শিরোনাম
রবিবার, ৫ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিদ্রোহীরা ভাগ বসালেন নৌকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ষষ্ঠ ধাপেও সহিংসতার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থীদের জয়জয়কার। তবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরাও স্বতন্ত্র হিসেবে বিপুল জয় পেয়েছে। গতকাল সারা দেশে ৬৯৮ টি ইউপিতে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ-বিএনপি ছাড়াও নির্বাচনে চেয়াররম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাতীয় পার্টিসহ অন্য দলের প্রার্থীরা। রাত দেড়টায় বেসরকারিভাবে ৬৫৯ ইউপির প্রাপ্ত ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ৩৭৯টি এবং বিএনপি ৬০টিতে জয়লাভ করেছে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), জাসদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে ২২০টি ইউপিতে। এর মধ্যে অধিকাংশ বিজয়ী হলেন আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী। এ ছাড়া বিএনপির বিদ্রোহী ছাড়াও জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছে। এ ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ২৭টি ইউপিতে বিজয়ী হন। অর্ধশত কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত ছিল। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর— পঞ্চগড় : দেবীগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে ৩টিতে আওয়ামীলীগ, ১টি বিএনপি ও ২টি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) প্রার্থীরা জয় পেয়েছে। শালডাঙ্গা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী আসাদুজ্জামান চৌধুরী মাসুম; সোনাহার ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী রহিমুল ইসলাম বুলবুল; সুন্দরদিঘি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী পরেশ চন্দ্র রায় সরকার। দণ্ডপাল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) মো. জামেদুল ইসলাম; পামুলী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ফজলে হায়দার প্রধান; চেংঠী হাজরাডাঙ্গা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী অনিল চন্দ্র রায়। রংপুর : সদর ও গঙ্গাচড়া উপজেলার জাতীয় পার্টির বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন— সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নে সুলতানা আখতার কল্পনা এবং গঙ্গাচড়ার লক্ষ্মীটারিতে আব্দুল্লাহ আল হাদী, গজঘণ্টায় আজিজুল ইসলাম ও আলমবিদিতরে মোহাম্মদ আফতাবুজ্জামান। আওয়ামী লীগের বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন— গঙ্গাচড়ার কোলকোন্দে সোহরাব আলী রাজু, মর্নেয়ায় মোসাদ্দেক আলী আজাদ ও নোহালীতে আবুল কালাম আজাদ টিটুল। স্বতন্ত্র বিজয়ী চেয়ারম্যানরা প্রার্থীরা হলেন— গঙ্গাচড়া সদরে আল সুমন আব্দুল্লাহ, বেতগাড়ীতে কামরুজ্জামান প্রামাণিক ও বড়বিলে আফজালুল হক রাজু। কুড়িগ্রাম : রৌমারীতে ৩টি ইউপিতে ১টিতে আওয়াীলীগ, ১টিতে বিএনপি, ১টি জাতীয় পার্টি (জেপি) প্রার্থী বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বিজয়ীরা হলেন রৌমারী সদরে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম শালু, যাদুর চর ইউপিতে বিএনপি মনোনীত সরবেশ আলী ও শৌলমারীতে জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান। দিনাজপুর : বিরল উপজেলার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হলেন— ধামইর ইউপিতে আ’লীগের মসলেম উদ্দীন,  শহরগ্রাম ইউপিতে স্বতন্ত্র মো. আব্দুর রহমান, ভান্ডারায় আওয়ামী লীগের মামুনুর রশিদ মামুন, মঙ্গলপুর ইউপিতে সেরাজুল ইসলাম, রাণীপুকুরে ফারুক আজম। নীলফামারী : বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা হলেন নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া সরম জানী ইউনিয়নে খলিলুর রহমান, সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে হেলাল চৌধুরী, কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে এনামুল হক চৌধুরী এবং বিজয়ী বিএনপির প্রার্থী হলেন কামারপুকুর ইউনিয়নে রেজাউল করিম লোকমান।  এ ছাড়া খাতামধুপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জুয়েল চৌধুরী ও বাঙ্গালিপুর ইউনিয়নে প্রণেবেশ চন্দ্র বাগচি। ময়মনসিংহ : জেলার ভালুকার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯টিতে আ’লীগ ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। ১ নং উথুরা ইউনিয়নে মো. বজলুর রহমান তালুকদার বাচ্চু (নৌকা), ২নং মেদুয়ারী ইউনিয়নে জেসমিন নাহার রানী  (নৌকা), ৩নং ভরাডোবা ইউনিয়নে মোঃ শাহ আলম তরফদার (নৌকা), ৪নং ধীতপুর ইউনিয়নে মোঃ আশরাফুল আলম (স্বতন্ত্র), ৫নং বিরুনীয়া ইউনিয়নে রেদোয়ান সারোয়ার রব্বানী (নৌকা), ৬নং ভালুকা ইউনিয়নে সিহাব আমিন খান (নৌকা), ৭নং মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নে মো. আকরাম হোসেন (নৌকা), ৮নং ডাকাতিয়া ইউনিয়নে মো. ছাইফুল ইসলাম (নৌকা), ৯নং কাচিনা ইউনিয়নে মুশফিকুর রহমান লিটন (নৌকা), ১১নং রাজৈ ইউনিয়নে মো. নুরুল ইসলাম বাদশা (নৌকা)। হালুয়াঘাটে ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৬, স্বতন্ত্র ৩, বিএনপি থেকে ১ জন বিজয়ী হয়েছেন। এরা হচ্ছেন— ১নং ভুবনকুড়া ইউনিয়নে আলহাজ্ব এম সুরুজ মিয়া (আওয়ামী লীগ), ২নং জুগলীতে মো. কামরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), ৫নং গাজিরভিটা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন, ৬নং বিলডোরায় আওয়ামী লীগ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ৭নং শাকুয়াই ইউনিয়নে আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন (স্বতন্ত্র) ৮নং নড়াইল মো. সাইফুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), ৯নং ধারা ইউনিয়নে তোফায়েল আহমদ বিপ্লব (আওয়ামী লীগ), ১০নং ধুরাইল ইউনিয়নে মো. ওয়ারিছ উদ্দিন সুমন (আওয়ামীলীগ), ১১ নং আমতৈল শফিকুর রহমান শফিক (বিএনপি) ও ১২ নং স্বদেশী ইউনিয়নে মোঃ জিহাদ সিদ্দিকী ইরাদ (স্বতন্ত্র)। ত্রিশালে ১২ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঘোষিত ফলাফলে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ জিতেছে চারটিতে। বিএনপি একটিতে, জাতীয় পার্টি একটিতে ও স্বতন্ত্র  ৫টিতে। স্বতন্ত্রের মধ্যে তিনটিই বিএনপির প্রার্থী বলে জানা গেছে। এছাড়াও গফরগাঁওয়ের ১৫ টি ইউনিয়ন থেকে আ’লীগ প্রার্থী জয় পেয়েছেন। নওগাঁ : সদরের বর্ষাইলে শামছুজ্জোহা, কীর্তিপুরে আতোয়ার রহমান, বক্তারপুরে মোরশেদুল আলম, তিলকপুরে রেজাউল করিম, বোয়ালিয়ায় হাছানুর আল মামুন, চণ্ডীপুরে বেদারুল ইসলাম, হাসাইগাড়ীতে আবদুল জলিল সুইট, বলিহারে আফতাব আলী, শৈলগাছীতে আবদুল গফুর সরদার ও হাপানিয়ায় আফছার আলী। দুবলহাটিতে বিএনপির আনিসুর রহমান এবং শিকারপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী ময়নুল হক। বদলগাছির মাথুরাপুরে আবদুর রহমান, মিঠাপুরে ফিরোজ হোসেন, বালুভরায় শেখ মো. আয়েন উদ্দিন ও পাহাড়পুরে আবু হাসনাত মো. মিজানুর রহমান।

 স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন বদলগাছি সদরে আবদুস সালাম, কোলায় আবু বকর সিদ্দিক, বিলাশবাড়ী এমরান হোসেন কেটু। মহাদেবপুর সদর ইউনিয়নে মাহবুবু রহমান ধলু, খাজুরে বেলাল উদ্দিন, রাইগায় মনজুর আলম, চেরাগপুরে শিবনাথ মিশ্র। বিএনপির প্রার্থীরা হলেন, হাতুরে এনামুল হক, সফাপুরে শামসুল আলম, ভীমপুরে রামপ্রসাদ ভদ্র। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন, চান্দাসে মাহমুদুল নবী রিপন, এনায়েতপুরে রফিকুল ইসলাম, উত্তরগ্রামে আবির হোসেন।

রাজশাহী : বাঘার আড়ানীতে আওয়ামী লীগের রফিকুর ইসলাম, বাউশায় শফিকুল ইসলাম;  চকরাজাপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আজিজুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন; মোহনপুরের ঘাষিগ্রামে আওয়ামী লীগের আজহারুল ইসলাম; বাকশিমইলে আল মমিন শাহ গাবরু ও মৌগাছীতে আল আমিন বিশ্বাস এবং রাঘাঘঘাটীতে খলিলুর রহমান। ধুরইলে বিএনপির কাজিম উদ্দিন ও জাহানাবাদে এমাজ উদ্দিন। পবার হরিপুরে আওয়ামী লীগের বজলে রিজভী আল হাসান মুঞ্জিল, দর্শনপাড়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরুল হাসান রাজ, দামকুড়ায় রফিকুল ইসলাম, পারিলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সাইফুল বারী ভুলু, হড়গ্রামে স্বতন্ত্র অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, হুজুরিপাড়ায় স্বতন্ত্র আকতার ফারুক বিজয়ী হয়েছেন।

নাটোর : গুরুদাসপুরে আওয়ামী লীগের খুবজিপুরে মনিরুল ইসলাম দোলন, মুশিন্দায় মোস্তাফিজুর রহমান, ধারাবারিসায় আবদুল মতিন, চাপিলায় আলাল উদ্দিন, বিয়াঘাটে মোজাম্মেল হক এবং নাজিরপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শওকত হোসেন লাবু বিজয়ী হয়েছেন। বাগাতিপাড়ায় আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হলেন জামনগর আব্দুল কুদ্দুস, বাগাতিপাড়া সদরে মজিবুর রহমান, ফাগুয়াড় দিয়াড়য়ে অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম। এ ছাড়া এর আগে দয়ারামপুর ইউনিয়নে আগে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহাবুর ইসলাম মিঠু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ : কাজীপুর সদরে আওয়ামী লীগের টিএম আতিকুর রহমান নান্নু। শাহজাদপুরের কৈজুরীতে আওয়ামী লীগের সাইফুল ইসলাম; চৌহালীর ঘোড়জানে রহমান আলী, খাসপুকুরিয়ায় আবদুল মজিদ সরকার, স্থলে নজরুল ইসলাম; উল্লাপাড়ায় ১৪টির মধ্যে ১২টিতে আওয়ামী লীগ, ১টিতে দলের বিদ্রোহী ও একটিতে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন; আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হলেন রামকৃষ্ণপুরে রফিকুল ইসলাম, বাঙলায় সোহেল রানা, বড় পাঙ্গাসীতে হুমায়ুন কবির লিটন, মোহনপুরে মির্জা খালিদ ইনতেজার শক্তি, দুর্গানগরে আফছার আলী, পূর্নিমাগাতীতে খলিলুর রহমান, হাটিকুমুরুলে হেদায়েতুল হোসেন সরকার, বড়হরে জহুরুল হাসান, উল্লাপাড়ায় আবদুস সালেক, পঞ্চক্রোসীতে ফিরোজ উদ্দিন, সলপে শওকত ওসমান; উধুনিয়ার বিদ্রোহী আবদুল জলিল ও সলঙ্গায় বিএনপির প্রার্থী মতিয়ার রহমান বিজয়ী হয়েছেন।

