আহম্মেদ জুয়েল ও সাধুহাটি কাজী নাজিম উদ্দিন। বিএনপির বিজয়ী পার্থীরা হলেন সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নে খুরশিদ আলম মিয়া ও সাগান্না আবদুল আল-মামুন (আলাউদ্দিন)। কুমিল্লা : মেঘনা উপজেলার বিজয়ীরা হচ্ছেন ভাউর খোলায় আওয়ামী লীগের ফারুক আব্বাসী, লুটেরচরে সানাউল্লাহ শিকদার, বরকান্দায় মাজহারুল ইসলাম, চালিভাঙ্গায় লতিফ সরকার, রাধানগরে আবদুল বাতেন, চন্দনপুরে আহসানুল্লাহ মাস্টার ও মানিকারচ হারুনুর রশিদ (স্বতন্ত্র) বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নাঙ্গলকোট আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন— মক্রবপুর ইউনিয়নে গোলাম মরতুজা মুকুল, বাঙ্গড্ডা শাহজাহান মজুমদার, মৌকারা আবু তাহের, ঢালুয়া নাজমুল হাছান ভুইয়া, সাতবাড়িয়ায় কাজী ইয়াছিন এবং বক্সগঞ্জ অহিদুর রহমান। হোমনার বিজয়ীরা হচ্ছেন, মাথাভাঙ্গা আওয়ামী লীগের নাজিরুল হক ভুইয়া, দুলালপুরে জসিম উদ্দিন সওদাগর, চান্দেরচর আবুল বাশার, নিলখীতে জালাল উদ্দিন, ভাষানিয়া নুরুল ইসলাম, জয়পুর তাইজুল ইসলাম ও ঘাগুটিয়া বিএনপির মফিজুল ইসলাম গনি, ঘাড়মোড়া শাহজাহান মোল্লা এবং আসাদপুর জালাল উদ্দিন পাঠান (স্বতন্ত্র) বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিতাসে বিজয়ীরা হচ্ছেন সাতানীতে আওয়ামী লীগের শামসুল হক সরকার, জগতপুর মজিবুর রহমান, বলরামপুর নুরনবী, ভিটিকান্দি আবুল মোল্লা, নারান্দিয়া ইঞ্জি. সালাউদ্দিন, জিয়ারকান্দি মনির হোসেন সরকার, কলাকান্দি হাবিবুল্লা বাহার এবং মজিদপুর ফারুক হোসেন সরকার (জাতীয় পার্টি) এবং বুড়িচং উপজেলার ২টি ইউপির মধ্যে ১টি আওয়ামী লীগ ১টি স্বতন্ত্র। বিজয়ীরা হচ্ছেন, ভারেল্লা উত্তর আবদুল রহমান রব (আওয়ামী লীগ) ও ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নে শাহ কামাল (স্বতন্ত্র)।  চাঁদপুর : চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে নির্বাচিতরা হলেন, সাচার ইউপিতে আওয়ামী লীগের ওসমান গনি মোল্লা, বিতারায় ইসহাক সিকদার, কচুয়া সদর জসিমউদ্দিন লিটন, কাদলায় রফিকুল ইসলাম লালু, কড়ইয়াতে আহসান হাবিব জুয়েল, গোহাট উত্তরে হাজী আ. হাই মুন্সী, ও স্বতন্ত্ররা হলেন— পাথৈর মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল, পূর্ব সহদেবপুরে ইমাম হোসেন সোহাগ, পশ্চিম সহদেবপুরে আবদুস সামাদ আজাদ, কচুয়া উত্তর কাজী জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, গোহাট দক্ষিণ শাহরিয়ার শাহীন ও আশ্রাফপুর মাসুদ এলাহী সুবাস (বিদ্রোহী ধান) বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।  লক্ষ্মীপুর : আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হলেন— চরশাহী গোলজার মোহাম্মদ, কুশাখালী মো. নুরুল আমিন, ভবানীগঞ্জ মো. সাইফুল হাসান রনি, তেওয়ারীগঞ্জে ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন, উত্তর জয়পুরে আবুল কাশেম চৌধুরী, চন্দ্রগঞ্জ নুরুল ইসলাম বাবুল, দত্তপাড়ায় আহসানুল কবির রিপন, পার্বতীনগরে সালাহ উদ্দিন আহমেদ ভূঁঞা, বশিকপুরে আবুল কাশেম জেহাদী, মান্দারীতে মিজানুর রহিম বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।  কক্সবাজার : সদরের ঝিলংজা ইউপিতে আওয়ামী লীগের টিপু সোলতান, খুরুস্কুলে জসিম উদ্দিন এবং পিএমখালীতে (জামায়াত) মাস্টার আবদুর রহিম, ভারুয়াখালী বিএনপির শফিকুর রহমান সিকদার নির্বাচিত হয়েছেন। রামুর কাওয়ারখোপে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন— (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) মোস্তাক আহমদ, রশিদ নগরে শাহ আলম, ঈদগড়ে ফিরোজ আহমদ ভুট্টো, গর্জনিয়ায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কচ্ছপিয়ায় জাকের হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।  নাটোর : সিংড়া উপজেলার ১২ ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তারা হলেন, সুকাশে মো. আবদুল মজিদ, ডাহিয়ায় এমএম আবুল কালাম, ইটালীতে আরিফুল ইসলাম, কলমে মইনুল হক চুনু, চামারিতে রশিদুল ইসলাম, হাতিয়ান্দহে মাহাবুব-উল আলম, লালোরে নজরুল ইসলাম, শেরকোলে লুত্ফর রহমান, তাজপুরে মিনহাজ উদ্দিন, চৌগ্রামে জাহেদুল ইসলাম, ছাতারদিঘিতে প্রদীপ কুমার রুদ্র, রামানন্দে তপন কুমার সরকার। বড়াইগ্রাম উপজেলার পাঁচটির তিনটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ এবং দুইটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে বড়াইগ্রাম সদরে ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মমিন আলী, জোনাইল ইউনিয়নে তোজাম্মেল হোসেন, নগরে মহিলা লীগ নেত্রী নীলুফার ইয়াসমিন ডালু। চান্দাইয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আনিছুর রহমান খেটু ও গোপালপুরে আবদুস সালাম খান বিজয়ী হয়েছেন। জয়পুরহাট : জেলার কালাই উপজেলার ৫টিতেই আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তারা হলেন, মাত্রাইয়ে আ ন ম শওকত হাবীব তালুকদার, উদয়পুরে ওয়াজেদ আলী, পুনটে আবদুল কুদ্দুস ফকির, আহমেদাবাদে আলী আকবর মণ্ডল, জিন্দারপুরে জিয়াউর রহমান। সিরাজগঞ্জ : জেলার কাজিপুরে ১১টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। শুভগাছা ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান খোকা, চালিতাডাঙ্গায় আতিকুর রহমান মুকুল, নাটুয়ার পাড়ায় আবদুল মান্নান চান বিএসসি, চরগিরিশে জহুরুল হক মিন্টু, নিশ্চিন্তপুরে জালাল উদ্দিন মাস্টার ও মাইজবাড়ী ইউনিয়নে আলহাজ শওকত হোসেন। এর আগে ৫টিতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। শাহজাদপুরে ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টিতে আওয়ামী লীগ ও ১টিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচিতরা হলো—গাড়াদহে সাইফুল ইসলাম, কায়েমপুরে হাসিবুল হক হাসান, রূপবাটীতে রফিকুল ইসলাম শিকদার, খুকনীতে মুল্লুুক চান, বেলতৈলে ফেরদৌস হোসেন ফুল, পোতাজিয়ায় মোহাম্মদ আলী বেপারী, জালালপুরে হাজী সুলতান মাহমুদ, গালায় আবদুল বাতেন ও নরিণা ইউপিতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী ফজলুল হক মন্ত্রী বিজয়ী হয়েছেন। বগুড়া : জেলার কাহালু, দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘি উপজেলার ১৯ ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১০, বিএনপি ৫, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ২, স্বতন্ত্র ২ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন, দুপচাঁচিয়ার জিয়ানগরে আবদুল হাকিম তালুকদার, গুনাহারে শাহ্ মোহাম্মদ আবদুল খালেক। বিএনপির প্রার্থীরা হলেন, গোবিন্দপুরে মনোয়ার হোসেন হেলাল, চামরুলে শাহ্জাহান আলী। দুপচাঁচিয়া সদরে স্বতন্ত্র প্রার্থী তোজাম্মেল হোসেন তোজাম। কাহালুুতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন, নারহট্রে রুহুল আমিন তালুকদার বেলাল, পাইকড়ে মিঠু চৌধুরী, মুরইলে হারেজ উদ্দিন। বিএনপির প্রার্থী হলেন, বীরকেদারে ছেলিম উদ্দিন, মালঞ্চায়ে আবদুল মোত্তালিব, জামগ্রামে ইউনিয়নে আলমগীর আলম কামাল। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা হলেন, কালাইয়ে আবু তাহের সরদার, কাহালু সদর ইউনিয়নে পি এম বেলাল হোসেন। আদমদীঘি উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলে, সদরে জিল্লুর রহমান, ছাতিয়ান গ্রামে আবদুল হক, সান্তাহারে এরশাদুল হক, নশরতপুরে সামছুল হক খন্দকার, চাঁপাপুরে সামছুল হক। কুন্দুগ্রামে ইউনিয়নে বেলাল হোসেন (স্বতন্ত্র) বিজয়ী হয়েছেন। নেত্রকোনা : জেলার দুর্গাপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন, কুল্লাগড়াতে সুব্রতসাংমা, দুর্গাপুরে মো. মাহীনুর আলম, বিরিশিরিতে মো. শফিকুল ইসলাম রুহু, চণ্ডীগড়ে আলতাবুর রহমান, বাকলজোরায় সফিকুল ইসলাম ও কাকৈরগড়ায় শিব্বির আহম্মেদ তালুকদার। এ ছাড়া গাঁওকান্দিয়াতে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী মো. আবদুল মতিন বিজয়ী হয়েছেন। পূর্বধলা উপজেলার আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন, বিশকাকুনীতে মো. আমজাত হোসেন মাস্টার, জারিয়ায় মোছা. মাজেদা খাতুন, ঘাগড়ায় রেজু মিয়া আকন্দ। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা হলেন, আগিয়ায় সিরাজুল ইসলাম, হোগলায় মো. সিরাজুল ইসলাম আকন্দ, ধলামূলগাঁও মো. আবদুল হাই তালুকদার, খলিশাউড়ায় ইয়াকুব আলী, পূর্বধলায় মো. আফতাব উদ্দিন। গোয়াহালাকান্দায় ফকির মোহাম্মদ সায়েদ আল মামুন (বিএনপি), নারানন্দিয়া আবদুর রশিদ তালুকদার (বিএনপি বিদ্রোহী) বিজয়ীয় হয়েছেন।

