শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

ট্যানারি না সরালে প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থানান্তর না করা পর্যন্ত রাজধানীর হাজারীবাগের ১৫৪টি ট্যানারিকে পরিবেশ দূষণের ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে এখনো যেসব ট্যানারি সাভারে সরিয়ে নেওয়া হয়নি সেসব ট্যানারির তালিকা দাখিলের পর গতকাল বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। ক্ষতিপূরণের ওই অর্থ সঠিকভাবে আদায় হচ্ছে কিনা, তা তদারকি করে ১৭ জুলাই শিল্প সচিবকে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে   বলা হয়েছে। হাজারীবাগের ট্যানারি বর্জ্য বুড়িগঙ্গায় যাওয়ায় প্রতিদিন পরিবেশের কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে, তা নিরূপণ করে পরিবেশ সচিবকে ১৭ জুলাই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। রিটের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ট্যানারি না সরানো পর্যন্ত ট্যানারিগুলোকে প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে। একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০১ সালে ট্যানারি শিল্প হাজারীবাগ থেকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। দীর্ঘদিন ধরে ওই আদেশ বাস্তবায়িত না হওয়ায় অন্য এক আবেদনে ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজারীবাগের ট্যানারি অন্যত্র সরিয়ে নিতে ২০০৯ সালের ২৩ জুন আবারও নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সরকারপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরে ওই সময়সীমা কয়েক দফা বাড়িয়ে ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু এ সময়ের মধ্যেও স্থানান্তরিত না হওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। পরে ২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল আদালত অবমাননার রুল জারি করে হাইকোর্ট। গত বছরের ২১ এপ্রিল আদালতের তলবে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন শিল্প সচিব। এর পরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ট্যানারি স্থানান্তরে পদক্ষেপ না নেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ফের আদালত অবমাননার অভিযোগে আরও একটি আবেদন করা হয়। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১১ আগস্ট হাইকোর্ট ১০ কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে রুল জারি করে। পরে গত ১৩ এপ্রিল হাজারীবাগে এখনো যেসব ট্যানারি রয়েছে শিল্প সচিবকে তাদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতের আদেশে শিল্প সচিবের পক্ষে আইনজীবী রইস উদ্দিন ১৫৫টি ট্যানারির তালিকা হস্তান্তর করেন। এর মধ্যে মাত্র ১টি ট্যানারি স্থানান্তর হয়েছে।

সর্বশেষ খবর