বগুড়া : জেলার শাজাহানপুরের আওয়ামী লীগের খোট্টাপাড়ায় আব্দুল্লাহ আল ফারুক, খরনায় সাজেদুর রহমান সাহিন, গোহাইলে আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু, আশেকপুরে ফিরোজ আলম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।  বিএনপির প্রার্থীরা হলেন, মাদলায় আতিকুর রহমান,  মোজাফ্ফর রহমান, আমরুলে আসাদুজ্জামান অটল, আড়িয়ায় আতিকুর রহমান, মাঝিড়ায় স্বতন্ত্র মাওলানা আব্দুস সালাম। বগুড়া সদরে আওয়ামী লীগের শাখারিয়ায় আবু সুফিয়ান সফিক, শেখেরকোলায় কামরুল হাসান ডালিম। বিএনপির প্রার্থীরা হলেন নিশিন্দারায় সহিদুল ইসলাম সরকার, নামুজায় ইউনিয়নে রাসেল মামুন, রাজাপুরে জাহিদুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।

মাগুরা : জেলার সদরের কুচিয়ামোড়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।

পাবনা : জেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-১০, বিএনপি-১, স্বতন্ত্র-৫টিতে বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছে। চাটমোহরের গুনাইগাছিতে নুরুল ইসলাম, ছাইকোলায় নজরুল ইসলাম, হরিপুরে মকবুল হোসেন, নিমাইচড়ায় কামরুজ্জামান খোকন, হান্ডিয়ালয়ে ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন এবং বিলচলন ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী মোহম্মদ আলী বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা সদর উপজেলার চরতারপুুরে আওয়ামী লীগের রবিউল ইসলাম টুটুল, আতাইকুলায় খন্দকার আতিয়ার হোসেন, ভাড়ারায় আবু সাইদ খান, গয়েশপুরে মোতাহার হোসেন মোতাই, দাপুনিয়ায় আব্দুল লতিফ ঠান্টু, মালঞ্চিতে আব্দুল আলিম, দোগাছীতে আলী হাসান, হেমায়েতপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাউদ্দিন মালিথা, সাদুলাপুরে স্বতন্ত্র আব্দুল কুদ্দুস মুন্সি, মালিগাছায় স্বতন্ত্র পার্থী মোহাম্মদ শরিফ বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

নড়াইল : লোহাগড়ার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগ এবং দুটিতে বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হলেন লক্ষ্মীপাশায় কাজী বনি আমীন, কোটাকোলে বিএম হিমায়েত হোসেন, লোহাগড়ায় নজরম্নল শিকদার ও নলদীতে আবুল কালাম আজাদ মিয়া বিজয়ী হয়েছেন। নোয়াগ্রামে বিদ্রোহী প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম কালু ও লাহুড়িয়া ইউনিয়নে দাউদ হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।

যশোর : জেলার চৌগাছা ও শর্শায় ২১টিতে আওয়ামী লীগের ১২ ও বিদ্রোহী ৭ ও ২টিতে বিএনপি বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হলেন, লক্ষণপুরে সালাহউদ্দিন, বাহাদুরপুরে মিজানুর রহমান, গোগায় আবদুর রশিদ, কায়বায় হাসান ফিরোজ আহমেদ, বাগআচড়ায় ইলিয়াস কবির বকুল, উলাশীতে আয়নাল হক, শার্শায় সোহরাব হোসেন, চৌগাছায় রফিকুল ইসলাম, জগদীসপুরে তবিবর রহমান খান, নারায়নপুরে জয়নাল আবেদীন, পাশাপোলে আবুল কাশেম, ফুলসারায় মেহেদী মাসুদ চৌধুরী। বিএনপির প্রার্থীরা হলেন, হাকিমপুরে মাসুদুল হাসান, পাতিবিলায় আতাউর রহমান। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা হলেন পটুয়াখালীতে হাদিউজ্জামান, ধুলিয়ানীতে আতিয়ার রহমান, সিংহঝুলিতে বাদল, সুখপুকুরিয়ায় তোতা মিয়া।