 ময়মনসিংহ : জেলার মুক্তাগাছা উপজেলায় ১০টির মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ, তিনটিতে বিএনপি, একটিতে বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন, বড়গ্রামে সিদ্দিকুজ্জামান, তারাঢীতে মনিরুজ্জামান, কুমারগাতায় আকবর আলী, খেরুয়াজানিতে ফারুকুল ইসলাম, দাওগাওয়ে মজনু সরাকর। বিএনপির বিজয়ীরা হলেন, বাশাটীতে হাফিজুর রহমান মঞ্জু, মানকোনে আমিনুল ইসলাম ও ঘোগায় কামরুজ্জামান লেবু। কাশিমপুরে বিএনপির বিদ্রোহী ইফতেখারুজ্জামান রাসেল বিজয়ী হয়েছেন।

রাজশাহী : জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও একটিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন, নওপাড়ার সাইফুল ইসলাম, কিসমতগণকৈড়ে আফসার আলী মোল্লা, পানানগরে আজাহার আলী খান, দেলুয়াবাড়িতে রিয়াজুল ইসলাম রেন্টু, ঝালুকায় মোজাহার আলী মণ্ডল। জয়নগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শমসের আলী এবং মাড়িয়া ইউনিয়নে বিএনপির মোল্লা হাসান ইমাম ফারুক সুমন বিজয়ী হয়েছে।

