শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

কিংবদন্তি মোহাম্মদ আলীর চিরবিদায়

ক্রীড়া ডেস্ক

কিংবদন্তি মোহাম্মদ আলীর চিরবিদায়

একজন কিংবদন্তির বিদায় বুঝি এমনই হয়। দূর মধ্যপ্রাচ্যে নামাজের পর হলো দোয়া। গির্জায় বাজল ঘণ্টাধ্বনি। সুদূর লন্ডনে ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে বেশ খানিকটা সময় করুণ সুর বাজালেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি স্যার গ্যারি সোবার্স। ক্রীড়াঙ্গনের এপার-ওপারের সবাই কাঁদল। এতে অংশ নিল বাকি বিশ্বও। কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মদ আলীর বিদায়টা হলো এমন অভাবনীয়ই। জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত বৃহস্পতিবারেই। তবে মোহাম্মদ আলীকে শেষ বিদায় জানানো হলো গতকাল। তিনি সমাহিত হলেন নিজভূমে। মার্কিন শহর কেন্টাকির লুইসভিলে। যেখানে তিনি বেড়ে উঠেছিলেন একজন বক্সার হিসেবে। তার সুকরুণ বিদায় অনুষ্ঠানে হাজার হাজার বক্সের মধ্যে বিশ্বনেতারা বক্তব্য রাখলেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন থেকে শুরু করে বর্তমান তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান এবং জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ পর্যন্ত সবাই উপস্থিত থেকে বিদায় দিয়েছেন একজন কিংবদন্তিকে। বিশ্বব্যাপী মানুষ কেন এমন আবেগে আপ্লুত! মোহাম্মদ আলী কেবল একজন কিংবদন্তি বক্সারই নন, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় বদলে দিয়েছিলেন মার্কিনিদের অনেক অন্যায় চিন্তা। সাদা-কালোর পার্থক্য দূর করতে ভূমিকা রেখেছিলেন বলিষ্ঠতার সঙ্গে। একজন মানবতাবাদী হিসেবে তিনি ছিলেন অনন্য। এমন কিংবদন্তি বক্সার বিশ্ব আর কখনো পায়নি। এ কারণেই সাদা-কালো আর ধনী-গরিবের মনে সমানভাবেই বেজে উঠেছে বেদনার সুর। আর লুইসভিলের মানুষেরা গায়ে জড়িয়েছিল আলীর ছবি আঁকা টি-শার্ট। যেখানে আলী নকআউট পাঞ্চের পর ব্যাঘ্র গর্জন করছিলেন। কালো পোশাকে নিজেদের জড়িয়ে এসেছিল খ্রিস্টানসমাজ। এসেছিল হিন্দু-বৌদ্ধ আর ইহুদিরাও। মুসলিমরা তো ছিলই। সর্বধর্মীয় ঐক্যের মাধ্যমেই বিদায় জানানো হলো সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদকে।

সর্বশেষ খবর