ঝিনাইদহ : জেলার শৈলকুপায় আওয়ামী লীগ ৯, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ৫ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা হলেন দিগনগরে জিল্লুর রহমান তপন, ফুলহরিতে জামিনুর রহমান বিপুল, উমেদপুরে সাব্দার হোসেন মোল্লা, কাঁচেরকোলে এ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন মামুন জোয়ার্দ্দার, সারুটিয়া মাহামুদুল হাসান মামুন, হাকিমপুরে কামরুজ্জামান জিকু সিকদার, ধলাহরাচন্দে  মতিয়ার রহমান বিশ্বাস, মনোহরপুরে মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু,বগুড়ায় নজরুল ইসলাম বিশ্বাস। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা হলেন ত্রিবেণী ইউনিয়নে জহিরুল ইসলাম খান, মির্জাপুরে মকবুল হোসেন, আবাইপুর হেলাল উদ্দিন বিশ্বাস, নিত্যানন্দপুরে ফারুক বিশ্বাস ও দুধসরে মিল্টন জোয়ার্দ্দার।

সিলেট : জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও গোয়াইনঘাট উপজেলার ২১টি ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ১০টিতে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা ৩টি, জাতীয় পার্টি একটি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৭ টি ইউনিয়নে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। জকিগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতেই বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হচ্ছেন—বীরশ্রীতে ইউনুস আলী, কাজলসারে জুলকার নাইন, খলাছড়ায় কবির আহমদ, জকিগঞ্জে খলিলুর রহমান, বারঠাকুরীতে মহসিন মর্তুজা টিপু। স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিতরা হচ্ছেন বারহালে মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, সুলতানপুরে রফিকুল ইসলাম। মানিকপুরে জাতীয় পার্টি থেকে মাহতাব আহমদ চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। বিয়ানীবাজার উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের ৪টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হচ্ছেন— দুবাগে আবদুস সালাম, শেওলায় জহুর উদ্দিন, চারখাইয়ে মাহমদ আলী, মাথিউড়ায় শিহাব উদ্দিন। বিএনপি থেকে নির্বাচিতরা হচ্ছেন কুড়ারবাজারে আবু তাহের, আলীনগরে মামুনুর রশীদ মামুন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র থেকে তিলপাড়ায় মাহবুবুর রহমান, মোল্লাপুরে আবদুল মান্নান, লাওটায় গৌছ উদ্দিন, মুড়িয়ায় আবুল খায়ের নির্বাচিত হয়েছেন। গোয়াইনঘাট উপজেলার লেঙ্গুড়া ইউনিয়নে বিএনপির মাহবুবুর রহমান এবং ডৌবাড়িতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ ইকবাল নেহাল বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

মৌলভীবাজার : সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৪, বিএনপি ২, স্বতন্ত্র ৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থীরা হচ্ছেন খলিলপুরে অরবিন্দ পোদ্দার, আপার কাগাবলায় আজির উদ্দিন, একাটুনায় মো. আবু সুফিয়ান, গিয়াসনগরে গোলাম মোস্তফা। বিএনপিতে বিজয়ীরা হলেন আমতৈলে রানা খান শাহীন, কামালপুরে ফয়সল আহমদ। স্বতন্ত্র থেকে মনুমুখ ইউনিয়নে আব্দুল হক, আখাইলকুড়ায় সেলিম আহমদ, চাঁদনীঘাটে মো. আকলাই মিয়া, কনকপুরে রেজাউর রহমান চৌধুরী, নাজিরাবাদে সৈয়দ এনামুল হক রাজা ও মোস্তফাপুর ইউনিয়নে তাজুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।