চারঘাট উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও ২টিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। শলুয়া ইউনিয়নে বিএনপির জিয়াউল হক, চারঘাটে মোজাম্মেল হক। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন, নিমপাড়ায় অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান, সরদহে হাসানুজ্জামান মধু ও ইউসুফপুরে শফিউল আলম রতন। ভায়ালক্ষ্মীপুরে ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শওকত আলী বুলবুল বিজয়ী হয়েছেন। পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদিউজ্জামান বদি বিজয়ী হয়েছে।

নওগাঁ : জেলার রানীনগর উপজেলার আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন, বড়গাছায় শফিউল আলম, একডালায় রেজাউল ইসলাম, গোনায় আবু হাসনাত খান, মিরাটে রফিকুল আলম, পারইলে মজিবর রহমান, কালিগ্রামে সিরাজুল ইসলাম। কাশিমপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকলেছুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।  

আত্রাই উপজেলার আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হলেন— শাহাগোলায় শফিকুল ইসলাম, আহসানগঞ্জে আক্কাছ আলী ভোপাড়ায় জানবক্স সরকার, বিশায় আবদুল মান্নান মোল্লা, কালিকাপুরে নাজমুল হক নাদিম, মুনিয়ারীতে আল্লামা শের-ই বিপ্লব, পাঁচুপুরে আফসার আলী। হাটকালুপাড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুস শুকুর সরদার বিজয়ী হয়েছেন। মান্দা উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হলেন— ভারশোতে মোস্তাফিজুর রহমান, ভালাইনে ইব্রাহীম মণ্ডল, পারনপুরে ইলিয়াস খান, গণেশপুর ইউনিয়নে হানিফ উদ্দীন, তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে ব্রজেন্দ্রনাথে, নুরল্লাবাদে নুর মোহাম্মদ মণ্ডল, কালিকাপুরে আবদুল আলীম, বিষ্ণপুরে জাহাঙ্গীর আলম। বিএনপির বিজয়ীরা হলেন, মান্দা সদরে আবদুর রহমান, কুসম্বায় নওফেল আলী, কাশোপাড়ায় সাইদুর রহমান। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন মৈনমে ইয়াছিন আলী, প্রসাদপুরে বেলাল হোসেন, কসরে ইউনিয়নে আনিছুর রহমান।

জামালপুর : জেলার সরিয়াবাড়ীতে ৭টিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তারা হলেন সাতপোষায় আবু তাহের, পোড়লদীঘিতে সামস উদ্দীন, ডোয়াইলে নাসির উদ্দিন, আওনাতে বেলাল হোসেন, ভাটরায় বোরহান উদ্দিন, কামরাবাদে মুনছুর রহমান খান, মহাদানে এ কে এম আনিসুর রহমান।

দেওয়ানগঞ্জের ৭টির মধ্যে চারটির ফলাফল পাওয়া গেছে। তার মধ্যে আওয়ামী লীগ দুটি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দুটিতে বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন— হাতিভাঙ্গায় মুহম্মদ দৌলত হোসেন চৌধুরী, চুকাইবাড়ীতে সেলিম খান। বিদ্রোহীরা হলেন, দেওয়ানগঞ্জে সামিউল হক ও চরআমখাওয়াতে আজিজুর রহমান আকন্দ। ইসলামপুরের পোলাবান্দায় আওয়ামী লীগের শাহাদাৎ দীর্ঘিদার বিজয়ী হয়েছেন। 

পাবনা : জেলার ঈশ্বরদীর ৭টিতেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। তারা হলেন, সাড়ায় এমদাদুল হক রানা, পাকশীতে এনামুল হক বিশ্বাস, মুলাডলিতে সেলিম মালিথা, দাশুরিয়ায় বকুল সরদার, ছলিমপুরে আবদুল মজিদ, সাহাপুরে মতলেবুর রহমান, লক্ষ্মীকুরে আনিসুল হক মোল্লা। 

রংপুর : সদর, বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের ৭টিতে স্বতন্ত্র ও ২টিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য ৭টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগের বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন— বদরগঞ্জের বিষ্ণুপুরে টুটুল চৌধুরী, লোহানীপাড়ায় ডলু শাহ, গোপালপুরে আজিজুর রহমান, কুতুবপুরে আতিয়ার রহমান দুলু, দামোদরপুরে আজিজার রহমান সরকার, তারাগঞ্জের কুর্শায় আফজালুল হক ও হাড়িয়ারকুঠিতে হারুন-অর-রশিদ বাবুল।

স্বতন্ত্র পদের বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন— বদরগঞ্জের কালুপাড়ায় শহীদুল হক মানিক, পোপীনাথপুরে মনোয়ার হোসেন, রাধানগরে সাখাওয়াত হোসেন হীরা, মধুপুরে আয়নাল হক, রামনাথপুরে আবদুল্লাহ আল মামুন, তারাগঞ্জের সয়ারে মহিউদ্দিন আজম ও ইকরচালিতে রফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন— সদরের খলেয়ায় ফারুক মিয়া ও তারাগঞ্জের আলমপুরে মঞ্জুর কাদের চৌধুরী।

গাইবান্ধা : জেলার ১৫টি ইউপির মধ্যে ৩টি স্থগিত রয়েছে। বাকি ১২টির মধ্যে ৩টিতে আওয়ামী লীগ, একটি করে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি, একটিতে জাসদ এবং বাকি ৫টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া পলাশবাড়ীর হোসেনপুর, গোবিন্দগঞ্জের কামারদহ ও শালমারা ইউপির ভোট স্থগিত রয়েছে। পলাশবাড়ীর বেতকাপায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফজলুল করীম, হরিনাথপুরে রুহুল আমিন কবীর চৌধুরী রুশো (স্বতন্ত্র), মহদীপুরে আওয়ামী লীগের তৌহিদুল ইসলাম, পবনাপুরে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী শাহ আলম মণ্ডল এবং মনোহরপুরে জাসদের মিজানুর রহমান ছটকো নির্বাচিত হয়েছেন।

গোবিন্দগঞ্জের নাকাইয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আবদুল কাদের প্রধান, হরিরামপুরে শাহজাহান আলী সাজু, রাখালবুরুজে জাতীয় পার্টির শাহাদাৎ হোসেন, ফুলবাড়ীতেও জাপার আবদুল মান্নান মোল্লা, কোচাশহরে বিএনপির মোশাররফ হোসেন, শিবপুরে আওয়ামী লীগের সেকেন্দার আলী ও মহিমাগঞ্জে আওয়ামী লীগের আবদুল লতিফ প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন।

কুড়িগ্রাম : জেলার উলিপুরের ১৩ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ২ জন, বিএনপির ৪ জন, জাতীয় পার্টির ৩ জন, আওয়ামী লীগর বিদ্রোহী ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী একজন নির্বাচিত হয়েছেন। বিজয়ীরা হলেন— বুড়াবুড়িতে নৌকা প্রতীক নিয়ে একরামুল হক, বজরা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে রেজাউল করিম আজিম, ধরনীবাড়ীতে ধানের শীষ প্রতীকে আমিনুল ইসলাম ফুলু, পান্ডুলে ধানের শীষ প্রতীকে আবদুল জব্বার মঙ্গা, গুনাইগাছে ধানের শীষ প্রতীকে আবুল কালাম আজাদ, দুর্গাপুরে ধানের শীষের আবেদ আলী, দলদলিয়ায় লাঙ্গল প্রতীকে আতিয়ার রহমান মুন্সী, থেতরাইয়ে লাঙ্গল প্রতীকে আইয়ুব আলী সরকার, হাতিয়ায় লাঙ্গল প্রতীকে বিএম আবুল হোসেন, তবকপুরে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী ওয়াদুদ হোসেন মুকুল, সাহেবের আলগা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী সিদ্দিক মণ্ডল, ধামশ্রেণী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী রাখিবুল হাসান সরদার ও বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেলাল হোসেন।

দিনাজপুর : জেলার সদর ও বীরগঞ্জের ২১টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৭টিতে আওয়ামী লীগ, ৭টিতে বিএনপি এবং বাকি ৭টিতে স্বতন্ত্রপ্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। সদরের চেহেলগাজীতে বিএনপির আনিসুর রহমান বাদশাহ, সুন্দরবনে আওয়ামী লীগের অশোক কুমার রায়, ফাজিলপুরে বিএনপির সিরাজুল ইসলাম, শেখপুরায় আওয়ামী লীগের বাবুল আখতার, শশরায় বিএনপির রফিকুল ইসলাম, আউলিয়াপুরে বিএনপির আবদুর রাজ্জাক, উথরাইলে আওয়ামী লীগের ইমদাদ হোসেন, শংকরপুরে আওয়ামী লীগের ইসহাক আলী, আস্করপুরে আওয়ামী লীগের জিয়াউর রহমান ও কমলপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজেদুর রহমান সরকার নির্বাচিত হয়েছেন। বীরগঞ্জের শিবরামপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জনক চন্দ্র অধিকারী, পলাশবাড়ীতে বিএনপির জুয়েলুর রহমান, শতগ্রামে জামায়াতের (স্বতন্ত্র) কে এম কুতুবুদ্দিন, পাল্টাপুরে বিএনপির তবারক আলী শাহ, সুজালপুরে আওয়ামী লীগের মহেশ চন্দ্র রায়, নিজপাড়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবদুল খালেক, মোহাম্মদপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গোপাল চন্দ্র দেক শর্মা, ভোগনপুরে জামায়াতের (স্বতন্ত্র) বদিউজ্জামান পান্না, সাতোরে আওয়ামী লীগের রেজাউল করীম, মোহানপুরে বিএনপির মজিদুল ইসলাম ও মরিচায় আওয়ামী লীগের আতাহারুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন।

নীলফামারী : জলঢাকার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৫টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন ৬টিতে। গোলমুণ্ডায় জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী তোজাম্মেল হোসেন, ডাউয়াবাড়িতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী রুকনুজ্জামান খোকন, বালাগ্রামে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী রবিউল ইসলাম লিপন, গোলনায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কামরুল আলম কবীর, ধর্মপালে আওয়ামী লীগের মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, শিমুলবাড়িতে আওয়ামী লীগের হামিদুল ইসলাম, মীরগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থী হুকুম আলী, শৌলমারীতে প্রাণজিৎ কুমার রায়, কইমারিতে রেজাউল ইসলাম, কাঁঠালীতে সোহরাব হোসেন তুহিন ও খুটামারীতে আবু সাইদ শামীম বিজয়ী হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ : অষ্টগ্রাম সদর আওয়ামী লীগের সৈয়দ ফারুক আহমেদ, পূর্ব অষ্টগ্রামে কাছেদ মিয়া, বাঙালপাড়ায় এনামূল হক ভূঞা, খয়েরপুর আবদুল্লাহপুর (বিদ্রোহী) মুক্তার খাঁ, আদমপুরে (বিদ্রোহী) ফজলুল করিম বাদল, কলমা আওয়ামী লীগের রাধা কৃষ্ণ দাস, কাস্তুল সাইফুল হক রন্টি ও দেওঘর ইব্রাহীম মিয়া। মিঠামইন উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন মিঠামইন সদরে আওয়ামী লীগের শরীফ কামাল, গোপদীঘি বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল হক বাচ্চু, ঘাগড়া আওয়ামী লীগের মুসলেহ উদ্দিন, কেওয়ারজোড় (বিদ্রোহী) নূরুল আমীন হাবলু, কাটখাল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তাজুল ইসলাম, ঢাকি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মজিবুর রহমান ও বৈরাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহাবউদ্দিন আহমেদ।

মানিকগঞ্জ : আওয়ামী লীগে থেকে দীঘি ইউনিয়নে আবদুল মতিন মোল্লা, হাটিপাড়া ইউনিয়নে মনির হোসেন, কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে বিল্পব হোসেন, পুটাইল ইউনিয়নে আবদুল জলিল, আটিগ্রাম ইউনিয়নে নুরে আলম, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নবগ্রাম ইউনিয়নে রাকিব হোসেন, ভাড়ারিয়া ইউনিয়নে আবদুল কাদের বিজয়ী হয়েছেন।

