বুধবার, ২২ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

আগামী বছর ৭.২ ভাগ প্রবৃদ্ধি হবেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী বছর ৭.২ ভাগ প্রবৃদ্ধি হবেই

আ হ ম মুস্তফা কামাল

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী অর্থ বছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবেই। কোনো কম হবে না। প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিভ্রান্তির সুযোগ নেই। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে গতকাল তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আমেরিকার সঙ্গে তুলনা করলে হবে না। বেসরকারি বিনিয়োগ গত ৬ মাসে বেড়েছে। অর্থনীতির সব সূচকও বেড়েছে।

মন্ত্রী বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে যা আমরা অর্জন করেছি আমি মনে করি, সর্ব কালের সর্ব সেরা প্রবৃদ্ধি আমরা অর্জন করেছি। আমাদের সরকার আমলে প্রথম পাঁচ বছরে গড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এই দেশের কোনো সরকার কোনো দিন তা অর্জন করতে পারেনি। ৬ষ্ঠ বছরে করেছি ৬ দশমিক ৫৫ ভাগ, ৭ম বছরে ৭ দশমিক শূন্য ৫ ভাগ। আগামী বছরে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ ভাগ নয়, এরচেয়ে অনেক ওপরে যাব আমরা। কম হওয়ার কোনো কারণ নেই, বাড়তি ছাড়া। তিনি বলেন, আমাদের এখানে বিনিয়োগের পরিমাণ কমে গেছে এ কথা সঠিক নয়। আমি আগেও বলেছি বিনিয়োগ বেশি। মন্ত্রী বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতি পর্যালোচনা করলেই দেখা যায় যে, আমরা সব দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ছেলে-মেয়েরা আগের চেয়ে বেশি স্কুলে যাচ্ছে, আমরা মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম করছি, গ্রামে গ্রামে আইটি পৌঁছে গেছে। সারা বিশ্বে অর্থনীতির ভরাডুবির মাঝে আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। রেটিং এজেন্সিগুলো বলছে— আমাদের অর্থনীতি সবল, স্বাভাবিক। ঋণ পরিশোধের সক্ষমতাও মালয়েশিয়াসহ অন্য কয়েকটি দেশের চেয়ে আমাদের বেশি। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের যে পরিমাণ বিদ্যুৎ দরকার তা দিতে পারছি না, এটা সত্যি। কিন্তু কার কারণে দিতে পারি না। কেন আমাদের সরকারের আগের সরকার প্রতি বছরের ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি। আমরা বর্তমানে প্রতি বছরে যে পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি তারা যদি সেই পরিমাণ করত, তবে আজকের এমন অবস্থা হতো না। এগুলো চিন্তা করতে হবে। যদি বছর ওয়ারি ধরা হয় তবুও আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আর যদি গড়ে ধরা হয় তবুও আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আমাদের রপ্তানি ব্যাণিজ্য ১০ ভাগের বেশি, আমাদের রাজস্ব আহরণ ১৫ ভাগের বেশি। গত সাত বছরে আমাদের রাজস্ব আহরণের পরিমাণ ১৫ ভাগের বেশি। এটা একমাত্র বাংলাদেশেই সম্ভাব্য হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বাজেট হলে সব জিনিসের দাম বেড়ে যায়, মানুষের মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হয় কিন্তু এ ধরনের অবস্থা সৃষ্টি হয়নি। আমাদের বাজেটের টার্গেট হচ্ছে আগামী অর্থ বছরের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২ ভাগ। এর চেয়ে কোনো ভাবেই কম হবে না। গত বছরের চেয়ে প্রাইভেট সেক্টরের বিনিয়োগ আরও বেশি হবে। ছয় মাসে তা অনেক বেড়েছে। প্রথম ছয় মাস একটু কম ছিল। কিন্তু পরের ছয় মাসে তা বেড়ে গেছে। আমাদের চেয়ে কম বিনিয়োগ নিয়ে বিশ্বে অনেকে বেশি জিডিপি অর্জন করছে।

সর্বশেষ খবর