পিরোজপুর :  পিরোজপুরের ৩ উপজেলার ৭ ইউনিয়ন পরিষদে গতকাল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে ৬টিতে আওয়ামীলীগ ও ১টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছে। বেসরকারীভাবে নির্বাচিত আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা হলেন পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নে তোফাজ্জেল হোসেন মল্লিক স্বপন, দুর্গাপুর ইউনিয়নে চান মিয়া মাঝি এবং শিকদার মল্লিক ইউনিয়নে শহীদুল ইসলাম। নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়নে মো. আব্দুল মালেক বেপারী ও দীর্ঘা ইউনিয়নে আশুতোষ বেপারী। জিয়ানগর উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নে মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। একই উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গোলাম সরোয়ার বাবুল বিজয়ী হয়েছেন।

হবিগঞ্জ : গতকাল ২৭টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলাফলে  আওয়ামীলীগ ১৬, বিএনপি ২, জাতীয় পার্টি ১ ও স্বতন্ত্র ৮ প্রার্থী চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামীলীগের বিজয়ী প্রার্থীরা হচ্ছেন—তেঘরিয়া ইউনিয়নে মো. আনু মিয়া, শায়েস্তাগঞ্জে বুলবুল খান, লস্করপুরে আওয়ামী লীগ মাহবুবুর রহমান হিরো, লুকড়ায় ফরহাদ আহমেদ আব্বাস, বানিয়াচং দক্ষিণ-পশ্চিমে আওয়ামী লীগ রেখাছ মিয়া, উবাহাটা ইউনিয়নে রজব আলী, আহমদাবাদে আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজু, দেওরগাছে সামছুন্নাহার, শানখলায় ফজলুর রহমান, স্নানঘাট ইউনিয়নে ফেরদৌস আলম, পুটিজুরী ইউনিয়নে সামছুদ্দিন তারা মিয়া, বাহুবল সদর ইউনিয়নে আজমল হোসেন চৌধুরী, লামাতাশি ইউনিয়নে হাবিবুর রহমান চৌধুরী টেনু, মিরপুর ইউনিয়নে সাইফুদ্দিন লিয়াকত, ভাদেশ্বর ইউনিয়নে কামরুজ্জামান বশির, গাজীপুরে হুমায়ূন কবির ও শানখলায় ফজলুর রহমান। বিএনপি থেকে বিজয়ী হওয়া প্রার্থীরা হচ্ছেন রিচি ইউনিয়নে মিয়া মো. ইলিয়াছ, চুনারুঘাট সদরে সৈয়দ লিয়াকত হাসান। স্বতন্ত্র থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন পইল ইউনিয়নে সৈয়দ মইনুল হক আরিফ, নিজামপুরে তাজ উদ্দিন রাজিউড়ায় শেখ কামাল, গোপায়াতে আক্তার হোসেন, পাইকপাড়ায় শামীম, সাটিয়াজুড়িতে আব্দুর রশিদ, রানিগাঁওয়ে নূরুল মোমিন চৌধুরী, মিরাশিতে স্বতন্ত্র রফিক উদ্দিন। এ ছাড়া বাহুবল উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহ আব্দাল মিয়া বিজয়ী হয়েছেন।

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলার ২৭ ইউনিয়নে নির্বাচন আ.লীগ ১০, বিএনপি ৫, জাপা ১ ও স্বতন্ত্র  ১১টিতে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছে। আ.লীগের বিজয়ী প্রার্থীরা হচ্ছেন- জয়শ্রী ইউনিয়নে সঞ্জয় রায় চৌধুরী, সুখাইর রাজাপুর দক্ষিণে ফরহাদ আহমেদ, মধ্যনগর ইউনিয়নে প্রবীর বিজয় তালুকদার, বংশিকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে আজিম মাহমুদ, পাইকরহাটিতে আ.লীগের ফেরদৌসুর রহমান, শ্রীপুর দক্ষিণে আ.লীগের বিশ্বজিৎ সরকার, ধনপুর ইউনিয়নে রফিকুল ইসলাম তালুকদার, রানীগঞ্জ ইউনিয়নে আ.লীগের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম, পলাশ ইউনিয়নে আব্দুল কাইয়ূম মাষ্টার, সাচনাবাজার  ইউনিয়নে রেজাউল করিম শামীম, ফেনারবাঁকে করুণা সিন্ধু তালুকদার। বিএনপির জয় পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বংশীকুন্ডা উত্তরে মো: বিল্লাল হোসেন, তাহিরপুর সদর ইউনিয়নে বুরহান উদ্দিন, শ্রীপুর উত্তরে খসরুল আলম, বড়দল উত্তরে আবুল কাশেম, বড়দল দক্ষিণে আজাহার আলী। স্বতন্ত্র থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন—ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নে সেলিম আহমেদ, সেলবরষ ইনিয়নে মো: নূর হোসেন, সুখাইর রাজাপুর উত্তরে আমানূর রেজা চৌধুরী, চামারদানিতে জাকিরুল আজাদ মান্না, বাদাঘাটে আপ্তাব উদ্দিন, বালিজুড়িতে আলহাজ আব্দুল জহুর, ফতেহপুরে রণজিত চৌধুরী রাজন, সলুকাবাদে রওশন আলী, বেহেলী ইউনিয়নে অশ্বিণ চন্দ  তালুকদার ও ভীমখালিতে মো: দুলাল মিয়া। জাতীয় পার্টি থেকে বাদাঘাট দক্ষিণে এরশাদ মিয়া জয়লাভ করেছে।

টাঙ্গাইল : জেলা সদর, কালিহাতী ও ঘাটাইল উপজেলার ২৬টি ইউপির মধ্যে ১৫টিতে আওয়ামী লীগ ৪টিতে বিএনপি, ৭টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছে। টাঙ্গাইল সদরে আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হলেন, মগড়ায় আজাহার আলী, গালায় রাজকুমার, হুগড়ায়  তোফাজ্জল হোসেন তোফা, করটিয়ায় খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনু। বিদ্রোহীরা হলেন ঘারিন্দায় এম এ কাশেম, বাঘিলে রফিকুল ইসলাম, দাইন্যায় মো. লাবলু মিয়া ও পোড়াবাড়িতে মো. আজমত আলী। ঘাটাইল উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ৩টি, বিএনপি ৩টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ২টিতে বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হলেন—ঘাটাইলে হায়দার রহমান, লোকের পাড়ায় মো. শরীফ হোসেন, আনেহলায় মো. শাহজাহান তালুকদার, দেউপাড়ায় মইন উদ্দিন তালুকদার। বিএনপির প্রার্থীরা হলেন—জামুরিয়ায় ইখলাক হোসেন শামীম, দীঘরে আবুল কালাম আজাদ মামুন, দীঘলকান্দিতে নজরুল ইসলাম ও দেওলাবাড়িতে রফিকুল ইসলাম খান। কালিহাতী উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ৭টি, বিএনপি ১টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১টিতে বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন—নারান্দিয়ায় শুকুর মাহমুদ, সল্লায় আব্দুল আলীম, দুর্গাপুরে আনোয়ার হোসেন, দশকিয়ায় আবদুল মালেক ভুঁইয়া, বল্লায় পাকের আলী, পাইকড়ায় আজাদ  হোসেন ও গোহালিয়ায় হযরত আলী । বিএনপির প্রার্থীরা হলেন— সহদেবপুরে মাসুদুর রহমান বালা ও কোকডহরায় নজরুল ইসলাম।

