বুধবার, ১ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

মান্নাকে হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক

মান্নাকে হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি কারাবন্দী মাহমুদুর রহমান মান্নাকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত একটি আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী এবং বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। দীর্ঘদিন ধরে মাহমুদুর রহমান মান্না কারাগারে রয়েছেন। তিনি হৃদরোগসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ জন্য তার চিকিৎসার প্রয়োজন উল্লেখ করে এই আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক ও ইদ্রিসুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশিরউল্লাহ। মান্নার আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, মান্নার জামিন আবেদনে দেওয়া রুলের শুনানির সময় আমরা একটি সম্পূরক আবেদন করি। তাতে উল্লেখ করেছি, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ, হার্টের রোগী, হার্টে ব্লক আছে এবং শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা জেল কর্তৃপক্ষকে কোর্ট অর্ডার দিয়েছে তাকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল ও রিসার্চ সেন্টারে চিকিৎসা দিতে। আর তার জামিনের আবেদন বিচারাধীন। সে বিষয়ে পরে আবার শুনানি হবে। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আতিকুর রহমান বলেন, আদালত মান্নাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছে। অবিলম্বে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত। আন্দোলনের পাশাপাশি আইনি প্রক্রিয়ায় অচিরেই মান্না কারামুক্ত হবেন বলে আমরা আশা করি।

এর আগে সেনা বিদ্রোহের উসকানি এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দায়ের হওয়া দুই মামলায় গত ২১ মার্চ মাহমুদুর রহমান মান্নাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। ওই রুলের শুনানির সময় আইনজীবীরা তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে একটি সম্পূরক আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুনানি শেষে আদেশ দেয়। ২০১৫ সালে মান্নার সঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা ও অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির টেলিফোন আলাপের দুটি অডিও ক্লিপ প্রকাশের পর ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি মান্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেনা বিদ্রোহে উসকানি দিয়ে সরকার উত্খাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর গুলশান থানায় মান্নার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। একই বছর ৫ মার্চ রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আরেকটি মামলা হয়।

সর্বশেষ খবর