বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

জঙ্গি প্রতিরোধে জাতীয় মতৈক্য দরকার

বিশেষ প্রতিনিধি

জঙ্গি প্রতিরোধে জাতীয় মতৈক্য দরকার

মিছবাহুর রহমান চৌধুরী

ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আলহাজ মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, দেশের বর্তমান টার্গেট কিলিং ও সিক্রেট কিলিংয়ের সঙ্গে জামায়াত-শিবির কর্মীরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রতিশোধ নিতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই জঙ্গি তত্পরতা প্রতিরোধে জাতীয় মতৈক্য প্রতিষ্ঠা করা দরকার। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে বিএনপির সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে সরকারকে। তিনি বলেন, সরকারকে শুধু গোয়েন্দানির্ভর হয়ে থাকলেই চলবে না। গোয়েন্দানির্ভর তত্পরতা দিয়ে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের প্রতিরোধ করা যাবে না। এজন্য শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নিতে হবে। জঙ্গি তত্পরতার সঙ্গে জড়িতদের সমাজবিচ্ছিন্ন করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের সদস্য বিশেষ করে ধর্মীয় গুরুদের হত্যা সম্পর্কে নিজের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে গতকাল বিকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন মিছবাহুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা আগেই বলেছি, যুদ্ধাপরাধীর বিচার সমাপ্ত হওয়া মানেই জামায়াত শিবিরের অপকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়া নয়। সরকারকে আগেই সতর্ক করেছিলাম, জামায়াতে ইসলামী দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে টার্গেট কিলিং ও সিক্রেট কিলিং করবে। বর্তমানে দেশজুড়ে তাদের প্রতিশোধমূলক কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। এই অপশক্তিকে সমাজবিচ্ছিন্ন করতে হলে দেশের আলেম ওলামা, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, গবেষক, সাংবাদিকসহ সমাজের চিন্তাশীল মানুষদের নিয়ে একটি প্রতিরোধ সেল গঠন করতে হবে। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে বিএনপির সঙ্গেও আলোচনা করা যেতে পারে। বর্তমানে সরকার শত্রু-মিত্র না চিনে কাজ করছে। এই জঙ্গি দলগুলো সম্পর্কে যারা একেবারে জ্ঞান রাখে না তাদের গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, জঙ্গি তত্পরতা প্রতিরোধে সরকারের আন্তরিকতার কমতি নেই, কিন্তু সমন্বয়হীনতা রয়েছে। শুধু গোয়েন্দাদের দিয়ে জঙ্গি দমন সম্ভব নয়। এজন্য সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে না গেলে এ দেশে কোনো দিনও যুদ্ধাপরাধের বিচার করা সম্ভব হতো না। জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা যেত না। এই অর্জনকে যে কোনো মূল্যে ধরে রাখতে হবে।

সর্বশেষ খবর