মুন্সীগঞ্জ : গজারিয়া উপজেলা- নৌকা প্রতীকে গজারিয়া ইউনিয়ন-আবু তালেব, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন মো. খোকন, বাউশিয়ায় মিজানুর রহমান, ঈমামপুরে মনসুর আহমেদ জিন্নাহ, স্বতন্ত্রভাবে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন- জুয়েল,  হোসেন্দীতে হক মজনু, টেংগারচরে সালাউদ্দিন মাষ্টার বিজয়ী হয়েছেন। ভবেরচরে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায়- নৌকা প্রতীকে বাংলাবাজারে সোহরাব পীর, চরকেওয়ারে আক্তারুজ্জামান জীবন, শিলইয়ে আবুল হোসেন লিটন, এবং স্বতন্ত্রভাবে আধারায় সামছুল কবির, মোল্লাকান্দিতে মহসিনা হক কল্পনা, মহাকালীতে রিয়াজুল ইসলাম বিরাজ বিজয়ী হয়েছেন।

ফরিদপুর : সালথা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে বিজয়ীরা হলেন আটঘর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শহীদুল ইসলাম সোহাগ, গট্রি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিবুর রহমান লাভলু, ভাওয়াল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ফারুক-উজ জামান ফকির মিয়া, রামকান্তপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আশরাফ হোসেন লিটু, বল্লভদী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম, সোনাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের খায়রুজ্জামান বাবু, মাঝারদিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমান হামেদ, যদুনন্দি ইউনিয়নে বিএনপির মুন্সী আবুল খায়ের।

ভাঙ্গা বিজয়ী হলেন যারা— ঘারুয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সফিউদ্দিন মোল্যা, আজিমনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মোতালেব মাতুব্বর, চুমুরদী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের জালালউদ্দিন আহমেদ, হামিরদী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী অ্যাডভোকেট রাসেল, নুরুল্যাগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী তারিকুল ইসলাম তারিক, মানিকদহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবু সাইদ মিয়া, তুজারপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী পরিমল চন্দ্র দাস, আলগী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউসার ভুইয়া, কালামির্ধা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী লিটন মাতুব্বর, চান্দ্রা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গিয়াস উদ্দিন খালাসী, কাউলীবেড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রেজাউল হাসনাত দুদু এবং নাসিরাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী লাবলু ফকির। বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোশাররফ হোসেন মুশা বিজয়ী হয়েছেন।

নরসিংদী : আওয়ামী লীগের বিজয়ী হয়েছেন আমদিয়ায় মো. নাজিম উদ্দিন ভুইয়া রিপন, পাঁচদোনায় মিজানুর রহমান, হাজীপুরে মো. ইউসুফ খান পিন্টু, মেহেরপাড়ায় মাহাবুবুল হাসান, কাঁঠালিয়ায় হারুন-অর-রশিদ মোল্লা, পাইকারচরে আবুল হাসেম, আলোকবালিতে দেলোয়ার হোসেন দীপু, করিমপুরে হারিজ মিয়া, নজরপুরে বাদল সরকার, চরদিঘলদীতে আবুল মুনছুর সরকার বিজয়ী হয়েছেন। চিনিশপুরে নুরুজ্জামান ভুইয়া নৌকা এগিয়ে (রেজাল্ট স্থগিত), শিলমান্দিতে  আবদুল বাকির স্বতন্ত্রভাবে অনারস প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন।

শরীয়তপুর : নড়িয়া উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিজয়রা হলেন মুক্তাকারের চর ইউনিয়নে-শাহ আলম চকিদার, রাজনগর ইউনিয়নে জাকির হোসেন গাজী, ফতেজংগপুরে আলী আহম্মদ খন্দকার, ঘড়িসাড় ইউনিয়নের আ. রব খান, চরআত্রা ইউনিয়ন সেলিনা রতন, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী বিঝারি ইউনিয়নে রাজ্জাক হাওলাদার, স্বতন্ত্রভাবে নওপাড়ায় সোহেল মুন্সী বিজয়ী হয়েছেন।

জাজিরা উপজেলায় নৌকায় সেনেরচরে ইসমাইল হোসেন মোল্যা, স্বতন্ত্রভাবে জয়নগরে ইসমাইল হোসেন, পূর্ব নাওডোবায় লাল চান, পালেরচরে মতিউর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া ৬টি ইউনিয়নে কোনো প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে নড়িয়ায় ভোজেশ্বরে নুরু হোসেন বেপারী, জপসায় শওকত বয়াতী, ভুমখাড়ায় ডিএম শাজাহান, চামটায় গিয়াস উদ্দিন রাড়ি, ডিঙ্গামানিকে আনোয়ার হোসেন খান। বিলাশপুরে তাহের সরদার।

ধামরাই : ঢাকার ধামরাই আওয়ামী লীগের বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন— ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়নে হাফিজুর রহমান, সোহরাব বালিয়ায় আহম্মদ হোসেন, সানোড়ায় খালেদ মাসুদ লাল্টু, সোমভাগে আজাহার আলী, রোয়াইলে আবুল কালাম সামসুদ্দিন মিন্টু, গাংগুটিয়ায় আবদুল কাদের মোল্লা, বাইশাকান্দায় মিজানুর রহমান মিজান,  ভাড়ারিয়ায় শাহ আলম, কুল্লায় কালিপদ সরকার, আমতায় আবুল হোসেন, কুশুরায় এনায়েত হোসেন এনা, ধামরাই সদরে শাহাবুদ্দিন, যাদবপুরে মিজানুর রহমান মিজু, স্বতন্ত্রভাবে চৌহাটে পারভীন হাসান প্রীতি ও  নান্নারে আলতাফ হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।

সোনারগাঁও : আওয়ামী লীগের বারদীতে জহিরুল হক, জামপুরে হা মিম সিবলু , কাঁচপুরে  মোশারফ ওমার, সনমান্দীতে জাহিদ হাসান জিন্নাহ, মোগড়াপাড়ায় আরিফ মাসুদ বাবু, পিরোজপুরে মাসুদুর রহমান মাসুম, জাতীয় পাটির সম্ভুপুরা ইউনিয়নের  আবদুর রউফ, নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী ইউসুফ দেওয়ান, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নে মো. আবদুর রউফ।

বরিশাল : বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশায় আওয়ামী লীগের এস এম সিরাজুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন। আর উজিরপুরের গুঠিয়ায় নির্বাচন স্থগিত হয়েছে।

টাঙ্গাইল : বাসাইল উপজেলায় ৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ২টিতে আওয়ামী লীগ, একটিতে বিএনপি ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। কাঞ্চনপুর- স্বতন্ত্র প্রার্থী মামুনুর রশিদ মামুন, হাবলা- আওয়ামী লীগের খোরশেদ আলম, কাউলজানী- হাবিবুর রহমান চৌধুরী ও ফুলকিতে বিএনপির জাহিদুল ইসলাম বাবুল বিজয়ী হয়েছেন।

সখিপুরে কাকড়াজানে আওয়ামী লীগের তারিকুল ইসলাম বিদ্যুৎ, কালিয়ায় কামরুল ইসলাম, বহেড়াতৈলে (বিদ্রোহী) গোলাম কিবরিয়া ফেরদৌস বিজয়ী হয়েছেন। যাদবপুরে আওয়ামী লীগের এ কে এম আতাউর রহমান, হাতিবান্দায় গিয়াস উদ্দিন বিজয়ী, বহুরিয়ায় গোলাম কিবরিয়া সেলিম বিজয়ী হয়েছেন। মির্জাপুরে মহেড়ায় (বিদ্রোহী) মো. বাদশা মিয়া, জামর্কীয় বিএনপির আলী এজাজ খান চৌধুরী, বানাইলে স্বতন্ত্র মো. ফারুক খান, আনাইতারায় আওয়ামী লীগের মো. জাহাঙ্গীর আলম, ভাতগ্রামে স্বতন্ত্র আজাহারুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন। ওয়ার্শি- ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুব আলম মল্লিক হুরমহল বিজয়ী হয়েছেন। গোড়াই- ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী তারিকুল ইসলাম নয়া বিজয়ী হয়েছেন। বাঁশতৈল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান মিলটন বিজয়ী হয়েছেন।

সর্বশেষ খবর