মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

জাসদের ধারক-বাহকরা শতভাগ ভণ্ড, মন্ত্রী করার প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে

নিজস্ব ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

জাসদের ধারক-বাহকরা শতভাগ ভণ্ড, মন্ত্রী করার প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, জাসদের ধারক-বাহকরা শতভাগ ভণ্ড। এ দলটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অনগ্রসরতার জন্য দায়ী। তারা যদি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিবেশ সৃষ্টি না করত তবে বাংলাদেশ একটি ভিন্ন বাংলাদেশ হতে পারত। জাসদেরা এখন আমাদের লেজুড়বৃত্তি করে। এদের একজনকে আবার মন্ত্রিত্বও দেওয়া হয়েছে। এই যে একটি সিদ্ধান্ত নিতে যদি একবার ভুল করে যার প্রায়শ্চিত্ত কিন্তু সারা জীবনই ভোগ করতে হয়। তারা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের কথা বলে ছাত্রলীগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জাসদ গঠন করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাসদ নামক বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদীরা সম্পূর্ণ ভিন্ন দিকে পরিচালিত করে। তারা হঠকারী সংগঠন। গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা ও কর্মশালার সমাপনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন দেশটিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। সে সময় হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রীরা দেশটাকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিল। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের দাবিদাররা সফল রাজনৈতিক দল হতে পারত। কিন্তু তাদের হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য তারা তা পারেনি। আগের ইতিহাস জেনে এই হঠকারীদের এড়িয়ে চলার জন্য তিনি ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান। দুই দিনব্যাপী বর্ধিত সভা ও কর্মশালায় ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইনের পরিচালনায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, সুজিত রায় নন্দী, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী খান পান্না ও সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার। বর্ধিত সভায় নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত নেতারা স্থানীয় এমপি-নেতাদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন। হঠকারিতা কখনো গঠনমূলক কাজ করতে পারে না উল্লেখ করে জনপ্রশাসনমন্ত্রী আশরাফুল ইসলাম বলেন, যারা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের কথা বলেছিল তারা নিজেদের ভণ্ড হিসেবে প্রমাণ করেছিল। তারা অনেক ছাত্রের ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিয়েছিল। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যখন মধুর ক্যান্টিনে চা খেতাম তখন কমিউনিস্ট পার্টির বন্ধুরা হোটেল শেরাটনে বসে রেড ওয়াইন খেত। জাসদ ষড়যন্ত্র করে একটি সফল মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করেছিল। তারা হঠকারী সিদ্ধান্ত না নিলে দেশ অনেক আগেই আরও উন্নত হতো। হঠকারীদের কখনো প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, যারা বিপ্লবের কথা বলে তারা কখনো বিপ্লব সফল করতে পারে না। আর যারা মুখে বড় বড় কথা বলে তাদের সাহস খুবই কম।

সর্বশেষ খবর