বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদকে কোনোমতেই প্রশ্রয় নয় : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, বাংলাদেশে কোনোমতেই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। এটা আমি সব মুসলিম দেশকে জানিয়েছি। সৌদি বাদশাহকেও জানিয়েছি। ওআইসিকেও জানিয়েছি। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য যা যা করণীয় সেটা বাংলাদেশ করবে— এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে হুইপ শহীদুজ্জামান সরকারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সবসময় আমাদের একটা সন্ত্রাসবিরোধী ভূমিকা  রয়েছে। বাংলাদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ যাতে না থাকে, সে জন্য ইতিমধ্যে আমরা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। বাংলাদেশে কোনোমতেই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেব না আমরা। শেখ হাসিনা আরও বলেন, সৌদি আরব জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাস দমন করার জন্য জোট করেছে। সেই জোটে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে এবং প্রায় ৪০টি দেশ যুক্ত হওয়ার ফলে আজকে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গোটা মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং রুখে দাঁড়ানোর এ আহ্বানটা আমি সব সময়ই করে থাকি। শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার জন্য যা যা করার সেটা বাংলাদেশ করবে। সৌদি বাদশাকেও জানিয়েছি, অন্যান্য মুসলিম দেশকেও জানিয়েছি। ইসলাম শান্তির ধর্ম, এ শান্তির ধর্মের সম্মান যেন আরও উচ্চতায় নিতে পারি, সে প্রচেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সৌদি সফর প্রসঙ্গে জানান, সৌদি আরবে আমার এ সফরটি বাংলাদেশ-সৌদি আরব সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। সৌদি বাদশাহ বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নে সফলতা ও মুসলিম বিশ্বে একটি রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে সৌদি নেতৃত্ব মতপ্রকাশ করেন। সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের এ নতুন সম্পর্কের ফলে মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে এবং ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বলতর হবে। সৌদি সরকার ও ব্যবসায়ী নেতারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রথমবার বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, আমি সৌদি বাদশাহকে বলি যে, প্রয়োজনে পবিত্র দুই মসজিদ রক্ষায় বাংলাদেশ সৈন্য পাঠাবে। জনগণের হূদয়ে সৌদি আরবের এক বিশেষ স্থান রয়েছে। আমি প্রতি জেলা ও উপজেলায় ৫৬০টি মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে সহায়তা কামনা করি। তারা সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করে।

পুরুষ অধিকার কমিটি করলেও সমর্থন দেব : জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যদি ভবিষ্যতে কোনো পুরুষ অধিকার সংরক্ষণ কমিটি করা হয় তাহলে সেটাও আমার সমর্থন পাবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সামাজিক অবস্থানে নারীদের একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন সৃষ্টি এবং তাদের অবস্থান সুদৃঢ় হয়েছে। আমি ভেবেছিলাম মাননীয় সংসদ সদস্য বলবেন, নারীদের এত ক্ষমতা দিয়েছি, পুরুষদের জন্য আলাদা কিছু করলাম কি না? কিন্তু উনি তা করেননি। এ কথা বলে স্পিকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে নিজের আসনে বসার আগে স্বভাবসুলভ মুচকি হাসিতে সংসদ নেতা বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, সেদিন বেশি দূরে নয়, হয়তো ভবিষ্যতে দেখা যাবে পুরুষ অধিকার সংরক্ষণ কমিটি করা হচ্ছে... করলে আমার সমর্থন পাবে।

সর্বশেষ খবর