সোমবার, ২৭ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিনাবিচারে হত্যা বন্ধ : মওদুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিনাবিচারে হত্যা বন্ধ : মওদুদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘দেশে জবাবদিহিমূলক সরকার নেই বলে মানুষ গুম-খুনের শিকার হচ্ছে। বিএনপি ক্ষমতায়  গেলে কেউ গুম হবে না। কাউকে বিনা বিচারে হত্যা করা হবে না। কাউকে বিনা বিচারে কারাগারে আটকে রাখা হবে না।’ গতকাল দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে বিএনপি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিএনপির সহসভাপতি সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা প্রমুখ বক্তব্য দেন।

গুম, বিনা বিচারে হত্যা বা কাউকে আটকে রাখা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে ব্যারিস্টার মওদুদ আরও বলেন, ‘যদি আইনের শাসন বিশ্বাস করি— এটা বন্ধ করব, করতে হবে। অন্যথায় জনগণ আমাদের ধিক্কার দেবে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল, ক্ষমতায় গেলে বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করবে। ক্ষমতায় এসে তারা তা ভুলে গেছে। জনগণের ভোট পাওয়ার জন্য তারা এ কথা বলেছিল।’ ব্যারিস্টার মওদুদ দাবি করেন, ‘দেশে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার না থাকায় জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষ গুম-খুনের শিকার হচ্ছে। যাদের স্বজনরা গুম হয়েছে, একমাত্র তারাই বোঝে এটা কত কষ্টের। একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করলে দেশের বর্তমান অবস্থা  থেকে উত্তরণ ঘটানো সম্ভব। জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা হলে উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদের অবসান হবে। গুম, খুন ও বিচার-বহির্ভূত হত্যার অবসান হবে। বিএনপি উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করে। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বিএনপিকে একটি চরমপন্থার দল বানানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এসব করে বিএনপিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের উত্থান—ব্লগার, প্রকাশক, মসজিদের  মুয়াজ্জিন, মন্দিরের পুরোহিত, বৌদ্ধদের ভিক্ষু নিহত হলেন। আপনারা (সরকার) বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আপনাদের জিরো টলারেন্সের কথা। যদি জিরো টালারেন্স হয়ে থাকে তাহলে এসব মৃত্যু কেন ঘটছে? সত্যিকার অর্থে আপনারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের যে বক্তব্যটা রাখেন, সেই বক্তব্যটা সত্য নয়। কারণ আপনারা একটা বিচারও শুরু করতে পারেননি।’ সভায় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ দলের নিখোঁজ নেতা-কর্মীদের সন্ধান দাবির পাশাপাশি দীর্ঘদিন পর ভারতের শিলংয়ে খোঁজ পাওয়া নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকেও স্মরণ করা হয়। এ ছাড়া নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা পারভেজ হোসেনের শিশুকন্যা রিধি, সাজেদুল ইসলাম সুমনের বড় বোন আঁখি, খালেদ হাসান সোহেলের স্ত্রীর শাম্মী সুলতানা, নিজামউদ্দিন মুন্নার বাবা শামসুদ্দিন আহমেদ স্বজনদের ফিরে পাওয়ার আকুতি জানানো হয়।

সর্বশেষ খবর