বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কী হবে তিন সমন্বয়কারীর

শাবান মাহমুদ

আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কী হবে তিন সমন্বয়কারীর

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সামনে রেখে আলোচনায় রয়েছেন দেশের বিগত তিন সিটি নির্বাচনে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালনকারী দলের তিনজন কেন্দ্রীয় নেতা। তারা হলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) ফারুক খান, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুর রাজ্জাক ও কেন্দ্রীয় নেতা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। তিনজনই সিটি নির্বাচনে সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সফল হয়েছেন। আলোচিত হয়েছেন দল এবং দলের বাইরে। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে আগামী কাউন্সিলে তিনজনকেই দলের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রাখা হবে।

জানা গেছে, কর্নেল ফারুক খান ও ড. আবদুর রাজ্জাক শুধু সিটি করপোরেশন নয় ঢাকার নগর কমিটি গঠনেও ভূমিকা রেখেছেন। অন্যদিকে আলাউদ্দিন নাসিম শুধু চট্টগ্রাম নয়, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া ফেনী, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের রাজনীতিতে তার প্রভাব রয়েছে। দলের সর্বশেষ কাউন্সিলে তাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছিল। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। আওয়ামী লীগের ১৯৯৬-২০০১ সালের মেয়াদে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রোটোকল অফিসার। বিসিএস প্রশাসনের সাবেক এই কর্মকর্তা উপসচিব হিসেবে চাকরি ছাড়েন ২০০৯ সালে। তারপর থেকে সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হন। নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রামের রাজনীতিতে অনেক নীতিনির্ধারণী ঘটনার নেপথ্যেও রয়েছে তার সক্রিয় প্রভাব। এ অঞ্চলের দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে রয়েছে তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা। কর্নেল (অব.) ফারুক খান ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তরের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে কর্মীদের কাছে আলোচিত। এ নির্বাচনে সাংগঠনিক কাজে তিনি প্রমাণ রেখেছেন রাজনৈতিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার। এ কারণেই দলের আগামী কমিটিতে তার পদোন্নতির বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত। একইভাবে ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালনকারী ড. আবদুর রাজ্জাকের ভাগ্য খুলতে পারে তার কাজের পুরস্কার হিসেবে। দলের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলেছে, ড. রাজ্জাক আগামী কমিটিতে নিশ্চিত ভালো অবস্থানে থাকবেন। দলের সম্ভাব্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও তার নাম আলোচনায় আসছে। তাকে প্রেসিডিয়ামে আনা হতে পারে বলেও অপর একটি সূত্রের আভাস। এদিকে কাউন্সিলকে সামনে রেখে চলছে ব্যাপক তোড়জোড়। অক্টোবরের ২২ ও ২৩ তারিখে অনুষ্ঠেয় কাউন্সিল সফল করতে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় উপকমিটির বৈঠক চলছে দফায় দফায়। কেন্দ্রীয় প্রচার উপকমিটিও কাজ করে যাচ্ছে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে। গঠনতন্ত্র উপকমিটি বসছে নিয়মিত বৈঠকে। এবার গঠনতন্ত্রে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। কেন্দ্রীয় কমিটির কলেবরও কিছুটা বাড়বে বলে আভাস দিয়েছে দলের শীর্ষস্থানীয় একটি সূত্র। দলের সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর। আসন্ন কাউন্সিলকে ঘিরে মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বাড়ছে কৌতূহল। কেন্দ্রীয় কমিটিতে কারা আসছেন তা নিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও চলছে নানান ধরনের বিশ্লেষণ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর