সোমবার, ৩০ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রতিশোধ ও হিংসার রাজনীতি

—শারমিন মুর্শিদ

প্রতিশোধ ও হিংসার রাজনীতি

নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুর্শিদ বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন তীব্র।

আগে দলে দলে হতো, এখন দলের ভিতরেও সংযুক্ত হয়েছে। স্থানীয় নির্বাচনের হিসাব-নিকাশ হতো স্থানীয়ভাবে। কিন্তু এখন সেটা হয়ে গেছে অনেক বেশি রাজনৈতিক। তবে রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ না থাকাও অন্যতম কারণ। দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে ভোটযুদ্ধে মাঠে থাকা এবং দুর্বল প্রার্থীর প্রতি প্রতিশোধ নিতে গিয়ে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছেন কোনো কোনো প্রার্থী ও তার লোকজন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এখন মূলত প্রতিশোধ ও হিংসার রাজনীতির কারণেও সহিংসতা ঘটছে। গতকাল বিকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। শারমিন মুর্শিদ বলেন, প্রথম দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই সহিংসতা ঘটছে। নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর শক্ত নিয়ন্ত্রণ না থাকায় সহিংসতার মাত্রা বেড়েই চলছে। সহিংসতাগুলো যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার ছিল সেগুলো করছে না নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে দলীয় প্রার্থীরা দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনা অমান্য করার ফলে চেইন অব কমান্ড ভেঙে যাচ্ছে। যার ফলে উচ্ছৃঙ্খল ঘটনা বাড়ছে। ফলে সহিংসতাকারী আরও উৎসাহিত হচ্ছে। প্রথম দফা থেকে শুরু করে ৫ম ধাপের ভোটের আগে ও পরে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। শারমিন মুর্শিদ বলেন, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে বাণিজ্য না হলেও এখন শুরু হয়েছে। ফলে অনেক যোগ্য লোক থাকার পরও মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে অযোগ্য লোক দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন। যে কারণে আগে যারা ইউনিয়ন পর্যায়ে নেতৃত্বে ছিলেন বা যারা জনপ্রিয় তারা দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে মনে করছেন, দল তাদের প্রতি যা করেছে, তা অন্যায় করছে। ফলে দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা ভাবছেন, নির্বাচনে তারাই জয়লাভ করবেন। তিনি বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্যের যে চর্চাগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর কেন্দ্রে ছিল-সেগুলো শুধু কেন্দ্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকল না, তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে গেল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর