শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ৭৭ বছরে পা দিলেন। গতকাল ২৮ জুন ছিল তার ৭৬তম জন্মবার্ষিকী। বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্র ঋণ ও সামাজিক ব্যবসার ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে ব্রতী এই অর্থনীতিবিদ দেশে না থাকায় ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে তার জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়নি। ইউনূস সেন্টার জানিয়েছে, তিনি ইংল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে দেশটি সফর করছেন।
ক্ষুদ্র ঋণের প্রবক্তা প্রফেসর ইউনূস ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য মোকাবিলার সুযোগ সৃষ্টির জন্য মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সৃষ্ট গ্রামীণ ব্যাংক ২০০৬ সালে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বর্তমানে এশিয়া, আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকাসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই গ্রমীণ ব্যাংকের মডেলে ক্ষুদ্র ঋণব্যবস্থা প্রচলিত আছে। দারিদ্র্য দূরীকরণে গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণের সাফল্য এবং সামাজিক ব্যবসার মানবিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব ইউনূসকে ভূষিত করেছে ১১২টি আন্তর্জাতিক পুরস্কারে; যার মধ্যে রয়েছে আমেরিকার প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম, আমেরিকার কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল, র?্যামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ, আগা খান অ্যাওয়ার্ড, সিডনি পিস প্রাইজ, সিউল পিস প্রাইজ প্রভৃতি। বাংলাদেশও তাকে ভূষিত করেছে প্রেসিডেন্ট পুরস্কার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুরস্কার ও স্বাধীনতা পুরস্কারে। পৃথিবীর ২০টি দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি লাভ করেছেন ৫৫টি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি। বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউনূসকে একজন এশিয়ান হিরো এবং ২০০৮ সালে বিশ্বের ১০০ জন পাবলিক ইন্টেলেকচুয়ালের মধ্যে অন্যতম হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ড. ইউনূস রচিত বইগুলোর মধ্যে তার আত্মজীবনী ব্যাংকার টু দ্য পুওর, ক্রিয়েটিং আ ওয়ার্ল্ড উইদাউট পোভার্টি ও বিল্ডিং সোশ্যাল বিজনেস আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক স্বীকৃতি লাভ করেছে এবং ১৫ থেকে ২০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।