কিশোরগঞ্জ : জেলার পাঁচ উপজেলার ৪২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৩টিতে আওয়ামী লীগ, ৫টিতে বিএনপি, একটিতে জাতীয় পার্টি এবং বাকি ২৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন—পাকুন্দিয়ার নারান্দিতে শফিকুল ইসলাম শফিক, পাটুয়াভাঙায় মো. শাহাবুদ্দিন, জাঙ্গালিয়ায় সরকার শামীম আহমেদ, সুখিয়ায় ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আব্দুল হামিদ টিটু। এগারসিন্দুর ইউনিয়নে বিএনপির বিদ্রোহী মতিউর রহমান সরকার, হোসেন্দিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মজিবুর রহমান আকন্দ, চন্ডিপাশা ইউনিয়নে মো. শামসুদ্দিন, বুরুদিয়ায় নাজমুল হুদা রুবেল ও চরফরাদি ইউনিয়নে বিএনপির মো. কামাল উদ্দিন। হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নে বিএনপির বিদ্রোহী শফিকুল ইসলাম হিমেল, আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র খুর্শিদ উদ্দিন, সাহেদল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শাহ মাহবুবুল হক, পুমদি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র মাহবুবুল হোসেন, জিনারী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আব্দুস সালাম ফকির ও সিদলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. সিরাজ উদ্দিন। তাড়াইল উপজেলার সাচাইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কামরুজ্জামান মহাজন, দামিহা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া, দিগদাইর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের গোলাপ হোসেন ভূঁইয়া, জাওয়ার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের জিয়াউর রহমান, ধলা ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির আসাদুজ্জামান মবিন, তালজাঙ্গা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সেলিম খান ও রাউতি ইউনিয়নে বিএনপির নূর শরীফউদ্দিন জুয়েল। করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র ফজলুর রহমান, জাফরাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সাইফউদ্দিন ফকির মিলন, গুজাদিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র রফিকুল ইসলাম, বারঘরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আইয়ুব উদ্দিন, নিয়ামতপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মখদুম কবির তন্ময়, নোয়াবাদ ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির রম্নহুল আমীন কাজী, জয়কা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র আশরাফউদ্দিন, গুণধর ইউনিয়নে বিএনপির মো. নূরু শিকদার, সুতারপাড়া ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী হারম্নন অর রশিদ, কিরাটন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ইবাদুর রহমান শামীম ও দেহুন্দা ইউনিয়নে একটি কেন্দে র ভোটগ্রহণ স্থগিত (এগিয়ে রয়েছেন আওময়ামী লীগের কামরুজ্জামান সঞ্জু)। ইটনা উপজেলার ইটনা সদর ইউনিয়নে বিএনপির নূরুল ইসলাম, এলংজুরি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গোলাপ মিয়া, বাদলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আব্দুল গণি, মৃগা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কামরুল হাসান, জয়সিদ্ধি ইউনিয়নে বিএনপির মনির হোসেন, রায়টুটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ফয়সাল কবীর মনোয়ার হোসেন মিলকী, ধনপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হরনাথ দাস, বড়িবাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নাজমুল আলম ধন মিয়া ও চৌগাঙ্গা ইউনিয়নে বিএনপির আব্দুল আলী।

নারায়ণগঞ্জ : জেলার বন্দর উপজেলার ৫ ইউপিতে  জাতীয় পার্টির ৩ জন ও আওয়ামী লীগের ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পার্টির বিজয়ীরা হলেন—কলাগাছিয়ায় দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দরে এহসান উদ্দিন আহমেদ, মুছাপুরে মাকসুদ হোসেন। আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হলেন—ধামগড়ায় মাসুম আহম্মেদ ও মদনপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ নেতা আবদুস সালাম।

শরীয়তপুর : শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের ৬টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও একটিতে বিদ্রোহী বিজয়ী হয়েছে। আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হলেন—ধানকাঠি আব্দুর রাজ্জাক পিন্টু, পূর্ব ডামুড্যায় মো. লিটন, সিধুলকুড়ায় আলম খোকন, সিড্যায় আলাউদ্দিন আমিন, কনেশ্বরে আনিসুর রহমান, দারুল আমানে মোক্তার হোসেন খান বিজয়ী হয়েছেন। ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ৯ ইউনিয়নের ৮টিতে আওয়ামী লীগ ও একটি বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

সর্বশেষ খবর