শনিবার, ২৫ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

দেশ চলছে যৌথ প্রযোজনায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশ চলছে যৌথ প্রযোজনায়

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘একটি মাত্র দল যদি দেশের সব সমস্যার কারণ হয়, দেশের জন্য ক্ষতিকারক হয়, তাহলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেই দলকে (জামায়াত) নিষিদ্ধ করব। কিন্তু দেশের সব সমস্যার সমাধান হতে হবে। সেই নিশ্চয়তা সরকারকে দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায়  যেমন সিনেমা বানানো হচ্ছে, তেমনি দুই দেশের যৌথ প্রযোজনায় আজ বাংলাদেশ চলছে। দেশটা এখন ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় দুই দেশের গোয়েন্দাদের পরিচালনায় চলছে। গণতন্ত্রের জন্য ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব অপরিহার্য ও গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা আশা করব, বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারত সে আচরণ করবে। তারা  কোনো বিশেষ ব্যক্তি কিংবা দল নয়, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে। বাংলাদেশের জনগণ সেটাই চায়।’ গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘রাজনীতির অস্থিরতা : গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ‘জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম-৭১’ এ সভার আয়োজন করে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, আহসান হাবিব লিংকন, মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকার কি গ্যারান্টি দিতে পারবে যে, জামায়াত নিষিদ্ধ হলেই নির্বাচনে আর ভোট ডাকাতি হবে না। দেশে আইনের শাসন থাকবে, গুম-খুন হবে না। মানুষ নির্ভয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। সুতরাং এখানে  কোনো দল-ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠীই একমাত্র সমস্যা নয়।’ তিনি বলেন, ‘ভারতের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনেরও আগে জামায়াতের জন্ম। জামায়াত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পরে দেশ দুটি জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেনি। তবে এটা ঠিক, স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াত বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অস্তিত্বকে স্বীকার করে নিয়েই তারা রাজনীতি করছে।’ তিনি বলেন, ‘জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলেই দেশের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, তার কোনো গ্যারান্টি নেই। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা আলোচনায় জামায়াতে ইসলামীকে বাদ দিতে বলেন। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলেই কিংবা ২০-দলীয়  জোট  থেকে বাদ দিলেই কি দেশের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে?’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর