সোমবার, ৬ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

সন্ত্রাস ঠেকাতে ফতোয়ার উদ্যোগ

সন্ত্রাস ঠেকাতে ফতোয়ার উদ্যোগ

বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একটি ফতোয়া জারি করতে যাচ্ছেন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসঊদ। এই ফতোয়ার সমর্থনে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ জুড়ে এক লাখ আলেমের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বছরের প্রথম দিকে শুরু করা স্বাক্ষর সংগ্রহের কাজ গত সপ্তাহে শেষ হয়েছে। মাওলানা মাসঊদ জানান, গত ২ জানুয়ারি তিন শতাধিক আলেমের এক সম্মেলনে সারা বাংলাদেশকে ভাগ করে দেন তারা। তারপর সেই হিসেবে বিভিন্ন আলেমের কাছে গিয়ে বিষয়টা উত্থাপন করে তাদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। যে ফতোয়া জারির কথা বলা হচ্ছে সেখানে কী থাকছে? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোরআন ও হাদিসের বিভিন্ন বক্তব্যের আলোকে ফতোয়াগুলো চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং সেখানে প্রথমে ১০টি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। যেসব বিষয়ে তিনি ফতোয়া জারি করতে যাচ্ছেন সেগুলো হলো— ‘মহান শান্তির ধর্ম ইসলাম কি সন্ত্রাস ও আতঙ্কবাদের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে? নবী-রসুলগণ বিশেষ করে প্রিয় নবীজী (সা.) এ ধরনের হিংস  বর্বর পথ অবলম্বন করে ইসলাম কায়েম করেছেন? ইসলামে জিহাদ আর সন্ত্রাস কি একই জিনিস? সন্ত্রাস সৃষ্টির পর কি বেহেশতের পথ নাকি জাহান্নামের? আত্মঘাতী সন্ত্রাসীর মৃত্যু কি শহীদি মৃত্যু বলে গণ্য হবে? ইসলামের দৃষ্টিতে গণহত্যা কি বৈধ? শিশু, নারী, বৃদ্ধ নির্বিশেষে নির্বিচারে মানুষ হত্যা কি ইসলাম সমর্থন করে? এবাদতরত মানুষকে হত্যা করা কী ধরনের অপরাধ? অমুসলিমদের গির্জা, প্যাগোডা, মন্দির ইত্যাদি উপাসনালয়ে হামলা করা কি বৈধ? সন্ত্রাসী আতঙ্কবাদীর বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা ইসলামের দৃষ্টিতে সকলের কর্তব্য কিনা?’ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, পুরো বিষয়টি সংকলনের কাজ চলছে। চলতি মাসের ১৮ তারিখ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এটি প্রকাশ করতে পারবেন বলে জানান তিনি। ফতোয়া জারির প্রক্রিয়া কী? এখানে যে কোনো ইমাম চাইলেই কি সেটা জারি করতে পারেন? এ প্রসঙ্গে শোলাকিয়ার ইমাম ফরিদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, ফতোয়ার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন পড়ে। এ জন্য আমরা এক লাখ বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়েছি। ফতোয়া দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় অনুমোদন প্রয়োজন না হলেও প্রয়োগের ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যের প্রয়োজন আছে বলে জানান ইমাম ফরিদ উদ্দীন মাসঊদ। —বিবিসি বাংলা

সর্বশেষ খবর