বুধবার, ২২ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

বন্দুকযুদ্ধে যুবক নিহত, স্ত্রী বললেন তিনি অন্ধ ছিলেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বন্দুকযুদ্ধে আবদুস সাত্তার মিয়া (৩৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এক সপ্তাহে সরাইলে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় দুজন নিহত হলো। সরাইল থানা পুলিশের দাবি, নিহত সাত্তার আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। সোমবার রাত সোয়া ১টার দিকে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের এসআইসহ ৩ জন আহত হওয়ার কথা বলা হলেও জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আহত হওয়ার খবর তার জানা নেই।

গতকাল বেলা ১টায় সদর হাসপাতালে নিহতের স্ত্রী রিনা আক্তার (২৫) দাবি করেন, তার স্বামী অন্ধ। দুই বছর পূর্বে সিলেটের কুলাউড়ায় আমার স্বামীকে ওই এলাকার লোকজন চোখে চুন দিয়ে দেয়। এরপর থেকে একটি চোখ অন্ধ ও অন্য চোখ দিয়ে ঝাপসা দেখতে পায়। এরপর থেকে সে বাড়ি থেকে খুব একটা বের হতো না। কাপড় সেলাইয়ের কাজ করে স্বামী ও ৩ সন্তানের ভরণ-পোষণ করে আসছেন। রবিবার বিকালে সরাইল থানার ৮-১০ জন পুলিশ বাড়িতে গিয়ে আমার স্বামী ও আমাকে মারধর করে। ব্যাপক মারধরের কারণে ডান হাতের তালু ফেটে যায়। গতকাল মানুষের কাছে জানতে পারি আমার স্বামী বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন।

পুলিশ জানায়, সোমবার বিকালে রসুলপুর গ্রামের রিফিউজিপাড়া থেকে পুলিশ আবদুস সাত্তার মিয়াকে গ্রেফতার করে। পরে রাতে বেশ কয়েকটি জায়গায় তাকে নিয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। রাত ১টার সময় পুলিশ রসুলপুর কবরস্থান এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে যায়। এ সময় সাত্তারের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ২০-২৫টি গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় সাত্তার গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। বন্দুকযুদ্ধের সময় এসআই রাকিবসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, এক রাউন্ড গুলি ও ৬টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রূপক কুমার সাহা জানান, নিহত সাত্তারের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতিসহ ৮টি মামলা রয়েছে। সে রসুলপুর গ্রামের রিফিউজিপাড়ার মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে।

সর্বশেষ খবর