শিরোনাম
শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

সব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত : খালেদা

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী হত্যাসহ সব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত বলে দাবি করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্রদের ধরে বিচারের আওতায় আনলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

গতকাল সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী  আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সিনিয়র আইনজীবী বিচারপতি টি এইচ খানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন— বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, অ্যাডভোকেট মীর মোহাম্মদ নাসির, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহআইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, এনডিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ও অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম প্রমুখ। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হলে শেখ হাসিনার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে। এ ঘটনার সঠিকভাবে বিচার হলে শেখ হাসিনা দোষী হবেন। পুলিশের এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যায় আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা জড়িত। দেশে সব গুপ্তহত্যার সঙ্গেই তারা জড়িত। জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে। প্রতিনিয়ত মানুষকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হচ্ছে। এর কোনো জবাবদিহিতা নেই। খুনিদের ধরা হয় না। কারণ এরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। তিনি প্রধান বিচারপতিসহ সব বিচারকের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনারা নিরপেক্ষভাবে বিচার করুন। আমরা আইনের শাসন ও সুবিচার চাই। খালেদা জিয়া বলেন, দেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই। সরকারি দলের লোকদের জন্য এক ধরনের আইন, আর বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের জন্য আরেক ধরনের আইন। নাইকো মামলার সঙ্গে আমি জড়িত নই, শেখ হাসিনা জড়িত। কারণ তার আমলেই সবকিছু হয়েছে। আমাদের কাছে সব তথ্য আছে। আর এই প্রধানমন্ত্রী নাইকো মামলা থেকে নিজে অব্যাহতি নিয়ে বিরোধী দলকে নিয়ে এ মামলায় টানাহেঁচড়া শুরু করেছে। এমনকি আমাকেও হয়রানি করা হচ্ছে।  বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, নাইকো মামলা চলতে হলে শেখ হাসিনাকেও কোর্টে আসতে হবে। আর নিরপেক্ষ বিচার হলে শেখ হাসিনার সাজা হবে। দুই মন্ত্রীর সাজা হওয়ার পরও মন্ত্রিত্ব রয়েছে। অর্থমন্ত্রী নিজের মুখেই বলেছেন, দেশের ব্যাংকিং খাতসহ অর্থনীতিতে আজ সাগরচুরি হচ্ছে। কিন্তু তাদের বিচার হচ্ছে না। সাংবাদিক শফিক রেহমান সাংবাদিকতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ছেলের কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন, কিন্তু প্রচার করেননি। তারপরও তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়া নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি করে বলেন, আমরা নিরপেক্ষ ব্যবস্থায় নির্বাচন চাই। নির্বাচনে জনগণ যাদের ভোট দেবে তারাই সরকার গঠন করবে। দেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আইনজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর