রবিবার, ১২ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

বন্দুকযুদ্ধে নিহত আরও একজন

প্রতিদিন ডেস্ক

পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে গতকাল আরও একজন নিহত এবং দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। নিহতের ঘটনা ঘটেছে নড়াইলের লোহাগড়ায়। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, নিহত রাকিব শেখ (৩০) চিহ্নিত ডাকাত এবং ১২ মামলার আসামি। অন্য দুটি বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে সাতক্ষীরার তালা ও যশোরের বাঘরপাড়ায়। নড়াইল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, লোহাগড়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রাকিব শেখ নিহত হয়েছেন। তিনি লোহাগড়া চাঁচই গ্রামের মকলেস শেখের ছেলে। পুলিশের দাবি, রাত আড়াইটার দিকে দিঘলিয়া দক্ষিণপাড়ায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিলে তাদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এ সময় এএসআই মিজানসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। নিহত রাকিবের নামে লোহাগড়া, নড়াইল এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানায় ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে অন্তত ১২টি মামলা রয়েছে। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, বন্দুকযুদ্ধের সময় রাকিবের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও গুলি, চাইনিজ কুড়াল ও তিনটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, তালা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সঞ্জিত অধিকারী (৩২) নামে এক চরমপন্থি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রাত দেড়টার দিকে উপজেলার তেঘরিয়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ সঞ্জিত অধিকারী একই উপজেলার জালালপুর গ্রামের কার্তিক অধিকারীর ছেলে ও পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য বলে পুলিশ জানিয়েছে। জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন জানান, পুলিশের একটি দল খেশরা ইউনিয়নের তেঘরিয়া এলাকায় যাচ্ছিল। পথিমধ্যে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছোড়ে। এতে এএসআই বাদশা আহত হন। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে সঞ্জিত আহত হয়। অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে সঞ্জিতকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি গত ১০ জুন বন্দুকযুদ্ধে নিহত পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (জনযুদ্ধ) আঞ্চলিক নেতা মোজাফ্ফর সানার একান্ত সহযোগী। যশোর থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, যশোরে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সাবেক ইউপি সদস্য আবু ইছা (৪৫) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য। সদ্য শেষ হওয়া ইউপি নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বাঘারপাড়া থানার ওসি ছয়রুদ্দিন আহমেদ দাবি করেন, ভোরে খাজুরা-বাঘারপাড়া সড়কের তেলি-ধান্যখোলা এলাকায় একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণ করে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আবু ইছাকে আটক করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ওয়ান শুটারগান, এক রাউন্ড গুলি ও ৪টি গাছি দা। অন্যদিকে আহত আবু ইছার স্ত্রী আফরোজা বেগম দাবি করেছেন, রাত ২টার দিকে বাঘারপাড়ার নলডাঙ্গার বাড়িতে ৮-১০ জনের পোশাকধারী পুলিশ গিয়ে আবু ইছাকে আটক করে নিয়ে যায়। সকালে তিনি খবর পান তার স্বামী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

সর্বশেষ খবর